শিবির নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে ইদানিং। জাফর স্যার লেখলেন এই প্রজন্ম কিভাবে শিবিরের মত একটা দল করতে পারে!!!!!
আমি এই প্রশ্নের উওর কিছুটা জানি। তা শেয়ার করার জন্যই এই লেখা।
শিবির আছে আমাদের সিস্টমের উদারতার সুযোগে। আমরা একটা স্বাধীন দেশ আমাদের কিছু নিতিমালা থাকা উচিৎ ছিলো বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে। বিশ্বের সব উন্নত দেশেই শিশুদেরকে রাষ্ট্রের সম্পত্তি মনে করা হয়, তারা যেনো কোনো যথাযথ ভাবে বেরে উঠতে পারে সে ব্যাপারে রাষ্ট্র সবসময় সজাগ।
আমার ছেলে মাএ স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে --- স্কুল প্রথম যা শিখিয়েছে তা হচ্ছে নিরাপওা ও আধিকার। ওকে বলেছে কখনো যদি বাবা-মা মারে, যদি অনিরাপদ মনে হয়, যদি সাহায্যের দরকার হয় জাস্ট ডায়াল ০০০।
এদেশে মিশনারীরা বাডী বাডী যায় ধর্ম প্রচার করতে, কিন্তু ওরা কোনো শিশু কিশোরকে টার্গেট করেনা।
কিণ্তু বাংলাদেশে শিশু-কিশোর দের কে পিকেটিং এ লাগানো যায়, তাদেরকে দলভুক্ত করা যায়।
ভয়ংকর ব্যাপার হলো --- লীগ, দল বা জামাত বলেন সবারই কিন্তুশিশু-কিশোর সংঠন আছে!!!!!!!
বাংলাদেশে একটা শিশু সংঠন আছে--- ফুলকুরি, আর একটা হিলফুল ফুযুল। খুবই সুন্দর নিসপাপ নাম।
কিন্তু ফুলকুরি সরাসরি শিবিরের শিশু সংগঠন । কিন্তু ৯০% শিশু এবং তাদের অভিভাবক যারা ফুলকুরির সাথে জরিতো তারা যানেও না ফুলকুরি শিবিরের সংগঠন!!! কারন সংগঠন এর সাথে সংস্লিষ্ঠ কেউই শিকার করতে চায় না।
তারা এলাকা ভিত্তিক ফুলকুরির শাখা করে অনেক ভালো ভালো কথা বলে শিশু-কিশোরদের অন্তভুক্ত করে। আজকের ফুলকুরি আগামীদিনে শিবির আর ভবিষ্যত জামাত। নিরবে সবার অজান্তে, এমন কি নিজেরও অজান্তে শিশু-কিশোর রা শিবিরে জরিয়ে যাচ্ছে।
আমি যখন হাই স্কুলে পরতাম আমাদের এলাকায় মুরাদ নামে এক ছেলে ছিলো আমাদের বয়সী, খুবই ভদ্র ছেলে, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরে।
ও আমাদের কে সংগঠনিক দখতা আরও হাংকি পাংকি বলে একটা শিশু সংগঠন শরু করলো। আমাদের সবাইকে অনেক বড বড পদ দিলো...... ঐ বয়সে সাধারন সম্পাদক, শিখা সম্পাদক.... কঠিন অবস্থা। কয়েক দিন পরে বিভিন্ন কম্পিটিশন ও হয় আমরা পুরষ্কার পাই। আমাদের ভালোই লাগতেছিলো। বিপত্তি টা ভাজালো আমাদের এক বন্ধুর কাজিন। উনি বেডাতে একে শুনে বলল, খবরদার ফুলকুরি শিবিরের সংগঠন.... ১০০০ হাত দূরে থাকো।
সবাই মিলে আমরা মুরাদকে দরলাম, সে কিছুই বলতে চায় না, খালি সাত পাচ, আমরা কি খারাপ কিছু করছি না কি..ইত্যাদি। পরে স্বীকার করলো।আমরা সাথেসাথে সেই ফুলকুরি বাদ।
স্লো পয়গনিং কি জিনিস.....
আপনারা সবাই ফুলকুরি থেকে সাবধান, আপনাদের ছেলেমেয়েদের কে ফুলকুরি থেকে ১০০০০ হাত দুরে রাখুন। ও ভালো কথা ফুলকুরির একটা শিশু পত্রিকাও আছে। ঐ টা থেকেও দূরে রাখবেন।
আমি আসলে ভালো লিখতে পারিনা। ভুল ত্রুটি খমা করে দিয়েন। যারা ভালো ব্লগ লিখেন তারা যদি ফুলকুরি এবং এই দরনের শিশু সংগঠন এর প্রভাব ও ভয়াবহতা নিয়ে লিখলে অনেকেই সচেতন হতে পারতো।
শিশু-কিশোর বয়সে একবার ব্রেন ওয়াস হলে শেষ। ওরা আমাদের জাতিকে এ ভাবেই শেষ করতেছে।
অনেক বড লেখা কেউ কষ্ট করে পরলে ধন্যবাদ। কারো যদি উপকারে আসে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




