somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসেন , একটু হাসি (১৮+ জোকস) (২)

২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবগুলো গল্পই সংগ্রিহিত, কমন পরলে আমাকে বকা দিয়েন না!!!


১। এক লোক অতি বিকট শব্দে বায়ু ত্যাগ করে। তার যেমন বিকট আওয়াজ তেমনি উৎকট গন্ধ। তার বউ বিরক্ত। বউ- তুমি কি এটা ইচ্ছা করেই করো নাকি? লোক-ইচ্ছা করে আবার করা যায়? বউ- কি জানি। তবে তোমার জ্বালায় ত আর থাকতে পারছি না। দেখো কমাতে পারো কিনা। এত কথা পুরোটাই নষ্ট হয়েছে। পরদিন সকালেই আবার বিকট শব্দে কাজ শুরু করেছে। বউ বিরক্ত হয়ে বলল- তুমি যেভাবে চালিয়ে যাচ্ছো তাতে কদিন পর কিন্তু বায়ুর সাথে নাড়ি-ভুড়ি বের হয়ে যাবে। লোক- তুমি কি সব কথা বলো। নাড়ি-ভুড়ি বের হবে কেনো? বউ- বের হবে ...একশবার হবে...তুমি জোর করে এমন বিকট আওয়াজ করো। একদিন সকালে সে অভ্যাসগত ভাবেই বিকট শব্দে ত্যাগ করছে। তার বউ আর শুয়ে থাকতে পারল না। উঠে যেতে যেতে বউয়ের মাথায় এসেছে এক বুদ্ধি। নীচে নেমে ফ্রিজ থেকে মুরগি বের করল। এরপর মুরগির নাড়ি-ভুড়ি নিয়ে এসে স্বামীর পাজামার ভিতর দিয়েছে ঢুকিয়ে। চুপ করে নেমে এলো। রান্না করতে করতে দুই কান খাড়া করে রাখছে সে। কখন তার স্বামী চিৎকার করে ঊঠবে। কিছুক্ষন পর যথারীতি এক চিৎকার। বউয়ের মুখটা আনন্দে ভরে গেছে। এইবার হইছে উচিত শিক্ষা। আধা ঘন্টা পর নেমে এসেছে জামাই। এসেই বলে- ও বউ ,তুমি ঠিকই বলেছিলে। এতো জোরে পাদ দেয়া ঠিক না । আজকে সকালেই পাদ দিয়ে ত নাড়ি-ভুড়ি বের হয়ে গিয়েছিল আমার। বউ - তাই নাকি? লোক-তবে বলছি কি আর। তবে খোদার রহমতে, একটু চেষ্টা করে সমস্তটা আবার ভিতরে ভরে ফেলতে পারছি ।!!

২। এক টুপিওয়ালা একবার এক বনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। যেতে যেতে তার খুব ঘুম পেল। সে তখন একটা গাছের নীচে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। সেই গাছে ছিল কিছু বানর। তারা সবাই সেই টুপিওয়ালার টুপিগুলো মাথায় দিয়ে গাছের উপর উঠে বসল। সন্ধার দিকে টুপিওয়ালার ঘুম ভাঙল। উঠে দেখল তার কাছে তার নিজের টুপিটা ছাড়া আর কোন টুপি নাই, সব গুলো টুপি বানরগুলো মাথায় পড়ে বসে আছে। টুপিওয়ালা একটা ইট ছুড়ে মারল বানরদের দিকে। সাথে সাথে বানরগুলোও কিছু ইট ছুড়ে মারল তার দিকে। টুপিওয়ালা মাথা চুলকালো। বানরগুলোও মাথা চুলকালো। তখন টুপিওয়ালার মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো। সে তার মাথার টুপিটা খুলে ছুড়ে মারল, তখন বানরগুলোও তাদের মাথা থেকে টুপি গুলো খুলে ছুড়ে মারলো। টুপিওয়ালা তখন টুপিগুলো নিয়ে বাসায় চলে আসল। বাসায় এসে সে তার ছেলেদের সব ঘটনা খুলে বলল। এরপর প্রায় বিশ বছর কেটে গেছে। সেই টুপিওয়ালার ছোট ছেলে এখন টুপি বিক্রি করে। একদিন সেই ছেলেটা সেই বনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। যেতে যেতে তার খুব ঘুম পেল। সে তখন সেই গাছের নীচে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লো যেখানে তার বাপ ঘুমিয়েছিল। সেই গাছ থেকে অনেকগুলো বানর নেমে এসে টুপিওয়ালার সব টুপি নিয়ে মাথায় দিয়ে গাছ চড়ে বসল। সন্ধার দিকে টুপিওয়ালার ঘুম ভাঙল। উঠে দেখল তার কাছে তার নিজের টুপিটা ছাড়া আর কোন টুপি নাই, সব গুলো টুপি বানরগুলো মাথায় পড়ে বসে আছে। তখন তার বাপের বলা গল্পটা তার মনে পড়ে গেল। সে তখন একটা ইট ছুড়ে মারল বানরদের দিকে। সাথে সাথে বানরগুলোও কিছু ইট ছুড়ে মারল তার দিকে। টুপিওয়ালা মাথা চুলকালো। বানরগুলোও মাথা চুলকালো। সে তখন তার মাথার টুপিটা খুলে ছুড়ে মারল। হঠাৎ একটা বানর এসে তার গালে ঠাস করে একটা চড় মেরে বলল, "এ ছ্যামরা, কি মনে হরছস তোর বাপেই হুদা তোগোরে গল্পো হুনায় মোগো বাপেরা হুনায় না?"


৩।একদা এক রেড - ইনডিয়ান বালক তার প্রভুকে বলল- ”প্রভু আমি এখন মেয়েদের সাথে দৈহিক মিলনে সক্ষম এবং মেয়েদের সাথে সহবাসে প্রস্তুত।” প্রভু কোন প্রকার বরাগভাজন না হয়ে বলল- ”হে আমার বৎস, প্রকৃত মেয়ে দেহ ভোগের আগে তোমাকে গাছের কাছে যেতে হবে, যাও দিন দিন গাছের সাথে চর্চা করে আসো।” বালক “ঠিক আছে বলে” বেড় হয়ে গেলো গাছের সাথে চর্চা করার জন্য। তিন দিন পর বালক এসে তার প্রভুকে বলল- "আমি তৈরী মেয়ে দেহ ভোগের জন্য।” প্রভু তার একাগ্রতায় মুগ্ধ হলো। সে অনেক গুলো নারীর কাছে নিয়ে বলল-”নাও এখান থেকে যাকে ভালো লাগে নিয়ে যাও, উপভোগ করো।” ছেলে ওখান থেকে তার পছন্দের একজনকে নিয়ে এক নির্জন কক্ষে গেলো। কক্ষের দরজা বন্ধ করে বালক মেয়েটাকে বলল-”তুমি তোমার সব কাপড় খোল, তারপর বাকা হয়ে তোমার হাটু ধরো।” মেয়েটা একটু বিরক্ত হয়ে জানতে চাইলো-”কেন?” বালক বলল-”কোনো কথা নাই, যা বলছি তাই করো।” মেয়েটি অগত্যা কাপড় খোলে বাকা হয়ে হাত দিয়ে হাটু ধরে দাঁড়াল, ছেলেটি পেছন থেকে জোরে মেয়েটির পশ্চাদে লাথি মারল। মেয়েটি বিরক্ত হয়ে জানতে চাইলো- ”এই তুমি একি করছো?” ছেলেটি স্বপ্রতিভ উত্তর দিলো- ”দেখলাম এখানে কোনো মৌমাছির দল আছে কিনা?”

৪।রাতে বিছানায় দম্পতি শুয়ে আছে। হঠাৎ করে স্বামীর সেক্স করতে ইচ্ছা হলো। সে স্ত্রীর কাঁধে টোকা দিলো এবং হাত ঘষে ইঙ্গিত দিতে লাগলো। স্ত্রী পাশ ফিরে স্বামীকে বললো, "ইয়ে, কাল না আমার গাইনেকোলজিস্ট এর সাথে অ্যপয়েন্টমেন্ট আছে। তাই আমি একটু ফ্রেশ থাকতে চাচ্ছি। আজ তাই সেক্স করবো না।" বেচারা স্বামী আর কি করবে। সে পাশ ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করতে লাগলো। কিন্তু তার আর ঘুম আসে না। শেষে থাকতে না পেরে আবার তার স্ত্রীর কাঁধে টোকা দিলো। এবার সে স্ত্রীর কানে ফিসফিস করে বললো, "কাল কি তোমার ডেন্টিস্ট এর সাথেও অ্যপয়েন্টমেন্ট আছে?"

৫।নিজের ইচ্ছেশক্তি পরীক্ষার জন্যে খেঁচা মিয়া ঠিক করলেন, তিনমাস তিনি স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এ ব্যাপারে তাঁর স্ত্রীর তেমন আগ্রহ না থাকলেও খেঁচা মিয়ার প্রস্তাবে রাজি হলেন তিনি। প্রথম কয়েক হপ্তা তেমন একটা সমস্যা হয়নি। দ্বিতীয় মাস থেকে শুরু হলো সমস্যা। ভদ্রমহিলা তখন বোরখা পরে আর রসুন চিবিয়ে ঘুমুতে গেলেন। বহুকষ্টে দ্বিতীয় মাস কাটানোর পর তৃতীয় মাস থেকে সত্যিই খুব কষ্ট হতে লাগলো। মহিলা বাধ্য হলেন খেঁচা মিয়াকে ড্রয়িং রূমের সোফায় ঘুমুতে পাঠানোর জন্যে, আর রাতে নিজের ঘরের দরজায় খিল এঁটে রাখতে হলো তাঁকে। এমনি করে তিনমাস শেষ হলো। একদিন ভোরে শোবার ঘরের দরজায় টোকা পড়লো। ঠক ঠক ঠক। বলো তো আমি কে? ওপাশ থেকে খেঁচা মিয়ার গলা ভেসে এলো। আমি জানি তুমি কে! উৎফুল্ল গলায় বললেন মহিলা। বলো তো আমি কী চাই? আমি জানি তুমি কী চাও! বলো তো আমি কী দিয়ে দরজায় নক করছি?. . .

৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×