আমি আওয়ামীলীগকে কেন সমর্থন করি ?
কারন একমাত্র আওয়ামীলীগই হল নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তৃনমুল পর্যায় হতে গঠিত একটি রাজনৈতিক দল ।বিএনপি আর জাতীয় পার্টি ভুমিষ্ট হয়েছে জলপাই রংয়ের উর্দির গায়েবী ইশারায় ।আর জামায়াত তো বাংলাদেশের অংশই না ।এছাড়া ডান বাম ডিঙ্কা চিকা কিছু দল আছে ক্ষমতায় বসার চেয়ে ক্ষমতায় যাবার সিড়ি হতেই বেশী পছন্দ করে ।মেনে নিলাম হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন !
দ্বিতীয় কারন হল, আওয়ামীলীগ অন্তরে কি ধারন করে জানি না তবে অন্তত মুখে মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করে ।আর অন্য দল ধারন করা তো দুরের কথা প্রকান্তরে এই চেতনায় বারন করে ।যেহেতু আমি নিজেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করি তাই মন্দের ভালো হিসাবে আওয়ামীলীগকে সমর্থণ করি ।
৫ সিটি কর্পোরেশনে পরাজয়ের পর এটা স্পষ্ট প্রতিয়মান যে, কেবল মাত্র উন্নয়নই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট নয় ।খুলনা বরিশাল সিলেট রাজশাহী গাজীপুর (টঙ্গী) এর বিদায়ী মেয়রগন নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে যথেষ্ট ভুমিকা রাখার পরেও তুলনামুলক কম জনপ্রিয় এবং যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যাক্তিরাই জয়লাভ করেছে ।সোজা কথায় বলতে গেলে অধিকাংশ মানুষ এখন আওয়ামীলীগকে পছন্দ করছে না ।বিশেষ করে দোদুল্যমান ভোটারদের আওয়ামীলীগ নিজের দখলে আনতে পারছে না ।সাধারন মানুষ বিম্পি জামাতকে ভালবেসে ভোট দিচ্ছে না তারা দিচ্ছে আম্লিগের উপর ঘৃনা করে বিশ্বাস হারিয়ে ।এই নেতিবাচক ভোটারই নির্বাচনি ফলাফলে চরম প্রভাব ফেলছে ।
আম্লিগ এখন যাই করবে কোন কিছুই মানুষ গ্রহন করবে না ।শেখ হাসিনা যদি এখন ঘরে ঘরে সবাইকে ১ কেজি করে সোনাও খাইয়ে আসে তাহলেও তারা সন্দেহ করবে ।সাধারন মানুষ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে আওয়ামীলীগের নেত্রী শেখ হাসিনাকে বেশী পছন্দ করে ।আমাদের সরকার গুলো হয় দলভিত্তিক ।রাজনৈতিক দল এবং সরকার এই দুটো জিনিসকে আমরা পৃথক করতে পারি নি ।সার্বিক ভাবে দেশের উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে আওয়ামীলীগের বিকল্প নেই ।যদিও কথাটি তালগাছবাদী হয়ে গেল তারপরেও এটাই সত্যি ।জাতি হিসাবে আমাদের ভরসার জায়গা খুব কম ।বিকল্পগুলো তুলনামুলক বেশী খারাপ ।দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে যখন বেশীর ভাগ মানুষই বিভিন্ন প্রচার প্রপাগান্ডায় বিভ্রান্ত হয়ে নিজেদের প্রতি বিশ্বাস হারাচ্ছে তখন জননেত্রী হিসাবে শেখ হাসিনার আরো একবার এগিয়ে আসতে হবে ।
যদি আওয়ামীলীগ তথা দেশকে কোন ভবিস্যত ভয়ংকর অবস্থার হাত থেকে বাচাতে হয় তবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে এখনই সরে আসতে হবে ।যদিও সময় কম তারপরেও নির্ভরযোগ্য কারও কাছে মন্ত্রিত্বের ভার দিয়ে তাকে দলের হাল ধরতে হবে ।আশরাফ কিংবা হানিফ দিয়ে কতটুকো কি হয়েছে তা ইতিমধ্যেই প্রমানিত ।আম্লিগের পরাজয়ে বিদ্রোহীদের ভুমিকা কম নয় ।আর পত্রিকার কল্যানে জাহাঙ্গীর,আইভি রহমান,কিংবা পানু জাতীয় নেতা বনে গেছেন ।শেখ হাসিনা দায়িত্ব নিলে এই বিভক্তিগুলো খুব দ্রুতই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে ।তাছাড়া ক্ষমতা ছেড়ে সাধারন কাতারে নেমে আসলে বাঙ্গালীর চিরাচরিত অহংবোধ কমে যাবে ।এসি রুমে বসে কেউ উন্নয়নের বাম্পার ফলনের গল্প শোনালে মানুষ শুনবে না ।রাজপথে পথে নেমে মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে শোনাতে হবে ।তার ভবিস্যতের স্বপ্ন দেখাতে হবে ।মানুষ বিম্পি জামাতকে ভালবাসে না কিন্তু আম্লিগকে এখন ঘৃনা করে ।এই ঘৃনাটুকো দুর করলেই হবে ।আর সেটা করতে হবে সাধারন মানুষের কাতারে ।দেশের জন্য,মানুষের জন্য এইটুকো আমাদের নেত্রী করবেন বলেই আমার বিশ্বাস