somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভ্রমণঃ নেত্রকোনায় জল নেই, কেবল ড্রেজার আর ট্রাক (শেষ পর্ব)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


(৩য় পর্ব)

ইউক্যালিপটাস

এই সুসং দূর্গাপুরেই বেড়াতে এসে ভোরবেলা গ্রামের দিকে হাঁটতে বেরিয়েছি আমরা দুজন। কারও বাড়ির সামনে, কারও বাড়ির পেছনে কিংবা দুই বাড়ির মাঝের পায়ে চলা পথ পেরিয়ে বিশাল খোলা প্রান্তরে উপস্থিত হলাম। ধান উঠে গেছে, কিন্তু পরের চাষাবাদের কাজ শুরু হয়নি। মাঠ খটখটে শুকনো। ক্ষেতের মধ্যেই কেউ একটা বাড়ি বানাচ্ছে। তার আশেপাশে দুয়েকটা লোক দেখা গেলো। ঐ দূরে যে রাস্তাটা দেখা যাচ্ছে সেটা দিয়ে উত্তরে কিছুদূর গেলে বামে সোমেশ্বরী নদী পড়বে, তাই সেদিকেই হাঁটতে শুরু করলাম।

গতকাল থেকে বেড়াচ্ছি কিন্তু এবার খেয়াল হলো ভোরবেলায় গ্রামে যতরকম পাখ-পাখালি দেখা যায় তার কিছুই প্রায় দেখা যাচ্ছে না। এখন মাঠে আছি, শীতের দিন, কিন্তু পাখি নেই। কিছুক্ষণ আগে বাড়ির মধ্যে ছিলাম, গাছপালা ছিল, তাও পাখি দেখিনি। অথচ ভোরই হলো পাখি দেখার উপযুক্ত সময়।

রহস্যের সমাধান মিলল রাস্তায় উঠার পর। রাস্তার দুধারেই ইউক্যালিপটাস গাছ। মনে পড়ল – গ্রামেও এই গাছ দেখেছি, বিজয়পুরেও। সিএনজিতে বিরিশিরি আসার পথেও এই গাছ দেখেছিলাম। বহু বছর আগে, রাজনৈতিক ডট কম নামে মোহাম্মদ আরজুর সম্পাদনায় প্রকাশিত একটা অনলাইন ম্যাগাজিনে আমার কয়েকটা লিখা প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানেই প্রকাশিত অন্য কারও একটা লেখা পড়ে বাংলাদেশে ইউক্যালিপটাস গাছের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জেনেছিলাম। সংক্ষেপে কিছুটা বলা যাক।

ইউক্যালিপটাস এই অঞ্চলের গাছ নয়। এই গাছ খুব দ্রুত লম্বা হয় এবং মোটামুটি মানের কাঠ পাওয়া যায়। বিদেশী এই গাছের বিস্তার লাভ করার পেছনে মূল কারণ বিদেশী অর্থসাহায্য। আশির দশকে সামাজিক বনায়নের নামে বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে এই দেশে ইউক্যালিপটাস ও অ্যাকাশিয়া বা আকাশমনি ও পাইন গাছের চারা রোপন শুরু হয়। এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ বন ধ্বংস করে বিদেশী এইসব গাছ লাগানোর ক্ষতিকর প্রভাব আবিষ্কার করতে অবশ্য দুই আড়াই দশক লেগে গেছে।

ইউক্যালিপটাস গাছের শেকড় মাটির ২০-৩০ ফুট গভীরেও প্রবেশ করে এবং এই শেকড় দিয়ে প্রতিটি গাছ দৈনিক ৩০-৯০ লিটার পানি শোষণ করে। ফলে, এই গাছের আশেপাশে অন্যান্য ফলজ ও বনজ গাছ টিকে থাকতে পারে না, জমিতে মরূকরণ ঘটে। আরও ভয়ানক হলো, এই গাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে ও বিষাক্ত নাইট্রোজেন ত্যাগ করে। সম্ভবত এ কারণে ইউক্যালিপটাস গাছের আশেপাশে পাখি বাসা বানায় না। উত্তরবঙ্গে এই গাছের ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। ওইসব অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়া ও পানিতে আর্সেনিকের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে এই গাছকে দায়ী করা হয়। পরিবেশের উপর এইসব ক্ষতিকর প্রভাবের কারণেই ২০০৮ সালে ইউক্যালিপটাস গাছের চারা উৎপাদনকে নিষিদ্ধ করা হয়। তা সত্ত্বেও গাছের বিস্তার কমেনি।

যাহোক, রাস্তায় উঠে আসার পর পাখি দেখার আশা যেমন ছাড়তে হলো, নদীতে বেড়ানোর ইচ্ছাও বাদ দিতে হলো। যে রাস্তায় উঠেছি সেটাকে প্রথমে মাটির রাস্তা বলে মনে হলেও পরে আবিষ্কার করলাম – কোন একসময় এটা পিচ রাস্তা ছিল। একের পর এক বালুবাহী ট্রাক যাওয়ার কারণে রাস্তার আসল চেহারা হারিয়ে গেছে। যে রাস্তাটি নদীর দিকে গিয়েছে সেদিক দিয়েই ট্রাক আসছে, ভোরবেলায় ধূলোয় মাখামাখি হবার ইচ্ছা ছিল না। গ্রামের দিকেই ফিরলাম।



এদিকটায় খ্রীস্টানদের আধিক্য রয়েছে। আমরা একটা ক্যাথলিকদের সমাধিস্থান দেখলাম। যতটুকু জানি, এ অঞ্চলের গারো উপজাতির প্রায় শতভাগ ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রীস্টধর্মে দীক্ষিত হয়েছে। উনিশ শতকের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাপ্টিস্ট মিশনারিগণ ব্যপকভাবে খ্রীস্টধর্ম প্রচার শুরু করেন। এছাড়া ক্যাথলিক মিশনারিগণ প্রচারকার্য শুরু করেন ১৯০৯ সালের দিকে। এই এলাকায় মিশনারিদের প্রচুর সামাজিক কাজও রয়েছে। এক দশক আগে এসে দেখেছিলাম অনেক বড় আয়োজনে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। এবার দেখলাম সেই কলেজের নাম ডন বাস্কো কলেজ। অনেক বড় জায়গা নিয়ে বেশ কিছু ভবন ও হোস্টেল নিয়ে কলেজটি। সদর দরজা বন্ধ ছিল, ফাঁক দিয়ে দেখলাম ভেতরের ছেলেরা হোস্টেল থেকে মাঠে নেমেছে খেলাধূলার জন্য। এছাড়া বিরিশিরি দূর্গাপুরে নানা ধরণের প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা রয়েছে যেগুলো খ্রীস্টান মিশনারিরা পরিচালনা করছেন।

দূর্গাপুর সেতু

আমাদের প্রাতঃভ্রমণ শেষ হলো। এবার যেতে চাই গোপালপুরের গারো পাহাড়ে। যেতে হবে সোমেশ্বরী নদীর উপরের সেতু পেরিয়ে। এই সেতুটা আমার বিশেষ পছন্দের। আগেরবার এসে বার কয়েক সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে নীচের নদীতে স্বচ্ছ পানির মৃদু স্রোত বয়ে যেতে দেখেছি। এবার সেরকম কিছু দেখতে পারবো না বুঝে গিয়েছিলাম। তারপরও ভাবলাম হেঁটে সেতু পার হয়ে অটোরিকশা ভাড়া করবো।

দূর্গাপুর সেতু থেকে এক দশক আগে তোলা ছবি

রাস্তা দেখা যাচ্ছিল না। কাদার পুরু স্তর। তার উপর দিয়ে বিশাল বিশাল ট্রাক বালু ভর্তি করে যাচ্ছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। উল্টোদিক থেকে খালি ট্রাক ছুটে আসে তীব্র গতিতে। বালিভর্তি ট্রাকগুলোর শরীর থেকে পানি ঝরতে থাকে। সেই পানিতে রাস্তা কাদা হয়ে যায়। সেই কাদা শুকানোর সুযোগ পায় না। দিনে-রাতে হাজারের বেশি ট্রাক চলে রাস্তার উপর দিয়ে।

বালুর ট্রাক থেকে পানি ঝরে কেন? নেত্রকোনার মহাসড়ক জুড়ে একটু পর পর ভুল বানানে ‘নেত্রকোণা’ সড়ক বিভাগের সাইনবোর্ডে নিষেধাজ্ঞা – ‘ভেজা বালুবাহী ট্রাক চালাবেন না।’ সেই নিষেধাজ্ঞা কেউ মানছে না। নদী থেকে বালু তুলে ভেজা অবস্থায়ই ট্রাকে করে পরিবহন করা হয়, বালু চুয়ে পানি ঝরতে থাকে সড়কে। ২০১৬ সালে ৩১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে শ্যামগঞ্জ-জারিয়া-বিরিশিরি-দুর্গাপুর মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই সড়ক এখন গাড়ি নয়, ঘোড়া চলাচলের জন্য উপযুক্ত। ভেজা বালুর কারণে ট্রাকের ওজন যায় বেড়ে। আবার প্রত্যেকটি ট্রাকের সীমানা দ্বিগুণ উঁচু করা হয়েছে কাঠ দিয়ে। এর ফলে এক ট্রাকে দুই ট্রাক সমান বালু পরিবহন করা যায়। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তৈরি রাস্তা খেয়ে ফেলেছে বালুখেকোরা।



সেতুর কাছে গিয়ে জানলাম – রাস্তা বন্ধ। সেতু ভেঙ্গে গিয়েছে ভারী বালুর ট্রাকের কারণে, তাই মেরামত চলছে। বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হয়েছে নদীতে মাটি-বালু ফেলে। সেই রাস্তা ধরেই আমাদের পার হতে হলো। তারপর অল্পবয়সী চালকের একটি অটোরিকশা ভাড়া করে ফেললাম। এই ছেলেটার কথাবার্তা পরিষ্কার – নানা আলাপ করতে করতে আমরা গেলাম গোপালপুরে।

পাহাড়ে

নেত্রকোনা ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ এটুকুই। অটো ড্রাইভার আমাদের নিয়ে গেলো গ্রামের একদম গভীরে। পাহাড় শুরু হয়েছে। মাঝে রাস্তা এঁকেবেঁকে গিয়েছে। পাহাড়ের উপর ঘরবাড়ি আছে। একটা লোক গরু নিয়ে আরও গভীরে যাচ্ছিল। অটো গাড়ির শক্তিতে অতটা গভীরে যাওয়া সম্ভব না। পায়ে হেঁটে এদিক সেদিক কিছুদূর গেলেও শান্তি পাচ্ছিলাম না। পরে ড্রাইভার নিজেই রাস্তা দেখিয়ে দিল। এই পথ ধরে পাহাড়ে উঠলে পাহাড়ের অন্য দিক দিয়ে নামা যাবে গাড়ি নিয়ে সে অপেক্ষা করবে ওখানেই।

বাচ্চারা সহ সকলে মিলে পাহাড়ে চড়লাম। পর্যটকেরা হয়তো আসে এখানে, স্থানীয়রা তো আসবেই। আমাদের কপাল ভালো – কেউ নেই, কেবল আমরাই। পাহাড়টা বেশ উঁচু নয়, টিলাই বলা ভালো। কিন্তু অনেক গাছপালা, ঝোপঝাড়। ঘাসের উপর পায়ে চলা পথ। সেই পথ কখনও উঠে গেছে, কখনও নামছে। কখনও পাহাড়ের একদম কিনারা ঘেঁষে চলেছে। বাচ্চারা খুবই আনন্দ পাচ্ছিল, আমি পাচ্ছিলাম ভয়। আছাড় খেয়ে পড়লে গড়িয়ে পড়তে হবে। ঠিক পথে এগোচ্ছি কিনা সেই ভয়ও পাচ্ছিলাম। কিন্তু এক সময় দেখতে পেলাম নীচে অটোরিকশা নিয়ে আমাদের পাইলট দাঁড়িয়ে আছে। বুঝলাম, রাস্তা একটাই, পথ হারানোর ভয় কম।



নেত্রকোনা ভ্রমণের সমাপ্তি এখানেই। সময়ের অভাব ছিল বলে পাহাড়ে আরও বেড়ানোর ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ফিরতে হলো।

সোমেশ্বরীতে মুগ্ধ হয়ে ফিরে এসেছিলাম। সোমেশ্বরী মরে গেছে। পাহাড়টা ভালো লেগে গিয়েছে এবার, হয়তো এক দশক বাদে ফিরবো আবার।

(সমাপ্ত)

(প্রায় তিন হাজার শব্দের এই ভ্রমণ অভিজ্ঞতা চারটি কিস্তির পরিবর্তে একসাথে পড়তে চাইলে আমার ব্লগ ঘুরে আসতে পারেন। আর এক দশক আগে ও পরের নেত্রকোনা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি পিডিএফ-ও রয়েছে সেখানে, চাইলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ভ্রমণ বিষয়ে অন্যান্য কাহিনীগুলো পাবেন এখানে। ধন্যবাদ।)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×