somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসলেই কি ছুটি কাটালাম !!!

০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দুই সপ্তাহের ছুটিতে কোন কাজই হয়নি। এমনকি ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি :(। সেই ভোরে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস। ছুটিতেও বাসার লোকজনের মতো লম্বা সময় নিয়ে ঘুমাইতে পারি নাই। সকালে উঠে সবার জন্য চা রেডি করা ছিলো দুই সপ্তাহের রুটিন। একটা গল্পের বই পড়া হয়েছে। The Great Train Robbery। এক ইংলিশ কলিগ আছে। বই পড়ার হবি আছে ওর। মাসে ২/৩ টি বই মোটামুটি গায়েব। কয়েক হাজার বই আছে উনার। পড়ে যেটা ভালো লাগে আমাকে পড়তে দেন। উনিই আপাতত আমার বইয়ের সাপ্লায়ার।

কয়েকজনকে এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে আসতে হয়েছে। কিছু করার নাই দেখে লোকজনের একটু সাহায্যে এগিয়ে আসা। প্রায় ১৪০০ কিলোমিটারের লং ড্রাইভে যাওয়া হয়েছে। গাড়ি ভাড়া + তেল খরচ ফ্রি পাওয়া গেলো। একটি vw touran গাড়ি ভাড়া করে টানা ১৪ ঘন্টা ড্রাইভ করেছি। আনলিমিটেড স্পীড লিমিটে ১৯০ পর্যন্ত কিলোমিটারের কাটা উঠানো গেছে। তারপর আর পারিনি :(। যদিও একবার নতুন মার্সিটিজে ২২০ পর্যন্ত উঠানো গেছে।

কিছু করার নেই ভেবে দাঁতের ডাক্তারের কাছে চেকআপ করাতে গিয়েছিলাম। আমার ফাইল বের করে মুচকি হেসে বল্লেন কতো বছর পর আসা হয়েছে। বল্লাম মাত্র ৬ বছর হলো। দাঁত চেক করে অনেকগুলো প্রবলেম ধরিয়ে দিলেন। এখন নাকি এগুলো ঠিক করতে আমাকে পে করতে হবে। বল্লাম মাসে মাসে এতো টাকা (৭০০ ইউরো) তাহলে কে নিয়ে যাচ্চে? বছরে তো একবারও ডাক্তারে যাওয়া হয় না। নতুন সরকার এসেছে। এখন আবার নাকি হেলথ ইন্সুরেন্স বাড়তেছে। উনি বল্লেন দাঁতের ডাক্তারের সবকিছু ইন্সুরেন্স কাভার করে না। ডাক্তার অবশ্য বেশ ভালো। কি করবো ভেবে পাই না। আজকে সকালে একটি দাঁত ফিলিং করাতেই ১০০ ইউরো গায়েব। অন্য একটিতে নাকি ক্যাপ পরাতে হবে। অনেক রকমের ক্যাপ আছে। বস ১০০০ ইউরো দিয়ে সোনার ক্যাপ লাগাইছে। আমি তো গরিব। তারপরও সাধারন ক্যাপের দাম ২৫০ ইউরো। একটু উপরের লেভেলে ৫৫০ ইউরো পে করতে হবে। দাঁত ফিলিংয়ে ফাকে ফাকে দাঁত পরিষ্কার করা সহ নানা রকম দাঁতের ট্রিটমেন্টের কথা সেক্রেটারী বল্লো। সবকিছুতেই আমি জানতে চাই ঐসব ট্রিটমেন্ট ফ্রি নাকি? যেগুলো ফ্রি না সেসবকিছুতেই পরে জানাবো বলে পালালাম। একবার ইংল্যান্ডের ডাক্তারে বিরক্ত হয়ে শুধু দাতের চিকতসার জন্য জার্মানি এসেছিলাম (প্লেনের টিকেট ওখানের ডাক্তারে ফি থেকে কম)। এবং এই ডাক্তারকে দিয়ে চিকিতসা করিয়েছিলাম। বেশ ভালো রকমের ট্রিটমেন্ট করেছিলেন। লিখিত গ্যারান্টি দিয়ে দেন। তবে পেমেন্টটা একটু বেশী:((। ছোটবেলায় চকলেট আর বিস্কুট খেয়ে এখন এই অবস্হা। মা নাকি গতে ১৮ বছরে একবারও দাতের ডাক্তারের সরনাপন্ন হননি। পান-সুপারি, জর্দা সবই খান্দানী টাইপে খাওয়া চলছে উনার। ছুটির দিনগুলো মায়ের পানের বাটায় আমারও হাত পড়ে। অবশ্য জর্দা ছাড়া সবগুলো দিয়ে টেষ্ট হয়।

খাওয়াও সেই রকম হয়নি। তাই ওজন না বেড়ে কমে গেছে। অফিসে সাধারনত এইটা ঐটা খাওয়া হয়। বাসায় এক বেলা ভাত খেলেই অন্যবেলা অন্যকিছুর ধান্ধায় খাওয়া হয় না।মজার অনেক কিছুই অনেকদিন ধরে খাওয়া হচ্ছে না। পিজ্জা, ফ্রেন্চ ফ্রাই (প্রতি সপ্তাহে একবার), নুডেল, ডুনার কাবাব কতোদিন খাই না। দিন এতো ছুটো হয়েছে যে যোহর, আছর, মাগরিব মাত্র তিন ঘন্টায় শেষ। রাতে ঠান্ডায় ঘুরতে মন চায় না।

অফিসে এসে Arbeitloss = (কাজছাগ) হয়ে গেলাম। ছুটির আগে সবকিছু শেষ করে গিয়েছিলাম। কলিগকে বলতেই একগাদা কাজ ধরিয়ে দিলো। বল্লাম মিটিংয়ের পর তোমার কাজে হাত দিবো। এখন কিছু সাহায্য করতে পারি। মিটিংয়ে নতুন একটি ডিভাইস ধরিয়ে দিয়েছে। Differential Line Protecion। ঐটার কোন ডকুমেন্ট নেই। আমাকেই নাকি সব কিছু করতে হবে:((:((:((। অন্যগুলো তুলনায় এটি একটু বেশী কঠিন মনে হচ্ছে।
ম্যানেজার সবাইকে এক ট্যারা বাইটের ইউ.এস.বি হার্ডডিক্স গিফট করেছে। আসলে গিফট না। সবাই যাতে নিজেদের ব্যাকআপ রাখতে পারে এজন্য এই ব্যবস্হা। আমার লেপির জায়গাই তো পুরো খালি। ট্যারা বাইট দিয়ে কি হবে (চিন্তত ইমো)।

৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×