প্রেম-ভালোবাসা এমন একটি খেলা, যেখানে একপক্ষ সব সময় প্রতারিত হয়। তবু অনেকেই প্রেমে পড়ে। কারণ প্রেম অন্ধ, যদিও-বা বিয়ে চোখ খুলে দেয়। কিন্তু বিয়ের আগে সব তরুণীই ছেলেদের যে কথাটি সবচেয়ে বেশি বলে, তা হলো ‘না’। প্রবাদ আছে, মেয়েরা যখন না বলে, তখন বোঝায় সম্ভবত। আর যখন বলে সম্ভবত, তখন বোঝায় হ্যাঁ। বিয়ের পর নারীরা স্বামীর কাছে যা প্রত্যাশা করে, তাহলো পুরুষ মানুষটির উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ! সফল পুরুষ হলো, যে অনেক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে, কিন্তু কাউকে উপহার দেয় না। আর সফল নারী হলো, যে সবার উপহার পায়, কিন্তু কারো সঙ্গেই প্রেম করে না।
যখন কোনো তরুণী তার বয়ফ্রেন্ডকে সেন্ট উপহার দেয়, বুঝতে হবে সে তার ঘামের গন্ধ সইতে পারে না! লক্ষ্যণীয় ব্যাপার- মেয়ে ফ্রক ছেড়ে সালোয়ার-কামিজ পড়তে শুরু করলে পাড়ায় বাবার সম্মান বেড়ে যায়। ছেলেরা সালাম দিতে দিতে অস্থির করে ফেলে। অনেকের মতে, ছেলেদের মাথা অনেকটা দরজার হাতলের মতো, মেয়েরা ইচ্ছে করলেই ঘুরিয়ে দিতে পারে। কেননা একজন মায়ের ২০ বছর বয়স লাগে তার ছেলেকে যুবক-এ পরিণত করতে, কিন্তু সেই যুবককে গাধায় পরিণত করতে একজন যুবতীর লাগে মাত্র ২০ মিনিট!
বোকা মেয়েরা অবশ্য সহজেই চালাক ছেলেদের মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে, কিন্তু কেবল চালাক মেয়েরাই পারে বোকা ছেলেদের মাথা ঘোরাতে। বিজ্ঞজনেরা ব্যাপারটাকে ব্যাখ্যা করেন এভাবে- কুমারী আর মহামারী একই জিনিস। মহামারী জীবন নাশ করে আর কুমারী নাশ করে পুরুষের হৃদয়! অপরদিকে যিনি রমণীর চেয়েও আকর্ষণীয় কিছু খুঁজে পান, স্বীকার করতে হবে তিনিই প্রকৃত চিন্তাবিদ। যারা ভাবছেন, একটা প্রেম করলে মন্দ হয় না, তাদের জন্য বলছি, দৈহিক সৌন্দর্য প্রেমের যুদ্ধে জয়লাভের অস্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি, মস্তিষ্কের চেয়ে চেহারাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চেহারা বাইরে থেকে দেখা যায়, কিন্তু মস্তিষ্ক দেখা যায় না। আর প্রেমের বাজারে মেয়েদের মূলধন চেহারা, কিন্তু লাভ আরো নিচে!
অভিজ্ঞ মহল বলেন, নারী মাত্রই রহস্যময়ী। যখন কোনো পুরুষ তাকে অনুসরণ করে, তখন সে ছুটে পালায়। আর যখন পুরুষ পালাতে চায়, তখনি সে পিছু নেয়। ছেলেরা মেলামেশার জন্য সাজগোজওয়ালা মেয়ে বেশি পছন্দ করলেও বিয়ে করতে গেলে সাজগোজহীন মেয়েই বেশি পছন্দ করে। মতান্তরে, সুন্দরী মেয়েরা সাধারণত নির্বোধ হয়। কেননা সুন্দরী বলেই পুরুষেরা তাদের প্রেমে পড়ে আর নির্বোধ বলেই সুন্দরীরা তাতে সাড়া দেয়। অবশ্য পুরুষের পরীক্ষা নারীতে, নারীর পরীক্ষা সোনা ও শাড়িতে আর সোনার পরীক্ষা আগুনে। পুরুষের বেলায় বয়স হলো, যা সে নিজে মনে করে আর মেয়েদের বেলায় বয়স হলো, যা তাকে দেখায়।
আরেকটা বিষয়েও আপনারা একমত হবেন যে, উন্নত বক্ষ যুগলের মেয়েদের কোমর খুব সরু হয়। কারণ সব সময় ছায়াতে ঢাকা থাকলে কোনো কিছুই বাড়তে পারে না। বেশিরভাগ ছেলে অবশ্য মেয়েদের ইতিহাসের চেয়ে ভূগোলের প্রতি বেশি উৎসাহী। যদিও তারা জানে না যে, তরুণীর ভূগোল যত গোল, তার ইতিহাস তত গোলমেলে। প্রসঙ্গক্রমে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যেতে পারে, ১৫-২০ বছরের মেয়েরা ভারতবর্ষের মতো রহস্যময় ও আকর্ষণীয়া। ২০-২৫ বছরের মেয়েরা ইউরোপের মতো উপভোগ্য, আনন্দময়, চঞ্চল ও উজ্জ্বল। ২৫-৩০ বছরের মেয়েরা আমেরিকার মতো অভিজ্ঞ, বস্তুতান্ত্রিক ও ব্যবসায়িক বুদ্ধিসম্পন্ন। ৩০-৩৫ বছরের মেয়েরা ব্রিটেনের মতো গম্ভীর, স্মৃতি ভারাক্রান্ত। আর ৩৫-৪০ বছরের মেয়েরা নাইজেরিয়ার মতো, সবাই জানে দেশটা কোথায় কিন্তু কেউ সেথায় যেতে উৎসাহী নয়।
মেয়েদের বুকে লোম হয় না কেন জানেন? কারণ খেলার মাঠে কি কখনো ঘাস গজায়? কোনো তরুণী যদি গলায় উড়োজাহাজের লকেট ঝোলায় এবং কোনো তরুণ সেদিকে হা করে তাকিয়ে থাকে, বুঝে নিবেন- সে উড়োজাহাজের লকেট নয় বরং রানওয়েটা দেখছে! দেখবেনই-বা না কেন, যে যুগ পড়েছে কী আর বলবো? আগে যে পরিস্থিতিতে পড়লে মেয়েরা বলতো, আর এক পা এগুলে আমি কিন্তু চেঁচাবো; এখন সেই একই পরিস্থিতিতে পড়লে মেয়েরা বলে, যা করার তাড়াতাড়ি কর, নইলে আমি চললাম। আর আধুনিক কালের পোষাক তো নয়, যেন রেলিং দেওয়া বাগান। যেমনটি কিনা বাগানের রেলিং দেওয়া থাকলেও ভেতরের সৌন্দর্য উপভোগে কোনোই অসুবিধা হয় না।
চুমু হচ্ছে টয়েলেট পেপারের মতো, প্রথম অংশটুকু ছিঁড়ে নিলে পরের অংশটুকু আপনাআপনি এসে পড়ে। একমাত্র চুমুই একজন খেলে অন্যজনার খাওয়া হয়। তাই বুঝি সবচেয়ে বেশি রোগ ছড়ায় চুম্বনে। আর এই চুমু বাচ্চারা পায় বিনে পয়সায়, যুবক-যুবতীরা পায় লুকিয়ে আর বৃদ্ধদের পেতে পয়সা খরচ করতে হয়। কনকর্ড বিমান যাত্রীদের এত দ্রুত গন্তব্যে নিয়ে যায় যে, কোনো পুরুষ যাত্রীই এয়ার হোস্টেসকে চুমু খাওয়ার সময়টুকু পায় না। কনকর্ড বিমান প্রস্তুতকারকদের মতে, এটা মিসআন্ডারস্ট্যাডিং ছাড়া কিছুই নয়। ভালো কথা, মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং মানে জানেন তো? এর বঙ্গানুবাদ হলো, কুমারী মেয়েটি নিচে দাঁড়িয়ে আছে!
লম্বা কাপড় পড়লে জীবাণু উঠে আসে, কিন্তু খাটো কাপড় পড়লে আরো অনেক কিছুই উঠে আসে। অবশ্য কোনো ভদ্রলোককে কখনো তার পোশাক-পরিচ্ছদ দিয়ে বিবেচনা করবেন না। যদি করতেই হয়, তার স্ত্রীর পোশাক দেখে করবেন। তবে কোনো বিবাহিত পুরুষ যখন রাস্তায় কোনো সুন্দরী মেয়ে দেখে, তখন এই ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে যে, সে বিবাহিত! মুরব্বীরা বলেন, আগে উপায় পরে বিয়ে; কিন্তু এখন বিয়েটাই অনেকের জন্য উপায়। বিয়ে এমন এক বন্ধন, যা অনাত্মীয়কে কাছের আত্মীয় বানিয়ে দেয়। যদিও যে কোনো স্বামীর চোখে নিজের স্ত্রীর চেয়ে অন্য সব মেয়েই বেশি সুন্দরী! মেয়েরা পরশ্রীকাতর আর ছেলেরা পরস্ত্রীকাতর। পুরুষরা মেয়েদের সম্পর্কে সবকিছু জানে, কিন্তু নিজের স্ত্রী সম্পর্কে পুরোপুরি অজ্ঞ থাকে। এ কারণেই বোধহয় সব নারীকে একসঙ্গে স্ত্রী জাতি বলা হয়, কিন্তু সব পুরুষকে একসঙ্গে স্বামী জাতি বলা হয় না!
বিয়ে করা অনেকটা রেস্টুরেন্টে যাওয়ার মতো। আপনি একটা খাবারের অর্ডার দিলেন। তারপর দেখলেন পাশের টেবিলের লোকটির সামনে আরেকটা সুস্বাদু খাবার। তখন আপনার মনে হবে, ওই খাবারের অর্ডার দিলেই ভালো হতো! বিবাহিত পুরুষরা আরেকটা বিষয়েও একমত হবেন যে, পৃথিবীতে কঠিনতম বস্তু স্ত্রীর হৃদয়! এই পর্যায়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, মানুষ তবে বিয়ে করে কেন? জবাব হলো, পুরুষ বিয়ে করে ক্লান্ত বলে আর মেয়েরা বিয়ে করে কৌতুহলী বলে। শেষ পর্যন্ত দুজনেই হতাশ হয়। প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক যত গভীর ও দীর্ঘস্থায়ীই হোক না কেন, কেবলমাত্র বিয়ের পরেই স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে প্রকৃতরূপে চিনতে পারে!
বিয়ে করা মানে নিজের অধিকারকে অর্ধেক আর কর্তব্যবোধকে দ্বিগুণ করে তোলা। তাই মেয়েদের দায়িত্ব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে করে ফেলা আর ছেলেদের দায়িত্ব যত বেশি দিন সম্ভব অবিবাহিত থাকা। চিরকুমার সমিতির কোনো সদস্য যদি আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে করেই ফেলে, তবু তাকে শাস্তি দেওয়া হয় না; কারণ বিয়েটাই বড় শাস্তি! যাই বলুন না কেন, ব্যাচেলর হয়ে জীবন কাটানোর চেয়ে ব্যাচেলরের ছেলে হিসেবে জীবন কাটানো জঘন্য ব্যাপার। ব্যাচেলর ও বিবাহিত যুবকদের মধ্যে মিল হলো, উভয়েরই ফুটো নিয়ে কারবার। অমিল হলো, ব্যাচেলররা বাথরুমের দরজা-জানালা বা ভেন্টিলেটরের ফুটো দিয়ে মেয়েদের স্নানদৃশ্য দেখার চেষ্টা করে। কিন্তু বিবাহিত যুবকরা সেই ফুটো বন্ধ করতে তৎপর থাকে।
একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছেন, কোনো মেয়ে গল্ফ-এর পোশাক পড়ে গম্ফ নাও খেলতে পারে। অনেক সময় সুইমিং স্যুট পরে, কিন্তু জলের ধারে কাছেও যায় না। কিন্তু বিয়ের পোশাক পরলে সেটা না করে ছাড়ে না। কোনো বিধবাকে বিয়ে করা মানে রক্তপাতহীন অভ্যূত্থান ঘটানো। ওদিকে কুঁড়েমির সর্বোচ্চ পরিচয় হলো, কোনো গর্ভবতী মহিলাকে বিয়ে করা। প্রেমিকের প্রয়োজন দিনে, কিন্তু স্বামীর প্রয়োজন রাতে।
বিয়ের সময় বর-কনের হাত ধরিয়ে দেওয়া হয় কেন জানেন? যেমনটা কিনা বক্সিংয়ের আগে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হ্যান্ডসেক করে নেন! এরপর নবদম্পতি যান হানিমুনে-এটা এক ধরনের শিক্ষা সফর, যাতে মাত্র দু’জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পরবর্তী দাম্পত্য জীবনের তিনটি ধাপ- প্রথম বছর স্বামী বলে স্ত্রী শোনে। দ্বিতীয় বছর স্ত্রী বলে স্বামী শোনে, আর তৃতীয় বছর থেকে দু’জনেই বলে, পাড়া-পড়িশরা শোনে। দর্শনের ভাষায় বলতে গেলে থামুন, দেখুন, শুনুন। অর্থাৎ সুন্দরী তরুণীকে দেখে আমরা থামি, বিয়ে করার পর দেখি আর বাকি জীবন বকবকানি শুনি। বলা হয়ে থাকে, যখন স্ত্রী চুল বাঁধে এবং মুখে চুলের কাটা ধরা থাকে, কেবলমাত্র তখনই স্বামী তর্কে জিততে পারে। এ কারণে অনেকে জন্ম তারিখ ভুল গেলেও বিয়ের তারিখ ভোলে না। কেননা দুর্ঘটনার স্মৃতি কোনোভাবেই মুছে ফেলা যায় না! মেয়েরা বিয়ের পর পদবি পাল্টায়, কিন্তু ছেলেরা পাল্টায় না। কারণ মেয়েরা যে ঘর পাল্টায়। আবার পরে কখনো ঘর পাল্টালে সঙ্গে সঙ্গে পদবিও পাল্টে ফেলে। তাই বুঝি টমাস মুর বলেছিলেন, ভালোবাসি যারে তাকে বিয়ে করতে চাই না আর যাকে বিয়ে করি তাকে ভালোবাসতে পারি না।
বাংলাকে আমরা মাতৃভাষা বলি কেন জানেন? কেন পিতৃ-ভাষা বলি না? কারণ বাবা বাংলা বলার সুযোগ পান না, যা বলার কেবল মা-ই বলেন। বিশ্বাস হচ্ছে না? তবে শুনুন, অবিবাহিত পুরুষ ময়ুরের মতো, প্রেমিক পুরুষ সিংহের মতো আর বিবাহিত পুরুষ দামড়া গাধা ছাড়া কিছুই নয়। মতান্তরে অবিবাহিত পুরুষ মানে যে ঝাঁপ দেওয়ার আগে তাকায় এবং তাকানোর পরে পরে ঝাঁপ দেয় না। আত্মসম্মান এমন এক গুণ, যা কেবল অবিবাহিতদের মাঝেই দেখা যায়।
পুরুষ এক কান দিয়ে শোনে, অন্য কান দিয়ে বের করে দেয়। কিন্তু মহিলারা দু’ কান দিয়ে শোনে আর মুখ দিয়ে বের করে। তাই বুঝি স্রষ্টা আগে ছেলে পরে মেয়ে সৃষ্টি করলেন। কারণ তিনি কোনো উপদেশ শুনতে চাননি। আপনি যদি কোনো গুজব ছড়াতে চান, সেক্ষেত্রে কথাটি সর্বাগ্রে কোনো মহিলার কানে তুলে দিন। গুজব ছড়াতে পুরুষের চেয়ে মহিলারা অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য!
আপনি নিশ্চয় জানেন, শিশুদের জন্য মিথ্যা বলা পাপ; প্রেমিকের জন্য মিথ্যা বলা চাতুর্য; অবিবাহিতের জন্য মিথ্যা বলা চমৎকারিত্ব আর বিবাহিত নারীর মিথ্যা বলা স্বভাবের প্রতীক! গুহ্য কথা উহ্য রেখে বাহ্য চাতুর্যই নারী উদার্য। একইভাবে ধরা না পড়া র্পন্ত পরকীয়া বৈধ। বান্ধবীকে নিয়ে ছবি দেখতে যাওয়াটা অভ্যাস, কিন্তু বান্ধবী অন্য ছেলেকে নিয়ে ছবি দেখতে যাওয়াটা বদঅভ্যাস।
সংসারে টানাটানির প্রধান কারণ স্বামী সপ্তাহে পাঁচদিনে যা আয় করে, স্ত্রীকে তাই দিয়ে সাতদিনের খরচ চালাতে হয়। যুগে যুগে স্বামীরা এভাবে খেসারত দিয়েই চলেছেন। আর সেরা খেসারত দিয়েছিলেন বোধহয় সম্রাট শাহজাহান। কারণ তাঁর অমর কীর্তি তাজমহলকে বলা হয় কোনো রমণীর জন্য এ যাবতকালের সর্বোচ্চ খেসারত! যদি আপনার স্ত্রীকে মনোযোগ দিয়ে কিছু শোনাতে চান, তবে ঘুমের ভান করে বিড়বিড় করে বলুন; সফলতা ১০০% ভাগ। অপরদিকে স্ত্রী যদি নিচু গলায় কথা বলে, বুঝতে হবে সে কিছু চাইছে। কিন্তু সেই গলাই যখন বাজখাই হয়ে ওঠে, বুঝতে হবে যে যা চেয়েছিল তা পায়নি।
এই লেখাটি পড়ে যারা লেখকের সঙ্গে পুরোপুরি বা আংশিক দ্বিমত পোষণ করবেন, পরিশেষে তাদের উদ্দেশ্যে একটা গল্প বলে লেখাটার ইতি টানতে চাই। দু’জনেই যুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক। একজন পুরুষ, অন্যজন নারী। আড্ডার ছলে তাদের আলোচনা শুরু হলো। রাজনীতি, ধর্ম, দর্শন, খেলাধুলা সব বিষয় নিয়েই আলোচনা চললো। কিন্তু কোনো বিষয়েই তারা একমত হতে পারলেন না। এই সমাধানহীন আলোচনা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গড়ালো। ক্লান্ত নারী অধ্যাপক হাই তুলে বললেন, এবার বিদায় নেওয়া যাক; আমরা বোধহয় কোনো বিষয়েই একমত হতে পারবো না। পুরুষ অধ্যাপক এবারো দ্বিমত পোষণ করে বললেন, অন্তত একটা ব্যাপারে আমি আর আপনি একমত পোষণ করতে বাধ্য হবো।
- সেটা কী রকম? নারী অধ্যাপক জানতে চাইলেন।
পুরুষ অধ্যাপক বললেন, ধরুন বিপদসঙ্কুল এক বনের ভেতর আপনি পথ হারিয়ে ফেলেছেন। ভয়ে ভয়ে খানিক দূর এগুলেন। ঘন কালো রাত নেমে এলো। হঠাৎ দেখলেন সামনে এক রাজবাড়ি; সেখানে কক্ষ মাত্র দুটোর একটাতে রাজকুমারী আয়েশ করে ঘুমোচ্ছে। আরে কক্ষে তার বিশালদেহী নিগ্রো চাকর। তো সেই রাজবাড়িতে আশ্রয় মিললে রাতে আপনি কোন কক্ষে কার সঙ্গে ঘুমাতে চাইবেন?
নারী অধ্যাপক বললেন, অবশ্যই আমি রাজকুমারীর কক্ষে তার সঙ্গে ঘুমাবো। পুরুষ অধ্যাপক দিলখোলা হাসি হাসলেন। তারপর মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন, এইবার আমি আপনার সঙ্গে একমত হলাম। আমি হলেও ওই রাজকুমারীর সঙ্গেই ঘুমাতে চাইতাম!
প্রিয় পাঠক, আপনিও যদি একমত হন, তবে মুখ বুঁজে থাকুন। কারণ মৌনতা সম্মতির লক্ষণ!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮