somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথন- ল্যাভেণ্ডারের সুবাস

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


#পর্ব_৭

স্কলারশীপ প্রাপ্তিতে মনের একটা ভারী বোঝা নেমে গেল। সেইরাতেই মেইল করে আনিসকে জানালাম। সেও এটা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ছিল। স্কলারশীপ না পাওয়া গেলে এই বাইরে থেকে পড়ে আসাটা প্রায় অসম্ভবই এক ব্যাপার ছিল। আর তাছাড়া যে সাবজেক্ট পছন্দ করেছি সেটার টিউশন ফি ছিল কুড়িহাজার পাউণ্ড, অর্থাৎ কুড়ি লক্ষ টাকার বেশ ওপরে। তার মানে, শুধুমাত্র টিউশন ফিতেই এত টাকা চলে যাচ্ছে। অবশ্য কিছু সাবজেক্ট ছিল যেগুলোর টিউশন ফি বেশ কম। বারো হাজারের মধ্যেও ছিল কিছু সাবজেক্টের ফি। আমার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কতৃক সুপারিশকৃত কিছু ইউনিভার্সিটি ছিল যেগুলোতে পড়তে গেলেও অর্ধেক টিউশন ফিতে পড়ে আসা সম্ভব। এই ব্যাপারে অবশ্য বিস্তারিত কিছু আমার জানা নেই।
কিন্তু আমি চিন্তা করে দেখলাম, যারা টাকা পয়সা বাঁচাবে আমি তাদের দলভূক্ত না হয় নাই হলাম। ইউকে থেকে ভালো একটা ইউনিভার্সিটিতে পছন্দসই একটা সাবজেক্টে পড়ে আসার আনন্দময় স্মৃতিটুকুই যেন আমার প্রাপ্তিতে জমা হয়। অন্যকিছুর আকর্ষণ তাই আমি সচেতনভাবেই এড়িয়ে গেলাম।

এখানে একটা কথা বলে রাখা প্রয়োজন। এই যে টিউশন ফি’র কথা উল্লেখ করলাম, এটা শুধুমাত্র ইন্টারন্যাশনাল ছাত্রছাত্রীদের জন্য। ইউকে’র ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই টাকার পরিমাণ একেবারে অর্ধেক। কাজেই ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট মানে যে সত্যিই সোনার ডিম পাড়া মুরগী, এই কথা এমনি এমনি আমার মাথাতে আসেনি।
পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ভিসায় দাঁড়ানোর আয়োজন শুরু করে দিলাম। আমাদের এই শিক্ষাকালীন সময়টা প্রেষণ হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ ‘কাজে নিয়োজিত সময়কাল’ হিসেবেই গণ্য হবে। এই সময়ের পুরো বেতন আমার একাউন্টে মাসে মাসে জমা হতে থাকবে। যাওয়ার আগে পুরো সময়ের আগাম বেতন বিল সই করে গেলেই হবে। সব মিলিয়ে ব্যাপারটা দারুণ!

ভিসার কাগজপত্র তৈরি করে অল্প সময়ের মধ্যেই ভিসায় দাঁড়ানোর আবেদন করে ফেললাম। আমি দেশে বসে একা একা যদি সব সামলাতে না পারি, সেজন্য দূরে বসে আনিস এই ব্যাপারে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করলো আমাকে। আমি একেবারে হাত পা ছেড়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে বললাম, ‘সবকিছু একা একা করতে গিয়ে আমি পেরেশান। ভিসায় দাঁড়াতে কী কী লাগবে, আমাকে ঠিক করে দাও!’
আমি সব ঝামেলা তার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে চুপচাপ বসে রইলাম। এই পর্যন্ত ঝক্কি সামলিয়েই আমি তখন বেজায় ক্লান্ত। আনিস ভিসার ডেট ঠিক করলো। ইউকে’র ভিসার জন্য আগে গিয়ে টিবি টেস্ট করিয়ে আনতে হয়। তাদের লিস্টে কিছু দেশ আছে, যেগুলো ‘টিবি প্রোণ এরিয়া’ হিসেবে চিহ্নিত। আর অবধারিতভাবেই বাংলাদেশ সেই ‘টিবি প্রোণ’ এরিয়ার মধ্যে পড়ে। কাজেই এসব দেশ থেকে ভিসার জন্য দাঁড়াতে হলে অবশ্যই টিবি পরীক্ষা করিয়ে তার সার্টিফিকেট ভিসা আবেদনের কাগজপত্রের সাথে জমা দিতে হবে। শরীরে শুধু যে ‘এক্টিভ’ বা সক্রিয় টিবি জীবাণু না থাকলেই পার পাওয়া যাবে তা নয়, বরং ‘ল্যাটেন্ট’ বা সুপ্ত জীবাণু থাকলেও চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হওয়ার পরে ইউকে যাওয়ার অনুমতিপত্র পাওয়া যাবে।
মেজাজ একেবারে তিরিক্ষি হয়ে গেল। এত ঝামেলা! ঝামেলার ওপরে ঝামেলা!

নতুন এক ভয় চেপে ধরল আমাকে। কাশিজনিত সমস্যাটা আমার নিজেরও আছে। একবার কাশি হলে কিছুতেই তা সহজে ভাল হতে চায় না। অনেক সময় তা দেড় মাসের ওপরেও বহাল থাকে। কাশি হলে যেহেতু সহজে সারতে চায় না, কাজেই আমি শুরুতেই এন্টিবায়োটিক শুরু করে দিই। পাশাপাশি টোটকা ফোটকা চলতেই থাকে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না। কাশতে কাশতে একেবারে পেরেশান হয়ে যাই। এটা যেহেতু আমার চিরাচরিত সমস্যা, সেজন্য আমি কখনো টিবি টেস্ট করিনি আগে। জানতাম যে কাশি হলেই তা অক্ষয় রয়ে যাবে কয়েক সপ্তাহ। এদিকে দুই সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলেই নাকি টিবি টেস্ট করানোর নিয়ম।
আমি তো একেবারে সুনিশ্চিত হয়ে গেলাম যে, আমার নিশ্চয়ই এই ‘সুপ্তায়িত’ টিবিই ধরা পড়বে। সেজন্যই আমার কাশি ভালো হতে চায় না।

দুশ্চিন্তা বেশ ভালোরকমভাবেই গেড়ে ফেললো আমাকে। আমার তখন এমন এক অবস্থা, যেটাই সামনে আসে সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তা করি। একা একা দুশ্চিন্তা করে পোষাচ্ছিল না, তাই ফোন করে আম্মার মধ্যেও দুশ্চিন্তা ঢুকিয়ে দিলাম। দুশ্চিন্তা এমনই এক মজাদার জিনিস যে, এর তীব্রতায় এক পর্যায়ে মনে হয়... সামনে সত্যি সত্যিই এই ঘটনা ঘটতে চলেছে।
টিবি টেস্টের রিপোর্ট হাতে নেওয়ার পরে নিশ্চিত হলাম, আল্লাহর অসীম রহমতে সক্রিয় নিষ্ক্রিয় কোন জীবাণুই আপাতত শরীরে বাসা বাঁধেনি।

এনএইচএস (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস, ইংল্যাণ্ড) এর স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার জন্য প্রতি বছর জনপ্রতি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হয়। ভিসার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগেই টাকাটা জমা দিয়ে এর কনফার্মেশন লেটার সংগ্রহ করতে হয়। পরে আবেদনপত্রের সাথে এই লেটারও জমা দিতে হয়। সেই টাকার পরিমাণও বেশ ভালোই। আমাকে আর নতুন ঝামেলায় না ফেলে এই টাকা জমা দেওয়ার ভারও আমার বরই তার কাঁধে তুলে নিল ।
যেহেতু ডিপেন্ডেন্ট ভিসায় দাঁড়াচ্ছি, ম্যারেজ সার্টিফিকেটও জমা দেওয়া জরুরি। আনিস কী কী কাগজপত্র নিতে হবে, সেগুলোর ব্যাপারে আমাকে ক্রমাগত স্কাইপেতে জানিয়ে যেতে লাগল। আমি সেই মোতাবেক প্রস্তুতি নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে তাহসিন সমেত ইউকে ভিসা অফিসে চলে গেলাম।

ইউকে আর আমেরিকার ভিসা প্রসেসিং সম্পূর্ণ ভিন্ন। আনিসের পিএইচডি’র সময়ে আমরা সপরিবারে আমেরিকা গিয়েছিলাম। আমি অবশ্য তাহসিনকে নিয়ে দেড় বছর পরেই দেশে ফিরে আসি। আমেরিকার ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে সব কাগজপত্র নিয়ে ছোটখাট একটা ভাইভা দিতে হয়। ইউকে’র ভিসার ক্ষেত্রে কাগজপত্র সব তৈরি করে ভিসা অফিসে জমা দিতে হয়। তারা সেই কাগজপত্র একটা বড় খামবন্দি করে ইণ্ডিয়ায় পাঠিয়ে দেয়। সেখানেই ইউকে’র ভিসার জন্য করা আবেদনপত্রগুলো প্রসেসিং করা হয়। সেখান থেকেই খামবন্দি অবস্থায় আবেদনপত্রগুলো পুনরায় দেশে ফিরে আসে। ভিসা রিফ্যুইজড নাকি এপ্রুভড সেটা সেই খাম খোলার পরেই জানা যায়।
ভিসার আবেদন করার সময় দুজনের জন্য প্রায় দেড়লাখ টাকা জমা দিতে হলো। টাকাটা দেওয়ার সময়ে ভেতরটা একেবারে খচখচ করছিল। শুধু মনে হচ্ছিলো, ইস! এতগুলো টাকা এভাবে দিয়ে দিতে হলো!

ম্যারিজ সার্টিফিকেটটাও সাথে নিয়ে গেলাম। যেসব জরুরি কাগজপত্র ডিপেণ্ডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে জমা দেওয়া জরুরি, সেগুলোর মধ্যে অবশ্য ম্যারেজ সার্টিফিকেটের কথা কোথাও পেলাম না। একটা ছেলে কাগজপত্রগুলো ঠিকঠাক করে দিচ্ছিল। তাকেও ছয়হাজার টাকা দিতে হলো। সেখানে গিয়ে যেটা বুঝলাম, শুধু টাকারই খেলা। যেখানেই হাত দিচ্ছি টাকা দিতে হচ্ছে। আর এই ভিসা সংক্রান্ত অফিসগুলোতে যারা চাকরি করে তাদের মধ্যে একটা ফরেন ফরেন ভাব চলে আসে। সেখানকার দারোয়ান, পিওন...সবাই ইন্টারন্যাশনাল একটা লেভেলে চলে যায়। অন্ততঃ তাদের ভাবগতিকে সেটাই বোধ হয়।
আমি ছেলেটাকে বললাম, ‘ম্যারেজ সার্টিফিকেটটা কি জমা দিব? এটা কিন্তু ট্র্যান্সলেট করা নেই। যদি জমা দেওয়ার প্রয়োজন থাকে, তাহলে ট্রান্সলেট করিয়ে আনি।’
ছেলেটি বললো, ‘ট্রান্সলেট এখান থেকেই করা যাবে। তবে ট্রান্সলেট করার দরকার নেই। ওরা বাংলা পড়তে পারে।’

মানুষ মাঝে মাঝে কিছু গাধার মতো ভুল করে বসে, যা পরবর্তীতে মনে পড়লে শুধু হাত পা কামড়াতে ইচ্ছে করে। এই ছেলেটার কথামতো এভাবে ট্রান্সলেট না করে ম্যারেজ সার্টিফিকেট জমা দেওয়াও ছিল আমার সেরকমই একটা ভুল।
সে এই কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য একটা ভালো পরিমাণ টাকাই আমার কাছ থেকে নিলো, অথচ সঠিক তথ্যটা দিয়ে আমাকে উপকৃত করতে পারল না। যেকোনো ক্ষেত্রে আমরা যদি আরেকটু প্রফেশনাল আচরণ করতে পারতাম, তাহলে হয়ত আমাদের দেশের চেহারাটা অন্যরকম হতো।

ভিসার আবেদনপত্র জমা দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে ঈদে বাবার বাড়ি গেলাম। ঈদের দিনে আনিস ফোন করলো। যদিও সে খোলাসা করে তেমন কিছু বললো না, তবু বুঝলাম কোনো একটা কারণে সে চিন্তিত। ঢাকায় ফেরার পরের দিন সে ফোন করে বললো, ‘ভিসার রেজাল্ট মনে হচ্ছে পজিটিভ হবে না। এনএইচএস এর টাকা ফেরত এসেছে!’
আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। এটা কীভাবে সম্ভব? হায় হায়! কী হবে তাহলে? এদিকে হাতে আছে আর মাত্র কয়েক মাস!
বাড়িতে আমার মা’ও খুব চিন্তায় পড়ে গেল। কাজের মেয়েদের কাছে নাকি বলত, ‘আমার মেয়েটার ইচ্ছেটা বুঝি পূরণই হবে না!’
এর পরের দিনই ফোনে ভিসার কাগজ সংগ্রহ করার মেসেজ পেলাম। যেখানে কাগজপত্র জমা দিয়ে এসেছিলাম, সেই ভিসা অফিসেই আবার গেলাম রেজাল্ট সহ জমা দেওয়া কাগজপত্র আনার জন্য।
যা ধারণা করা হয়েছে তাই সত্যি হলো। আমাদের ভিসা আবেদন রিফ্যুউজড হয়েছে। কাগজপত্রের সাথে একটা রিফ্যুউজাল লেটারও দেওয়া আছে। লেটারটির ভাষা ছিল এইরকম, ‘...ডিপেন্ডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা হলেও আবেদনকারী ফাহ্‌মিদা বারী’র সাথে ড মুহম্মদ তালুকদারের সম্পর্ক সুনিশ্চিত নয়। যে একখানা ম্যারেজ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়েছে, তা আবার পড়াও যাচ্ছে না!’
আর তাহসিনের আবেদনপত্রের সাথে যে লেটারটি দিয়েছে তার ভাষা হচ্ছে, ‘যেহেতু আপনার মায়ের আবেদন রিফ্যুউজ করা হয়েছে, কাজেই তার ওপরে নির্ভরশীল বিধায় আপনার আবেদনখানাও রিফ্যুউজ করা হলো...’

মানে কী দাঁড়ালো? সপ্তকাণ্ড রামায়ন পড়ে সীতা রামের কে? পনের বছর সংসার করে এখন স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। সবচেয়ে যেটা মর্মান্তিক ব্যাপার তা হচ্ছে, যে টাকাটা আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হয়েছে তা একেবারে পানিতে গেছে। সেই টাকা আর ফেরত পাওয়া যাবে না!
আমি বিভিন্নজনের সাথে আলাপ করলাম। কেউ কেউ শুনেই বিজ্ঞের মতামত দিয়ে বললো, ‘হুম! এটা তো ওদের ব্যবসা! সব আবেদন প্রথমবার রিফ্যুউজ করে। যাদের যাওয়ার তাড়া, তারা তো দ্বিতীয়বার করবেই! আর মাঝখান থেকে এতগুলো টাকা ভিসা অফিসের পেটে ঢুকে গেল! ভালো না?’
কেউ কেউ সবজান্তার ভঙ্গিতে বললো, ‘আরে, বাংলায় লেখা ম্যারেজ সার্টিফিকেট জমা দেয় কেউ? ওরা কি ট্রান্সলেট করে পড়বে নাকি? আপনাকেই সেটা করে দিতে হবে না?’

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৮
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×