আসলে ঈশ্বর আছেন কিংবা নেই এটা কোন বিষয় হতে পারে না। এই পৃথিবীতে যেমন মানুষ রয়েছে, অসংখ্যা জীব রয়েছে তেমনি রয়েছে গাছপালা আরো অনেক কিছু। যদি ধরি ঈশ্বর রয়েছেন তবে তার সৃষ্টির মাঝেই রয়েছেন। মানুষকে যেমন বিচার করা হয় তার কাজ দ্বারা তেমনি সৃষ্টিকর্তাকে খুজে পাওয়া যায় তার সৃষ্টির ভিতর। সৃষ্টির মাঝেই তাই বেচে রয়েছেন সৃষ্টিকর্তা। তাই সৃষ্টিকে সম্মান করতে পারলেই সৃষ্টিকর্তাকে সম্মান করা হয়ে গেল।
যদি ঈশ্বর থেকে থাকেন তার সাথে ধর্মের সম্পর্ক আছে এটা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন না। কেউ যদি বলেন আছে তাহলে কি খ্রিষ্টান ধর্মের ঈশ্বর কিংবা হিন্দু ধর্মের ঈশ্বর অথবা মুসলিম ধর্মের ঈশ্বর আলাদা। এটা কি আসলে সম্ভব? আমার কিন্তু তা মনে হয় না সব ধর্মের জন্য আলাদা ঈশ্বর।
তাহলে সবাই একই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি এটা ধরে নেওয়াই ভাল। আর কেনই বা এত ভেদাভেদ খ্রিষ্টান, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ধর্মের। আমরা সবাই কি তাহলে নিজেদের মানুষ ভাবতে পারি না? বৌদ্ধ ধর্ম তো কোন আলাদা ঈশ্বরকে বিশ্বাসই করে না।
অন্যদিকে আমরা ধরে নেই সৃষ্টিকর্তা একজন পুরুষ। আসলে পুরুষের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা রয়েছে কি? তাই সৃষ্টিকর্তা যদি আলাদা কেউ থেকে থাকেন তার মেয়ে হওয়ার সম্ভবনা বেশি অথবা তিনি উভলিঙ্গের অধিকারী কেউ।
আসলে ঈশ্বর যদি থেকে থাকেন তিনি মানুষের চাটুকারীতায় মুগ্ধ হতে পারেন না। বরং তার সৃষ্টিকে ভালবাসলেই সৃষ্টিকর্তাকে ভালবাসা হয়ে গেল । তাই সৃষ্টিকে ভালবাসতে হবে কোন চাটুকারীতা করা চলবে না। ধর্ম তো চাটুকারীতার বাইরে কিছু নয়। তাই নয় কি?
তাই ধার্মিক না হয়ে মানুষ হওয়ার চেষ্টাই উত্তম মনে হয়। যেমন রবীন্দ্রনাথের গান ভালবাসলেই রবীন্দ্রনাথকে ভালবাসা হয়ে যায়। তাই আসলকে হয়তো আমরা ভুলে গেছি নকলের পিছনে ঘুরতে ঘুরতে।
ধন্যবাদ সবাইকে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




