![]()
দেশের ৯৫ ভাগ মানুষের ভাগ্য মাত্র পাচ ভাগ মানুষের হাতে ।৯০ ভাগ সম্পদ ১০ ভাগ মানুষের কবজায় ।সংখ্যালঘু এই সম্প্রদায়ই আমাদের বেচে থাকা নুন্যতম চাহিদা খাতা কলমে উঠিয়ে দিয়ে নিজেরা ভোগ করেন ।মেীলিক চাহিদার পুরনের দায়িত্ব রাষ্ট্রের ঘাড়ে চাপিয়ে এরা আমাদের আঙ্গুল তুলে দেখায় তোমরা রাষ্ট্রের অবৈধ সন্তান ।
গত এক দশকে বাংলাদেশে বেকারত্ব বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ,কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধির হার কমেছে ২ শতাংশ ।এই হার বজায় থাকলে ২০১৫ সালে মোট বেকারের সংখ্যা দাড়াবে ৬ কোটিতে ।শিক্ষিত জনসাধারনের মধ্যে এই হার সবচেয়ে বেশী ।আন্তরজাতিক শ্রম সংস্থা আই এলওর সর্বশেষ তথ্য মতে বাংলাদেশে বর্তমানে বেকারত্ব বাড়ার হার ৩ দশমিক ৭ শতাংশ ।প্রতি বছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে ২৭ লক্ষ শিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত মানুষ অথচ চাকরী পাচ্ছে মাত্র ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ।তাছাড়া শ্রমবাজারে প্রবেশের পাইপ লাইনে আছে আরো কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী ।বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এরা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরী না পেয়ে যাহোক একটা কিছু করে জীবিকা নির্বাহ করতে বাধ্য হচ্ছে ।এই সুযোগটাই গ্রহন করছে ১০ ভাগ সম্পদশালী মানুষ ।তখনই মেধা আর শ্রমের অর্থমুল্যের সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃস্টি হচ্ছে ।
চাহিদা জোগানের তুঘলকি,মুলস্ফীতি,জিডিপি,দ্রব্যমুল্য উর্ধগতি এগুলো অর্থনীতির গাল ভরা শব্দ ।বুঝে কাজ নেই ।আমি বুঝি এদেশে একজন রিকসাওয়ালা মাসে ১৫ হাজার টাকা উপার্জন করে আর একজন সুটেড বুটেড সার্টিফাইড কর্পোরেট কেরানীর বেতন সর্বসাকুল্যে ১২ হাজার !কিভাবে কার যোগ্যতা নিরুপন করবেন,কায়িক শ্রম না মেধা ?
এদেশে যার একটি মার্কেট আছে তার একটি ব্যাংক আছে একটি টিভি স্টেশনও আছে ।দেশের সম্পদকে কুক্ষিগত করতে যত গুলো মাধ্যম থাকা অবশ্যক সবগুলোই তারা অবলম্বন করে ।১২ শতাংশ আমানতের উপর সুদ দিয়ে মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো ।মানুষ নির্ভার হয়ে ব্যাংকে টাকা রেখে মাসে মাসে মুনাফা তুলে সংসার চালাচ্ছে ।ব্যাক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগ হচ্ছে না ।সামাজিক অব্যাবস্থাপনা,রাজনৈতিক সংঘাতে মানুষ ক্ষুদ্র বিনিয়োগের উপর আস্থা রাখতে পারছে না ।তাই আমানতের এই বিশাল অংশ চলে যাচ্ছে সেই সম্পদশালী ১০ ভাগ মানুষের হাতে !তাদের সম্রাজ্য আর একটু ফুলে ফেপে উঠছে ।আর সাধারন ৯০ ভাগ মানুষ যেই তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে যাচ্ছে ।কারন প্রচলিত আছে ব্যাংক তখনই আপনাকে টাকা দেবে যখন ব্যংকের মনে হবে আপনার টাকার দরকার নেই ।
দেশের ভাগ্য নেীকা ধানের শিষে বদলাবে না বদলাবে ২ কোটি তরুন !এরাই সিদ্ধান্ত নিবে দেশটা কেমন চলবে ।যা নেই তার জন্য আফসুস করে লাভ নিই যা আছে তার সর্বোত্তম ব্যাবহার করতে হবে ।এই দুই কোটি তরুনকে অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখতে হবে,বিশাল সিন্ধু হয়ে নয় একটা বিন্দু হয়ে হলেও ।তবেই না দেশ পাল্টাবে !
2 core youth in one row ….. !

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




