যে কোন ব্যাপারেই আবেগ ও অবহেলাকে বর্জন করে বিবেক খাটিয়ে সুচিন্তিতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়াটাই শ্রেষ্ঠসৃষ্টি মানুষের জন্য শোভনীয়। ইসলামের মূলগ্রন্থ আল কুরআন তাই বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে তার অনুসারীকে একথা বুঝাতে সচেষ্ট হয়েছে যে, বিবেকবানদের জন্যই বিধিবিধান, বুদ্ধিমানগণের জন্যই উপদেশ এবং তারাই তা গ্রহণ করে ও করতে সক্ষম হয়। যেমন-
هَـذَا بَلاَغٌ لِّلنَّاسِ وَلِيُنذَرُواْ بِهِ وَلِيَعْلَمُواْ أَنَّمَا هُوَ إِلَـهٌ وَاحِدٌ وَلِيَذَّكَّرَ أُوْلُواْ الأَلْبَابِ.
((এটা মানুষের জন্য এক বার্তা, যাতে এটা দ্বারা তাদেরকে সতর্ক করা হয় এবং তারা জানতে পারে যে, তিনিই একমাত্র ইলাহ্ আর যাতে বুদ্ধিমানগণ উপদেশ গ্রহণ করে।)) [সূরা ইব্রাহীমঃ ৫২]
এছাড়াও আরো দেখুন- সূরা আল-বাকারাঃ ২৬৯, সূরা আলে-ইমরানঃ ৭, সূরা আর্-রা‘দঃ ১৯, সূরা সোয়াদঃ ১৯, সূরা আয্-যুমারঃ ৯, ১৮। মুহার্রাম মাসের দশ তারিখে মুসলমানদের একটা অংশ এবং কিছু উপদল ধর্মপালনের নামে যাচ্ছেতাই যা করে যাচ্ছে, তাকে যদি কেউ ইসলামের বিধিবিধানের আলোকে বিশ্লেষণ করে অথবা অন্ততঃ সাধারণ বুদ্ধিবিবেচনা খাটিয়েও চিন্তা করে, তাহলে ব্যক্তির বিবেচনায় তার অসারতা সুস্পষ্ট হতে বাধ্য।
মুহার্রাম মাস, হিজরী সালের প্রথম মাস। এ মাসে ঘটে যাওয়া ইতিহাস অনেক দীর্ঘ এবং বহুল তাৎপর্যপূর্ণ। তাই মুসলিম-অমুসলিম সকলের নিকটই এ মাসের গুরুত্ব সীমাহীন। শিয়া সম্প্রদায় এ মাসের দশ তারিখে যে মাতম বা শোক পালন করে, তার সাথে ইসলামের দূরতম সম্পর্কও নেই; বরং কারো মৃত্যু বা হত্যার পর তার জন্য বেদনার্ত মনের অধৈর্যে নিরবে অশ্রু বিসর্জন দেয়ায় কোন বাধা নেই। কিন্তু মুখে আঘাত করে, হাত-পা ছুঁড়ে অথবা মিছিল করে এবং সেখানে বিভিন্নভাবে নিজেকে রক্তাক্ত করে বেদনা প্রকাশের অথবা প্রদর্শনের কোনই সুযোগ নেই, উপরন্তু কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ((যে ব্যক্তি গাল চাপড়ায়, বুকের কাপড় ছেঁড়ে এবং জাহেলী যুগের রীতি অনুযায়ী চিৎকার করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।)) [মুত্তাফাকুন ’আলাইহি; বুখারীঃ ১২৯৪, মুসলিমঃ ১০৩]
পরবর্তী অংশ পড়ুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




