সন্তানকে সম্পদে রুপান্তর করুন
===================
সন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক বড় নেয়ামত। দাম্পত্য জীবনের ভালোবাসার পূর্নতা অনুভূত হয় সন্তানের মাধ্যেমে। তবে দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ঢেড় ভালো। সন্তান যদি সঠিক ভাবে শিক্ষিত না হয় তবে সেই সন্তান দ্বারা কষ্ট ছাড়া কপালে কিছু জুটবে না। তাই সন্তানের জন্য সম্পদ রেখে যাবার চাইতে উত্তম সন্তানকে সম্পদে রূপান্তর করা।
শিশু থেকেই নৈতিকতার শিক্ষা:
সন্তানকে শিশু থেকেই নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করা। বড়দের সম্মান করা, ছোটদের স্নেহ করা, দরিদ্রকে সহায়তা করা, সমবয়সীদের সাথে সমতা, সবার সাথে সক্ষতা, ভালো ব্যাবহার ইত্যাদি নৈতিক শিক্ষাগুলো যেনো শিশু থেকেই শুরু হয়।
প্রথম পাঠশালা:
পরিবার হচ্ছে শিশুদের প্রথম পাঠশালা। পরিবারের সদস্যদের দেখে নিজে নিজেই অনেক কিছু শেখে। তাই বড়দের উচিৎ বাচ্চাদের সামনে নেতিবাচক কিছু না করা যেমন-ঝগড়া, বকাঝকা, হিংসা, গীবত, মিথ্যাচার ইত্যাদি।
অভাব শেখানো:
সন্তান চাওয়ার আগেই সবকিছু সামনে হাজির করে দেওয়ার রেওয়াজ অনেক দম্পত্তিরই আছে। না চাইতেই পেয়ে অভ্যাস হয়ে গেলে এমন হবে যে, "সহজে পাওয়া হীরার টুকরাকেও কয়লা মনে করবে"। তাই সন্তানকে চাহিবা মাত্র দিয়ে দেওয়া ঠিক না। সন্তানকে অভাব শেখানো ভালো।
অপচয় না করা শেখানো:
কথিত আছে অপচয়কারী শয়তানের ভাই-বোন। শিশু থেকেই শেখানো হোক অর্থের অপচয়, সময়ের অপচয়, খাবার অপচয় ইত্যাদি। অপ্রয়োজনীয় অর্থ খরচ না করা, সময়ের কাজ ঠিক সময়ে করার গুরুত্ব বুঝানো, খাবার অপচয়ের আগে যেনো ক্ষুধার্ত মানুষের মুখ চোখে ভাসে।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা:
শিক্ষা শুধু জাতির মেরুদন্ড নয় আপনার সন্তানের মেরুদন্ড তৈরি করে। সন্তান পুথিগত বিদ্যায় সুশিক্ষিত হলে ভালো-মন্দ বিচারে বিচক্ষন হবে আশা করা যায়। আর প্রতিযোগীতার পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বিকল্প নেই।
লেখা - ২৬-১২-২০২২
ছবি সুত্র: Link
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬