আজ প্রায় ৬ মাস পর তোমার সাথে দেখা, কথা। অথচ আমরা প্রতিদিন একই ছাদের নিচে, একই ঘরে প্রতিদিন ক্লাস করেছি। মাঝে মাঝে হয়ত একই সারিতে বসেছিও। কিন্তু সেই আগের মত আর বসা হয় নি। তোমার হাত ধরে, তোমার চুলের গন্ধ নিয়ে, দু'জনের খুনসুটি করে, আর ক্লাস করা হয় নি, হবেও না।
মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয় দৌড়ে তোমার কাছে গিয়ে বলতে, যে, তোমাকে অনেক ভালবাসি। অনেক মনে পড়ে তোমাকে,সব সময়। তোমার ভালোবাসা, তোমার আদর, তোমার শাসন, খুব মনে পড়ে।
গত কয়েকদিন তোমার কাছে আসার সুযোগ পেয়েছি আবার। আবার আগের মত হতে ইচ্ছা করে, কিন্তু তুমি যে ক্ষতি আমার করেছ, সেই ক্ষতির কথা মনে হলে তোমাকে আমার সহ্য হয় না। যে অপবাদ তুমি আমাকে দিয়েছ, তা আমি কখনই ভুলব না।
তুমি আমাকে পথে বসিয়ে গেছো। এক কথায় ভিখারী করে দিয়েছ আমাকে। যেখান থেকে উঠতে আমার সারা জীবন লেগে যাবে।
গতকাল যখন তোমার কাছে বসে কাজ করছিলাম, তোমার গায়ের সেই সোদা গন্ধ আমাকে পাগল করে দিয়েছিল, তোমার চুলের ভেজা গন্ধ আমাকে মাতাল করে ফেলেছিল। তখন খুব ইচ্ছা করছিল, তোমার কাঁধে মাথা রাখতে, কিন্তু পারি নি। কেনো পারি নি জানো, কারণ তোমার কাঁধে আমার জন্য কাঁটা রাখা ছিল। যে কাঁটা আমাকে গত আড়াই বছর ধরে শুধু কষ্টই দিয়েছে। আমার মাথাকে, আমার হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করেছে।
তারপর যখন তোমার সাথে হাটছিলাম, তখন তোমার হাত ধরতে ইচ্ছা করছিল, কিন্তু ধরতে পারি নি। কারণ, তোমার ঐ হাত ধরাটায় ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। তোমার হাতটায় ছিল, আমার মরণকুপ। আমার জন্য ফাঁসির কাষ্ঠ। আগে যদি জানতাম, তোমার হাতেই আমার সব কিছু নিংড়ে তুমি বের করে নিবে, নিয়ে নিজের কাছে রেখে দেবে, তাহলে কখনই ঐ হাত আমি ধরতাম না।
যতবারই আমি তোমার নিষ্পাপ মুখের তাকায়, ততবারই আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলতে চায়। কিন্তু যখনই আমার হাত তোমার দিকে বাড়াতে চাই, তখনই এক বিভিষীকাময় তোমাকে দেখতে পায়। তখন আমি আমার মৃত্যু দেখতে পায়। দেখি কিভাবে তুমি আমাকে তিলে তিলে শেষ করেছ, কিভাবে আমার ভিতর থেকে নির্যাস বের করেছ। কিভাবে আমাকে অধঃপতিত করেছ।
পাশে বসে এইভাবেই নাগিব(রুপক) ,তার বান্ধবিকে কথাগুলো বলছিল। আর আমি বাজপড়ার শব্দে দিশেহারার মত হয়ে কথাগুলো শুনছিলাম। ছেলেটা বলে কী??? এইভাবেও সম্ভব। কিভাবে পারল ছেলেটা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




