লোডশেডিংয়ের উপকারীতা(রম্য)
====================
=> বাধ্য হয়ে ব্যাবহার কম হওয়ায় বিদ্যুৎ বিল কম আসে।
=> ইলিক্ট্রনিক্স সামগ্রী (টিভি/ফ্রিজ/ফ্যান) ব্যাবহার কম হওয়ায় টেকে বেশিদিন।
=> অন্ধকার রাতে ভরা পূর্নিমা চাঁদের রূপালী জোছনা উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া যায়।
=> গরমের আরামে শরীর থেকে ঘামের সাথে প্রচুর বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যায়। এতে শরীর থাকে ঝরঝরে।
=> গরমের আরামে রাতে ঘুম কম হয় তাই প্রাত্যহিক কর্মঘন্টা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া রাতে সজাগ থাকার কারনে ঘরে চুরি আশংকা কমে।
=> সন্ধারাতে বিদ্যুৎ থাকার কারনে যদি কোন কারনে ঘুমিয়েও যান, নিশ্চিত থাকেন লোডশেডিং আপনাকে মধ্যেরাতে জাগিয়ে তুলবে। ভালোবাসার মানুষ পাশে থাকলে তো মধুক্ষন সাক্ষাত হানিমুন।
=> বেশি বেশি লোডশেডিং হলে অনেক বাংলা খিস্তি-গালি অটো চর্চায় থাকে। ফলে কারো সাথে কখনো গিট্টু লাগলে মুখ থেকে সহজেই মাস্তান স্টাইলে খিস্তি বের হবে।
=> লোডশেডিং থাকাকালীন সময়ে অনেক কল-কারখানার কাজ সাময়িক স্থগিত থাকে। বিদ্যুৎ আসার সাথে সাথে কর্মীরা স্বদলবলে সবাই কাজে ঝাপিয়ে পরে। কমসময়ে বেশি কাজ করার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। কর্মীরা হয়ে উঠে আরো পরিশ্রমী-আরো কর্মঠ।
=> লোডশেডিং হলে পড়াফাঁকিবাজরা বেজায় খুশি থাকে। গরমের আরামের দোহাই দিয়ে পড়তে বসতে হয় না।
=> লোডশেডিংয়ের সময় গরমের আরামে মাথাও কিঞ্চিত গরম থাকে। গরমের উপর দোষ চাপিয়ে বউয়ের উপর গরম ঝারি দিতে পারেন (সংবিধিবদ্ধ সর্তকরন: বউ হতে সাবধান)।
=> লোডশেডিং এর কারনে wifi বন্ধ থাকে তাই বাধ্য হয়ে সবাই অনলাইন বন্ধু ছেড়ে সামনে বসে থাকা বন্ধুর সাথে গল্প করার সুযোগ পায়। এতে কাছের মানুষদের সাথে সোহার্দপূর্ন সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়।
=> বিদ্যুৎ না থাকার কারনে প্রচলিত রাজনৈতিক টকশো এর টক কথা শোনা লাগে না।
=> লোডশেডিং থাকার কারনে ভারতীয় ওয়েবসিরিজগুলো দেখে সময় অপচয় হয় না, মেয়েরা ঘরের কাজে মনযোগী হওয়ার সুযোগ পায়।
=> লোডশেডিং এর সুবাধে ভাবীরা বাবুর বাপকে দিয়ে হাত পাখার বাতাস খেতে খেতে গান গেতে পারে-"তোমার হাত পাখার বাতাসে প্রান জুড়িয়ে আসে"
অবশেষে, লোডশেডিং আছে বলেই আবার বিদ্যুৎ এসেছে বলে চিৎকারে আনন্দ প্রকাশ করতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২০