somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রেললাইনের পুরানো স্লিপার দিয়ে বানানো আমাদের ছোট্ট শহীদ মিনার (ছবি ব্লগ আর কিছু কথা)

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন থেকেই একটা আক্ষেপ ছিলো আমাদের, হলে উঠার পর একবারও ক্যাম্পাসে থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করা হলো না। আসলে প্রতিবার ফেব্রুয়ারিতে সেমিস্টার ভ্যাকেশন থাকে, তাই ঐ সময় আমরা সবাই-ই বাড়ীতে থাকি । কিন্তু এবার পরীক্ষা কিছুটা পিছিয়ে যাওয়ায় আমরা কয়েকজন মিলে ঠিক করলাম, অন্তত এবারের মাতৃভাষা দিবসে সবাই মিলে কিছু একটা করা উচিত। কিন্তু কি করা যায়??

একে ক্যাম্পাসের ত্রিসীমানায় কোনও শহীদ মিনার নাই, কখনো হয়তো হবেও না, তার উপর এখানে ‘এই ধরনের’ অনুষ্ঠান আয়োজন করাটাও অনেক ঝক্কি ঝামেলার ব্যাপার। তাই অনেক ভেবেচিন্তে ঠিক করলাম ভিতরে করতে না পারলে কি হয়েছে, প্রয়োজনে পাশের কুমিরা স্টেশনে একটা শহীদ মিনার তৈরী করে সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবো একুশের ভাষা শহীদদের।

যেমন ভাবা তেমন কাজ, ভোরবেলা আমরা মাত্র ছয় জন সমমনা ছাত্র, রেল স্টেশনের উৎসাহী কিছু কর্মচারী আর উপস্থিত সাধারন মানুষদের সহায়তা নিয়ে বানিয়েও ফেললাম ছোটখাট একটা শহীদ মিনার। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সেই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার কিছু স্থিরচিত্র শেয়ার করছি আপনাদের সাথে :)



















যারা যারা ছিলাম: উমর , রিয়াদ , সুফিয়ান, আবসার, মিজান ভাই, মহি ভাই, জাবেদ আর শরীফ।

শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার পর আমরা কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করলাম, উৎসুক পথচারীদের অনেকেই তখন আমাদের আশেপাশে জড়ো হয়েছে, তাদের অনেকেরই মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিলো না। মিজান ভাই সংক্ষেপে তাদেরকে কিছু কথা বললেন। ঠিক করলাম কাজ যখন হয়েই গেছে বেঁচে যাওয়া রঙ আর চক নিয়ে দেয়ালগুলোতে বর্ণমালা লিখে দিয়ে যাই। আমরা কিছুটা ইতস্তত করছিলাম, দেয়ালে যেহেতু আর কোনও লেখা নাই, লিখলে আবার কোনও সমস্যা হয় কি না। কিন্তু স্টেশনের কর্মচারীরা আমাদের আশ্বস্ত করে বললেন, আপনারা লিখেন কোনও সমস্যা নাই। লাল রঙ দিয়ে বড় বড় হরফে আমরা লিখলাম, “একুশ আমার অহংকার” ( ছবি ব্লগ এখানে )
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×