somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার মত অনেক বাংলাদেশীই এ রকম একতা স্বপ্ন দেখে। ইশ যদি এমন হত.

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবারের বইমেলায় প্রকাশিত না হওয়া একটি ছোট গল্প।

হাসিনার মনটা ইদানিং কেমন যেন করছে, বয়সতো আর কম হলনা। মৃত্যু চিন্তাও আসে মাঝে মধ্যে। সব দ্বিধা দ্বন্ধ ঝেড়ে ফেলে এক বিকেলে খালেদা ভাবীকে চাযের দাওয়াত দিলেন। খালেদা ভাবী ও যেন ঠিক এটারই অপেক্ষায় ছিলেন। তারও বয়স হযেছে। হায়াত মউত আল্লহর হাতে। যথাসময়ে খালেদা চলে এলো হাসিনার বাসায়। দুজনই দুজনকে জড়িয়ে ধরল। হাসিনা খালেদাকে নিয়ে বসাল। হাসিনা কিছু একটা বলতে যাবে তখনি খালেদা হাসিনাকে থামিয়ে দিয়ে বলল : আপা আমি জাতির জনক কে মনে মনে স্বীকার করলেও তাকে নিয়ে অনেক খারাপ কথা বলেছি, আমার লোকজনত এই বিষয়ে আরো নির্মম ছিল। আমাকে দিয়ে তারা জন্ম দিনের কেক পর্যন্ত কাটিয়েছে। অথচ এই মানুষটার জন্যই আমি আমার সংসার ফিরে পেয়েছিলাম একদিন (খালেদার চোখে পানি)।আপা আপনি এমন একজন মানুষের মেয়ে, সত্যিই আমার হিংসা হয়।

হাসিনা : ভাবী এসব কথা থাকনা। আপনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। এটাওত বিশাল গর্বের। উনারা ১১ জন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন বলেইতো আমার আব্বা বিজয়ীর বেশে দেশে এসেছিলেন। জাতিয় চার নেতা বা ওসমানী সাহেবকে যে সম্মান দেযার কথা আমি তো সেটা দেইনাই। আসলে কারোরই প্রাপ্য সম্মান দিতে পারিনি। আমার লোকজনত জিয়া ভাই আর কাদের ভাই এর মত লোকদেরও রাজাকার বানিয়ে ছেড়েছে (এবার হাসিনাও কান্না চেপে রাখতে পারলনা)।

খালেদা: আপা বাদ দেন এসব কথা। তবে আপা এবার কিন্তু আর কোনো ভুল করা যাবেনা। যেই বিচার শুরু হয়েছে সেটা শেষ করতে হবে। আমার খুব লজ্জা লাগছে এই ভেবে শুধু ভোটের জন্য আমি এদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছি।

হাসিনা: ভাবী আমিও একসময় ওদের সাথে নিয়ে জোটবদ্ধ আন্দোলন করেছি আর আমার দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কে ওদের দোয়া নিতে পাঠিয়েছিলাম। নিজেকেই ঘেন্না লাগছে। আমার বেআই আর দলে থাকা রাজাকার গুলির ও মাফ হবেনা। ভালো কথা বলেছেন এবার আর ভুল নয়। এটা নিয়ে আমার দলকে কোনো রাজনৈতিক ফায়দাও নিতে দিবনা। আচ্ছা ওদের নিষিদ্ধ করে দিলে কেমন হয়।

খালেদা: সেটার মনে হয় দরকার হবেনা। এই যুগে এই রাজনীতি এমনি ই অচল হয়ে যাবে। নিষিদ্ধ করে জটিলতা বাড়ানোর দরকার কি।

হাসিনা: ভাবী আমিওত একটা কলঙ্ক নিয়ে ঘুরছি। ভোটের জন্য স্বৈরাচার এর সাথে জোট করেছি। আমি অনেক পাপী। এইটারে আবার জেলে দিব নাকি।

খালেদা: আপা আমাকে আর লজ্জা দিয়েননা। আমিওত এইটারে নিয়ে কত টানাটানি করলাম। জেলের কথা বলছেন, সেটারও মনে হয় দরকার নাই, জেলের জায়গা নষ্ট করে কি লাভ। রুমাল দিয়ে যতই গলা ঢাকুক আর প্রেমিক ভাব না ছাড়ুক বয়স তো আর থেমে নাই, আর কয়দিন। তার সাথে সাথে ওই দল ও শেষ।

হাসিনা: ভাবীর তো অনেক বুদ্ধি, অথচ আপনার শিক্ষা নিয়ে কত বাজে কথা বলেছি কত সময়।

খালেদা: আপা আসলেই তো আমি তেমন বেশি পড়া লেখা করিনি। তবে ভার্সিটির ভিসি রা সারাদিন ঘুরঘুর করে ত, তাই কিছু শেখা হয়েছে।

হাসিনা: আমিও কি এমন বিদ্যার জাহাজ, কত গুলি কাগজ কিনছি জনগনের টাকায়। ওই ভিসি আর এক্স ভিসিদের কথা আর বইলেননা। খালি পাম্প মাইরা কলাম লেখে যেন তাদের কথা একটু মনে রাখি সময়ে সময়ে। তবে ভাবী সিলেট আর সাভার এর দুই মাস্টর রে কোনো সময় অনুগত বানাইতে পারিনাই।

খলেদা: ঠিকই বলছেন আপা। আচ্ছা আপা আমার পোলা গুলি এইরকম হলো কেমনে।আমিত মানুষের সামনে মুখ দেখাতে পারছিনা।

হাসিনা:ভাবী আপনার পোলার গুলি তাও আপনি বুঝতেছেন, কিন্তু আমার পোলার কাহিনীত আমি বুঝিনা। কিসব ভিওআইপি নাকি বলে। সবগুলা দেশিয় পিএসটিএন বন্ধ ছিল বহুত দিন। পোলাপাইনের কথা বাদ দেন। দুইটা জিনিস মনে হইলে আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে লজ্জায়। এক, গতবার ক্ষমতায় আসার জন্যে বোরকা তসবি ধরে পরে আবার ফেলেও দিলাম আর গতবার ক্ষমতায় থাকতে হরতাল না দেয়ার শপথ করে হরতাল এর রেকর্ড করেছিলাম (হাসিনাকে সত্যিই বিপর্যস্ত বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে )।

খালেদা: আপা এরকম আমিও কত কথা দিয়ে রাখিনি, হরতাল আমিও কি কম দিয়েছি। সংসদে কত বিশ্রী কথা বলেছি, একবারতো চোপ বেআদব পর্যন্ত বললাম। ছি ছি। একটা জিনিস মনে হলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনা। বিনা পয়সার ফাইবার সংযোগ নেই নাই নিরাপত্তার অজুহাতে।

হাসিনা: ভাবী পুরান কথা থাক। আসলে আমার মাথায় একটা প্ল্যান আসছে, যে জন্য আপনাকে ডাকা। আপনি রাজি হলেই আমাদের দেশের চেহারা পাল্টে যাবে।

খালেদা: আপা বলেন, আগেই বলে দিচ্ছি আমি রাজী। মনে হচ্ছে আমি যেটা ভেবে এসেছি আপনিও সেরকম কিছু বলবেন।

হাসিনা: আমরা দুজনই সরাসরি রাজনীতি থেকে অবসর নিব। আমাদের পরিবার এর কেউই ক্ষমতার রাজনীতিতে থাকবেনা। দেশ কে আমরা পারিবারিক গণতন্ত্রের বদলে প্রকৃত ও সত্যিকার গণতন্ত্র উপহার দিব। আমাদের দু দলেরই পচে যাওয়া, গলে যাওয়া, নষ্ট হয়ে যাওয়া আর বয়সের ভারে প্রলাপ বকা লোকজন যেন রাজনীতি করতে না পারে তার চেষ্টা করব।

খালেদা: আমি ঠিকই বুঝেছিলাম আপা। আর আমরা দুজন মিলে দেশের সব ভার্সিটি গুলিতে গিয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আসব। নতুন নেতৃত্বের জন্য রাজনীতির কোনো দরকার দেখিনা। ভার্সিটি গুলিতে নানারকম বিভাগীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সমিতি রয়েছে যেগুলি ছাত্রদের শুধু নেতৃত্বের বিকাশই ঘটায়না, পরিপূর্ণ মানুষ হতেও শেখায়।

হাসিনা : ভাবী বুকের উপর থেকে বিশাল একটা পাথর নেমে গেল।

আচমকা বউ এর ধাক্কায় ঘুম ভেঙ্গে গেল। বউ দেখি আমার উপর মহা ক্ষেপা। আমি বললাম কি হয়েছে। বউ শুরু করলো, ঘুমের মাঝে তুমি দুইটা মেয়ের নাম নিচ্ছিলে। আগে তোমার বন্ধুরা বলত আমি বিশ্বাস করতামনা। এমনকি অনেক মেয়ের সাথে আড্ডা দিচ্ছ এমন ছবি দেখেও তোমার প্রতি বিশ্বাস হারাইনি। কিন্তু আজ আমি নিজেই শুনলাম তুমি দুটি মেয়ের নাম নিয়ে বিড়বিড় করছ। আমি তখন আমার সেই বিখ্যাত বোকা বোকা হাসি দিয়ে স্বপ্নের কথা তাকে জানাইলাম এবং এই যাত্রায় রক্ষা পাইলাম।

পাঠকদের উদ্দেশ্যে : ইহা নিতান্তই একটি গল্প। এই গ্রহের কোনো দেশের বাস্তব কোনো চরিত্রের সাথে মিলানোর চেষ্টা করে সময় নষ্ট করার কোনো দরকার নাই। আর যদি মিলাতেও পারেন সেটা নিতান্তই আপনার মস্তিষ্ক প্রসূত কল্পনা ছাড়া অন্য কিছু আমি লেখক হিসেবে স্বীকার করিবনা। তবে স্বপ্নটা সত্যি হলে মন্দ হয়না

১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×