বাবা মা’কে শেষ বয়সে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে অর্থের অপচয় করার কি দরকার??? তার চেয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মেরে ফেলাই ভালো।।
ঐশীরা যুগেই যুগেই নতুন নতুন পন্থা আবিস্কার করে, কখনো বৃদ্ধাশ্রম, কখনো ঘুমের ওষুধ।। বৃদ্ধাশ্রমে রেখে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করার চেয়ে, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একবারে ছুরি চালিয়ে মেরে ফেলাই ভালো।। ম্যাসিভ রেস্পেক্ট ঐশী
.... .. .. তখন ঐশী একটু একটু করে পেটের মধ্যে বড় হচ্ছে !আর পৃথিবীর মানুষগুলোর স্বপ্নও সমান বড় হচ্ছে ।দশটি মাস মা পেটের ভিতর চার হাত পা ওয়ালা আস্ত একটা মানুষ নিয়ে ঘুরেছে ।কখনও কখনও ঐশী পেটের ভিতরেই হাত পা ছুড়ত, লাথি মারত !প্রচন্ড কষ্টে মা বারবার বমি করে দিত ।তারপর সন্তান জন্মদানের সেই নারকীয় যন্ত্রনা ।যার একটি মাত্র চিতকারের ঋন কোন সন্তান সারা জীবনেও শোধ দিতে পারবে না ।
খুব ছোটবেলায় ঐশী নিশ্চয়ই বিছানায় হিসু করে দিত ।ঠান্ডা লাগবে বলে মা নিজের সেই পানির মধ্যে শুয়ে সন্তানকে অন্য পাশে শুইয়ে দিতেন ।তারপর ঐশী যখন এপাশেও হিসু করে দিত মা তখন সন্তানকে নিজের বুকের উপর রেখে ঘুমাতেন !
ঐশীর একটা ঈদের জামার দাম মেটাতে বাবাকে রাতের পর রাত নির্ঘুম থাকতে হয়েছে ।নিশ্চয়ই কোন এক সময় হাল ছেড়ে দিয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হতেন ।আর তখনই বুক পকেট থেকে ঐশীর ছবিটা বের করে দেখতেন আর সব ক্লান্তি দুর হতো এক নিমেষে !
প্রত্যেক বাবার মতো নিশ্চয়ই ঐশীর বাবাও স্বপ্ন দেখতেন মেয়ে ডাক্তার হবে প্রকেীশলী হবে !তারপর সেই স্বপ্নের পখে দেীড়ে নিজেকে ক্রমশ নি:শেষ করতেন হাসিমুখে ।ঘাম মুছতে মুছতে গর্ব করে বলতেন আরে সবকিছুই তো ছেলেমেয়েদের জন্যই !নিশ্চয়ই ঐশীর বাবা ঐশীর কোন এক অসুস্থতায় সারা রাত পায়চারী করে কাটিয়েছেন ।মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে,চুলে বিলি কেটে দিয়েছেন ।প্রচন্ড জ্বরে যখন ঐশী চেতনাশুন্য তখন মাথায় জলপট্টি দিয়েছেন !
ঐশী তার এই বাবা মাকে নিজ হাতে খুন করেছে !আর কিছু লিখতে পারছি না ।চোখটা ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে ।চিতকার করে কাদতে ইচ্ছা করছে ।বড় হবার অনেক যন্ত্রনা ।সহজে কাদা যায় না ।কিন্তু আমি এখন কাদব।একজন হতভাগী মায়ের জন্য কাদব একজন হতভাগা বাবার জন্য কাদব ।ঐশীর বাবা মায়ের জন্য কাদব ।