মাঝে কিছু সময় গেল...
আসলেই কিছু সময় ফুড়ুত করে উড়ে গেছে। সামুতে আসা হয়নি। ভাগাভাগি করা হয়নি আমার বইপ্রকাশের গল্পগুলো।
আমি ২০২৩ সালে বিশ্ববিখ্যাত লেখকদের কিছু অত্যন্ত জনপ্রিয় গল্প নিয়ে একটি গল্পগ্রন্থ বের করেছি। বইটি আমার আশাকে ছাড়িয়ে পাঠকদের কাছে ছড়িয়েছে। প্রচুর রিভিউ পেয়েছি বইটির। সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রকাশনী 'সাইলেন্ট পাবলিকেশন্স' থেকে বইটি প্রকাশ করেছি। এই প্রকাশনীর একজন কর্ণধারের (রূপা খানম) সাথে আমার পরিচয় হয় 'চৈতন্য' থেকে বই আনার সুবাদে। সে তখন স্টলে বসত। হাসিখুশি চটপটে মেয়েটি একদিন মেসেঞ্জারে নক দিয়ে বলে, 'ওহ আপা, ইংরেজি কেমন পারেন?'
বললাম, 'পারি, কাজ চলে যায়। ঠেকে থাকে না। কেন বলো তো?'
তখন সে বলল, 'তাহলে একটা অনুবাদের বই আনেন দেখি! আপনার লেখা দিয়েই প্রথম যাত্রা শুরু করি!'
আমিও কেমন জানি নেচেই উঠলাম। 'উঠ ছুড়ি তোর বিয়ে'র গতিতেই গল্পবাছাই, অনুবাদ সবকিছু চলল সমান তালে। যথাসময়ে বইটিও এলো।
বইটি নিয়ে সংক্ষেপে জানিয়ে গেলাম।
বই: চেনা মুখ অচেনা অবয়ব
অনুবাদিকা: Fahmida Bari Bipu
জনরা: সাসপেন্স থ্রিলার
প্রকাশনায়: সাইলেন্ট পাবলিকেশন্স
প্রচ্ছদ: লর্ড জুলিয়ান
‘চেনা মুখ অচেনা অবয়ব’ ফাহ্মিদা বারীর প্রথম অনুবাদ গল্পগ্রন্থ যা ২০২৩ অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সাইলেন্ট পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
‘চেনা মুখ অচেনা অবয়ব’ এর গল্পগুলো নেওয়া হয়েছে ছয়টি অবিস্মরণীয় গল্প থেকে। গল্পগুলো পাঁচজন বিখ্যাত লেখকের, যারা থ্রিলার ও সাসপেন্স গল্পের জগতে নিজের নিজের সময়ে রাজত্ব করেছেন এবং করছেন। গল্পগুলোর সরাসরি অনুবাদ না করে ভাবানুবাদের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে গল্পের ভাষা হয়েছে পরিশীলিত এবং প্রাঞ্জল। মূল লেখকের ভাবনা এবং গল্পের মূল সুরটা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে অনুবাদক দৃষ্টি রেখেছেন।
রোল্ড ডালের গল্প ‘ল্যাম্ব টু দ্য স্লটার’ অবলম্বনে ‘ল্যাম্বপিস’ গল্পটার কথাতেই আসা যাক। মেরি ম্যালোনি আর তার স্বামী প্যাট্রিক ম্যালোনির গল্প এটি। মেরি প্রতি সন্ধ্যায় তার স্বামীর ঘরে ফেরার পথ চেয়ে থাকে। ম্রিয়মান দিনগুলোর মধ্যে এটুকু সময়ই মেরি প্রাণভরে উপভোগ করে। প্রতি বৃহস্পতিবারে তারা দুজন বাইরে খেতে যায়। সেদিনও ছিল বৃহস্পতিবার। প্যাট্রিক ঘরে ফিরল ক্লান্ত বিপর্যস্ত হয়ে। আজ তার বাইরে যেতে ইচ্ছে করছে না। মেরি রাঁধতে বসল এক বিশাল ল্যাম্বপিস। কেমন জমেছিল সেদিন খাওয়াটা?
রোল্ড ডালের দ্বিতীয় গল্প ‘দ্য টেস্ট’ অনুসরণে অনূদিত গল্প ‘স্বাদ’। মাইক স্কোফিল্ডের বাসায় সেদিন ডিনারের আমন্ত্রণে ছয়জন একত্রিত হয়েছিল। চল্লিশোর্ধ ভোজনরসিক বিশেষত পানীয় বিশারদ রিচার্ড প্র্যাট পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে নিয়ে আসা ক্লারেটের নাম বলে দিতে পারে। রিচার্ডের মজবুত দক্ষ টেস্ট বাড কখনওই ধোঁকা খায় না! মাইক বাজি ধরে বসে। বাজিতে জিতলে মাইক পেতে পারে রিচার্ডের দু দুটো বাড়ি! কিন্তু হারলে নিজের কচি মেয়েটাকে ঐ বুড়ো ভামের সাথে বিয়ে দিতে হবে! তারপর?
ডাব্লিউ ডাব্লিউ জেকবসের লেখা তার জীবনের সেরা গল্প ‘দ্য মানকিজ প’ অনুসরণে অনূদিত গল্প ‘বানরের থাবা’। মন্ত্র পুরে রাখা এই বানরের থাবাটি নাকি তার মালিকের তিনটি ইচ্ছে পূরণ করতে পারে। ইচ্ছেপূরণ হয় ঠিকই, কিন্তু তা রেখে যায় সারাজীবনের অনুতাপ!
এডোগাওয়া রানপো’র গল্প ‘দ্য হিউম্যান চেয়ার’ অনুসরণে অনূদিত গল্প ‘মানবচেয়ার’। বিখ্যাত জাপানি লেখিকা ইয়োশিকো তার এক ভক্তের কাছ থেকে একটি চিঠি পায়। ভক্তের নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার গল্প। অথচ সেই গল্পতে জড়িয়ে আছে ইয়োশিকো নিজেই! কীভাবে?
শার্লি জ্যাকসনের গল্প ‘দ্য পসিবিলিটি অফ ইভিল’ অনুসরণে অনূদিত গল্প ‘অশুভ সম্ভাবনা’। কিছুটা মনস্তাত্ত্বিক ঘরানার এই সাসপেন্স গল্পের নায়ক সত্তর বছর বয়সী অ্যাাডেলা স্ট্রেঞ্জওর্থ। নিজের শহরটিকে খুব ভালোবাসেন তিনি। ভালবাসেন এই শহরের মানুষদেরকে। তাই তো শহরের সবরকম অশুভ সম্ভাবনাকে তিনি নিশ্চিহ্ন করে দেন। কীভাবে করেন এই কাজ আর কতটুকুই বা সফল হন এতে?
অ্যান্ডি উইয়ারের লেখা গল্প ‘দ্য সেফ’ অনুসরণে অনূদিত গল্প ‘সেফ’। ডরিস দুর্ঘটনার পরে হাসপাতালে কথা বলছে তার ডক্টরের সাথে। ডক্টরের প্রশ্নের জবাবে ডরিস নিজের জীবন নিয়ে অনেক কথা বলে। কিন্তু যা বলছে সব কি সত্যি? দেখা যাক!
আমার রকমারি আইডি লিংক এড করে দিচ্ছি। এখানে আমার প্রকাশিত বইগুলো পাবেন। আগ্রহী হলে নিতেও পারেন
https://www.rokomari.com/book/author/70305/fahmida-bari



অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


