তথ্য সন্ত্রাসী হতে পারে যে কোন দেশের নীতিভ্রষ্ট রাজনৈতিক দল বা সংস্থাও । প্রতিপক্ষ মাথা সোজা করলেই তথ্য সন্ত্রাসীরা তাদের তথ্য সন্ত্রাসের হাতিয়ার দ্বারা আঘাত হেনে প্রতিপকে মাথা নোয়াতে বাধ্য করে । আন্তর্জাতিক অংগনে তথ্য সন্ত্রাসী হচ্ছে গোটা ইহুদী জাতটা। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ইসরাইলে তাদের প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে তথ্য সন্ত্রাসের ওপর ভিত্তি করে । দ্বিতীয় তথ্য সন্ত্রাসী হচ্ছে খ্রীষ্টান দুনিয়ার প্রভাবশালী একটি মহল । তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে ভারত, ’র’ ভিত্তিক একটি বিশেষ মহল সবিশেষ উল্লেখযোগ্য ।

তথ্য সন্ত্রাসীদের টার্গেট সমুহের নাম সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয় । টার্গেট সবসময় পরিবর্তনশীল । হেনরী ফোর্ডও তাদের টার্গেট ছিলেন, আবার মালেয়শীয়ার মাহাথির মোহাম্মদ ও আনোয়ার ইব্রাহিমকেও শিকার প্রক্রিয়ায় রাখা হয়েছিল । তথ্য সন্ত্রাসীদের টার্গেট হতে পারেন যে কোন প্রতিভাবান বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি, খেলোয়াড় বা কোন দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধান মন্ত্রী, মন্ত্রী, আমলা বা সিপাহসালার । টার্গেট হতে পারে যে কোন ব্যক্তি, যে কোন ইস্যু, যে কোন চরিত্র, যে কোন ভু-খন্ড, যে কোন দেশের বিঙ্গান-প্রকল্প, ব্যবসা বানিজ্য বা যে কোন দেশের সুখ সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি । তবে ইহুদী, খৃষ্টান ও ভারতের তথ্য সন্ত্রাসীদের টার্গেট-তালিকায় মুসলিম দেশ, মুসলিম ব্যক্তিত্ব আর ইসলাম স্থায়ীভাবে আছে । এসবের কোন পরিবর্তন নেই । তবে এ দেশ না ঐ দেশ, এই ব্যক্তি না ঐ ব্যক্তি, পরিবর্তন শুধূ এতটুকু হয় পরিস্থিতির কারনে চরিত্র, সময় এবং ষ্ট্রেটেজিও বদলায় ।

এ যাবত তথ্য সন্ত্রাসীদের শিকার হয়েছেন- সালমান রুশদী, ইয়াসির আরাফাত, ইমরান খান, মোহাম্মদ আলী (মুষ্ঠি যোদ্ধা), কাজী আশরাফ মাহমুদ, সৈয়দ হোসেন, কাজী নজরুল ইসলাম, আসফ আলী, মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন (ক্রিকেটার), শেখ ওমর আব্দুর রহমান, প্রমুখ।