somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফালতু কথা ৭

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বাস
-------------------
এই শিরোনামে মুক্তমনা ব্লগার জনাব আসিফ মহিউদ্দিনের একটি লেখা চোখে পড়লো। তার অনেক মতকে্ই আমি শ্রদ্ধা করি এবং মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি। কিছু কিছু বিষয়ে তাকে অনেক চিন্তাশীল ও বুদ্ধিদীপ্ত মনে হয়। কিন্তু এই শিরোনামের লেখায় কিছুটা অপরিপক্কতা প্রকাশ পেয়েছে, যা তার মতো মানুষের নিকট থেকে মোটেও কাম্য নয়। তাই বিষয়টি নিয়ে তাকে দ্বিতীয়বার ভাববার ও নিজের মতকে সংশোধন করে নেওয়ার জন্যই আজকের এ লেখাটি লিখছি।

বিশ্বাস এমনই এক শব্দ যার উপর নির্ভর করা ছাড়া সুস্থ-সাভাবিক জীবন যাপন করাএক দিনও সম্ভব নয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি মানুষেরই এই বিশ্বাসের উপর ভর করে জীবন পরিচালিত করতে হয়। ছোটবেলায় মা বলেছিলেন উনি তোমার বাবা, আমি বিশ্বাস করেছিলাম, উনি তোমার মামা, উনি দাদী, উনি খালা, আমি বিশ্বাস করেছিলাম। তারপর শিখিয়েছিলেন এটা তোমার মাথা, এটা তোমার হাত, ওটা আকাশ, ওটা চাঁদ, ওটা সূর্য, ওটা গাছ, ওটা মাছ, এটা "ক" বর্ণ, ওটা ব্ই ইত্যাদি, আর আমি সব বিশ্বাস করেছিলাম। দুষ্টুমি করলে অথবা কান্না করলে বড়রা বলতেন ঐযে বাঘ আসছে, ভুত আসছে, আমি বিশ্বাস করে দুষ্টুমি করা কিংবা কান্না করায় ইতি টানতাম। স্কুলে বই খুলে স্যার পড়াতেন, পৃথিবী গোল,সূর্যের চার দিকে নিজ নিজ কক্ষ পথে ঘূর্নায়মান নয়টি গ্রহ নিয়ে আমাদের সৌরজগত, আমরা নিশ্বাসের সাথে
অক্সিজেন গ্রহণ করি, চাঁদের নিজের কোন আলো নেই, চাঁদের আকর্ষনের কারনে জোয়ার ভাটা হয়, মহাকর্ষ, অভিকর্ষ কিভাবে কাজ করে, অনূ, পরমানুর গঠন প্রনালী, ইত্যাদি আর আমি সেগুলো বিশ্বাস করেছিলাম। কর্ম জীবনে এস অফিসে যাবার সময় বিশ্বাস করি যে এই গাড়ি
আমাকে আমার অফিস পর্যন্ত পৌছে দেবে তাই উক্ত গাড়িতে চড়ি, এই প্লেন আমাকে আমেরিকা পৌছেঁ দেবে এই বিশ্বাস করি বলে প্লেনে চড়ি, ব্যাংকে টাকা রাখলে আমার টাকা নিরাপদ থাকবে বিশ্বাস করি বলে সেখানে টাকা রাখি, মাস শেষে বেতন পারো বিশ্বাস করি বলে চাকরী করি, অমুক ব্যাক্তি টাকা ধার নিলে টাকা ফেরত দেবে বিশ্বাস করি বলে টাকা ধার দেই, আমার ঘর আলোকিত করে একদিন ফুটফুটে চাাঁদের টুকরো আসবে বিশ্বাস করি বলে স্ত্রী সহবাস করি। মোট কথা জীবনের প্রতিটি দিনই বিশ্বাসের উপর ভর করে আমাদের চলতে হচ্ছে। বিশ্বাস এমনই একটি বিষয় যে এটা নিয় একটু বিষদ অলোচনার জোর দাবি রাখে। আসুন এবার সে দিকে একটু নজর দেওয়া যাক।

বিশ্বাস কি?
-------
এ বিষয়ে আলোচনা করার আগে একটি উদাহরন দেয়া যাক। ধরুন আপনাদের বাড়িতে আপনার মামা বেড়াতে আসলেন। তিনি যখন আসলেন তখন আপনার বাবা বাসায় ছিলেন না। আপনি মামাকে আদর আপ্যায়ন করলেন। কুশলাদী জিজ্ঞেস করলেন, বিভিন্ন বিষয়ে আপনাদের কথা
হলো। যাবার সময় তিনি আপনাদেরকে তার মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দিয়ে চলে গেলেন। আপনার বাবা আসলে তাকে আপনার মামা বাসায় আসার কথা জানালেন। এখন আপনার মামা বাসায় আসার বিষয়টি যেহেতু আপনার বাবা দেখেননি তাই তাকে আপনার কথায় হয় বিশ্বাস করতে হবে
যে, আপনার মামা বাসায় এসেছিলেন। নতুবা অবিশ্বাস করতে হবে যে, তিনি আসেনিনি। এ ক্ষেত্রে আপনার বাবার কিছু পূর্ব অভিজ্ঞতা, বাস্তব জ্ঞান ও কিছু পর্যবেক্ষনের উপর নির্ভর করতে হবে। আপনার বাবার পূর্ব অভিজ্ঞতা যদি প্রকট হয় যে আপনি সদা সত্য কথা বলেন তাহলে সহযেই তিনি বিশ্বাস করবেন যে, আপনার মামা বাসায় এসেছিলেন। আবার যদি পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে যে, আপনি কথায় কথায় মিথ্যা বলেন তাহলে তার বিশ্বাস করতে একটু কষ্ট হবে এবং তিনি আপনার পরিবারের অন্য সদস্যদের নিকট জিজ্ঞেস করে বিষয়টি নিশ্চিত হবেন। তার পরেই তিনি দাওয়াতের যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। আপনার বাবার ক্ষেত্রে বিষয়টি প্রত্যেক্ষ জ্ঞান নয় বরং পরোক্ষ জ্ঞানের মাধ্যমে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হচেছ অথচ আপনার ক্ষেত্রে বিষয়টি পরোক্ষ জ্ঞান নয় বরং প্রত্যেক্ষ। যেহেতু আপনি নিজে স্ব-চক্ষে আপনার মামাকে দেখেছেন, কথা বলেছেন, সেহেতু আপনার নিকট বিষয়টি প্রত্যেক্ষ, এটা বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাসের প্রশ্নই ওঠেনা। কিন্তু আপনার বাবা যেহেতু আপনার মামাকে দেখেননি সেহেতু আপনার কথার উপর ভিত্তি করেই তাকে পরোক্ষভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, এখানে বিশ্বাস অথবা অবিশ্বাসের প্রশ্ন।সুতরাং দেখা যাচেছ বিষয় একই কিন্তু অবস্থাভেদে পর্যবেক্ষন ভিন্ন ভিন্ন। একজনের নিকট যেটা প্রত্যেক্ষ, অন্য জনের নিকট সেটা বিশ্বাস।

ইদানিং কালে অনেক পন্ডিত ব্যাক্তিই বলে থাকেন, প্রমান ছাড়া অথবা না দেখে কোন কিছু বিশ্বাস করি না। কিন্তু আসল কথা হলো যা প্রমানিত অথবা যা সরাসরি প্রত্যেক্ষ করা যায় তাকে আর বিশ্বাসের প্রয়োজন হয় না। পরোক্ষ জ্ঞান মাত্রই বিশ্বাস। সময়ের সাথে সাথে বিশ্বাস সত্যও হতে পারে অর্থাৎ প্রমানিত হতে পারে আবার মিথ্যাও হতে পারে অর্থাৎ অপ্রমানিতও হতে পারে। বিশ্বাস প্রমানিত বা অপ্রমানিত হলে তা আর বিশ্বাসের পর্যায়ে থাকে না। সব বিশ্বাসই পরোক্ষ জ্ঞান নয়। যে বিশ্বাসে কোন জ্ঞান নেই তাকে বিশ্বাস বলা যায় না, সেটা অন্ধ বিশ্বাস। এক বা একাধিক যুক্তির মাধ্যমে তৈরি হয় পরোক্ষ জ্ঞান, আর পরোক্ষ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করেই জন্ম নেয় বিশ্বাস। যুক্তির পাল্লা যত ভারি হয় জ্ঞানও ততো ভারি হতে থাকে, সাথে সাথে উক্ত বিষয়ের উপর বিশ্বাসও দৃঢ় হয়। সময়ের ব্যবধানে বিশ্বাসের পক্ষের যুক্তি প্রত্যেক্ষ করা গেলে বা প্রমানিত হলে
উক্ত বিষয়ের বিশ্বাসের পরিসমাপ্তি ঘটে অর্থাৎ তার উপরে আর বিশ্বাস স্থাপনের প্রয়োজন থাকে না। আবার বিশ্বাসের বিপক্ষে যদি যুক্তির পাল্লা কখনো ভারি হয় তাহলে দৃঢ় বিশ্বাস হালকা হতে থাকে। যখন পূর্ব যুক্তি পরবর্তী যুক্তির নিকট ধোপে টেকেনা তখন পূর্ববর্তী বিশ্বাস বালির বাধের মতো ভেঙ্গে যায়, তৈরী হয় অবিশ্বাস। সময়ের ব্যবধানে অবিশ্বাসের পক্ষের যুক্তি প্রত্যেক্ষ করা গেলে বাপ্রমানিত হলে উক্ত বিষয়ের উপর অবিশ্বাসের পরিসমাপ্তি ঘ্টে অর্থাৎ তার উপর আর অবিশ্বাস স্থাপনের প্রয়োজন থাকে না। যেমন আপনার বাসায় চুরি হলো। আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা ও যুক্তি বলছে এ চুরির সাথে আপনার বাড়ীর কেউ এমনকি আপনার বাসার চাকরও জড়িত নয়। আপনার বাসায় লাগানো সিসি টিভি ফুটেজ থেকেও আপনি দেখলেন বাহিরের কেউ আপনার বাড়িতে প্রবেশ করেছিলো, অর্থাৎ আপনার বিশ্বাস সত্য প্রমানিত হলো। এর পরে আর ঐ বিষয়ের উপর আপনার বিশ্বাস রাখার প্রয়োজন পড়ে না অর্থাৎ বিষয়টি এখন প্রমানিত সত্য। কিন্তু আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা বা
যুক্তির বিপরীতে আপনার বাসার চাকরের কিছু কিছু আচরন যদি আপনার নিকট সন্দেহজনক মনে হয় তাহলে আপনার বিশ্বাস কিছুট হালকা হবে এবং যদি সিসি টিভি ফুটেজে দেখেন যে আপনার ঐ চাকরই বাসায় চুরি করেছে তখন আপনার পূর্ববর্তী বিশ্বাস ভেঙ্গে যাাবে। এটা প্রমানিত হবার পরে চাকরের উপর আর অবিশ্বাসও করার প্রয়োজন থাকবে না। কারন ঐ চাকরই যে চুরি করেছে তা আপনার নিকট প্রমানিত।অর্থাৎ বিশ্বাস অথবা অবিশ্বাস যেটাই হোক না কেন প্রমানিত হবার পরে সেটা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের গন্ডির বাইরে চলে যায়। বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে বোধ হয়। এবার এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে আসুন আমরা দেখার চেষ্টা করি নাস্তিকতাও কি না।

মহাবিশ্ব সৃষ্টির পেছনে কারো না কারো হাত আছে, তিনি মহাবিশ্বের নিয়ন্ত্রক, তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এ সকল বিষয়ে যারা বিশ্বাস করে তারা আস্তিক আর যারা এ সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে না তারা নান্তিক। অর্থাৎ আস্তিকরা বিশ্বাস করে সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ আছেন। আর নাস্তিকরা সেটা বিশ্বাস করে না। তারা অস্বীকার করে। তার মানে হলো নাস্তিকরা বিশ্বাস করে যে সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নেই। এবার জনাব আসিফ মহিউদ্দিনের উত্থাপিত যুক্তি তুলে ধরছি। তিনি লিখেছেন,নাস্তিকতা হচ্ছে ঈশ্বরে অবিশ্বাস। অর্থাৎ ঈশ্বর প্রসঙ্গে শূন্য বিশ্বাস। ন্যুল বিশ্বাস। বিশ্বাসের অনুপস্থিতি। ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিষয়ক প্রস্তাবকে বাতিল করা। অর্থাৎ এটা ঈশ্বর নেই, তাতে বিশ্বাস করা নয়। বরঞ্চ ঈশ্বর আছে,
সেই প্রস্তাবকে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে বাতিল করা এবং সেই বিশ্বাসের বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরা। ঈশ্বর নেই, সেটা বিশ্বাস করা আর ঈশ্বর আছে, সেটা প্রমাণের অভাবে বাতিল করা দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। নাস্তিকতা কোন বিশ্বাস বা ধর্ম নয়, বরঞ্চ নাস্তিকতা হচ্ছে অবিশ্বাস। সেই বিশ্বাসে আস্থাহীনতা।

তার মানে তিনি ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাস করেন। অর্থাৎ ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা নেই মর্মে তিনি বিশ্বাস করেন। পূর্বের উদাহরন থেকেই ধরুন,
আপনার বাবা অবিশ্বাস করলেন যে, আপনার মামা বাসায়্ এসেছিলেন। তার মানে আপনার বাবার বিশ্বাস যে আপনার মামা বাসায় আসেননি। আপনি মনে করেন যে রহিম মিয়া একজন সৎ লোক। অর্থাৎ আপনি মনে করেন না যে, রহিম মিয়া অসৎ। প্রত্যেক বিশ্বাসই উল্টো দিক দিয়ে একটা অবিশ্বাস এবং প্রত্যেক অবিশ্বাসই উল্টো দিক দিয়ে একটি বিশ্বাস। অথচ জনাব আসিফ মহিউ্দ্দিন বলেছেন, নাস্তিকতা হচ্ছে ঈশ্বরে অবিশ্বাস। আবার বলছেন এটা ঈশ্বর নেই তাতে বিশ্বাস করা নয়। তার মানে কি তিনি বিশ্বাস করেন ঈশ্বর আছেন? এ প্রস্তাবনা পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে
গিয়ে তিনি একটি উদাহরন দিয়েছেন।

যেমন ধরুন, স্ট্যাম্প সংগ্রহ করা একজনার শখ। অন্য আরেকজনার নয়। যার নয়, তার ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি না যে, স্ট্যাম্প কালেকশন না করা হচ্ছে তার শখ। যদিও এ উদাহরনটা এ আলোচনার সাথে কোন ভাবেই যায় না, তবু্ও অত্যান্ত সু-চতুরভাবে তিনি এ উদাহরনটা টেনেছেন। এখানে স্ট্যাম্প সংগ্রহ করা একজনার শখ। কিন্তু ঈশ্বরে বিশ্বাস করা কারো শখ, নেশা, পেশা কিছুই নয়। একানে প্রশ্ন হচ্ছে একজন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, অন্য জন করে কি করেনা তার উপর। উদাহরন যদি দিতেই হয় তাহলে সেটা হবে, একজন স্ট্যাম্প সংগ্রহ করে অন্য জন সেটা করে কি করে না। এক জন সাংবাদিকতা করে, অন্য জন করে কি করে না। একজন রহিম মিয়াকে পছন্দ করে, অণ্য জন অপছন্দ কর। অর্থাৎ যিনি রহিম মিয়াকে অপছন্দ করেন মুলত তিনি রহিম মিয়াকে পছন্দ করেন না। এ ক্ষেত্রে এমন প্রশ্ন করা যাবে না যে, রহিম মিয়াকে অপছন্দ করা হচ্ছে তার শখ। একানে প্রশ্ন শুধুই পছন্দ অপছন্দের মধ্যেই সিমাবদ্ধ। তিনি এ আলোচনায় আরো একটি্ বিষয়ের অবতারনা করেছেন যে, ঈশ্বর নেই এটা প্রমানরে দ্বায়িত্ব নাস্তিকদের নয়। কিন্তু ঈশ্বর আছেন এটা আস্তিকদেরকেই প্রমান করতে হবে। ধরুন আিমি আমার মুষ্টিবব্ধ হাত দেখিয়ে বললাম আমার হাতে এক ছাড়া চাবি অাছে। এখন চাবির ছড়া সত্যিই আমার হাতে আছে কি নেই তা প্রমান করার দ্বায়িত্ব আমারই এবং তা হাত খুলে প্রমান করে দেওয়া আমারই দ্বায়িত্ব। তদ্রুপ আপনি আপনার মুষ্টিবদ্ধ হাত দেখিয়ে যদি বলেন আপনার হাতরে মধ্যে কিছু নেই, তাহলে হাত খুলে আপনাকেই প্রমান করতে হবে সত্যিকারে আপনার হাতে কিছু নেই। হাত খুললে হয়তো দেখা যাবে আপনার হাত থেকেই চাবির ছড়াটি বেরিয়ে আসছে। ঈশ্বর যে নেই তা প্রমানের দ্বায়িত্ব মূলত যারা নেই মর্মে বিশ্বাস করেন তাদেরই। এ বিষয়ে অমার ধারনা জনাব আসিফ মহিউদ্দনের মনে হয়তে কোন সংকির্ণতা বাসা বেধেছে। কোন চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি ভয় পাচ্ছেন। তা না হলে ঈশ্বর নেই, তিনি যদি এটা বিশ্বাসই করে থাকেন তাহরে সেটা প্রমান করার চ্যালেঞ্জ নিতে এতো ভয় পান কেন? আমার ধারনা প্রকৃত পেক্ষে যারা সত্যিকারের নাস্তিক তারা এ চ্যালেঞ্জ নিয়েই কাজ করে যাচেছন। সে মতে জনাব মহিউদ্দন আশা করি স্বীকার করে নেবেন যে তিনি বিশ্বাস করেন যে ঈশ্বর নেই এবং তা প্রমান
করা চ্যালেঞ্জ গ্রহন করবেন। সাথে সাথে তার লেখাটি সংশোধন করে "নাস্তিকতাও একটি বিশ্বাস" শিরোনামে লিখবেন। আর যদি তিনি তা না করেন তাহলে আমি ধরে নেব জনাব আসিফ মহিউদ্দিন প্রথমত সত্যিকারের নাস্তিক নয়, দ্বিতীয়ত কিছু না বুঝেই তিনি নাস্তিকতায় নাম লিখিয়েছন, এ দুটোর কোনটিই যদি না হয় তাহলে তিনি কোন দুরভিসন্ধী নিয়ে কাজ করছেন যেটা আমাদের জানা নেই।

বিঃদ্রঃ বানান সমস্যর জন্য দুঃখিত।

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×