এছাড়া ও ক্যাম্পাসে ঘুরলে যে সব পোস্টার বা দেয়াল লিখন গুলো দেখা যেত, তার অধিকাংশ ই ফ্রন্ট বা ইউনিয়নের। বিভিন্ন জাতীয় ইস্যু নিয়ে আন্দোলন।এছাড়াও ছিল কষ্টে আছে আইজউদ্দিন এর বিখ্যাত দেয়াল লিখন।বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পোস্টার। নতুন ক্যাসেট বের হলো কার কার তাও জানতে পারেন পোস্টার পড়ে...অসাধারন সব ছবি স হ। দেখে মনে হয় গান রেকর্ডিং এ যে সময় ব্যায় করেছেন তার চেয়ে বেশী সময় ব্যায় করেছেন ফটো সেশনে।ডাস এর পিছনটা ছিল এর মেইন আস্তানা।টি এস সি আর হল গুলোর সামনে নাটক ,কবিতার সংগঠন গুলোর পোস্টারের পাশা পাশি থাকতো পলিটিকেল পোস্টার।
যে কোন মহল্লার ভিতর দিয়ে রিকশায় গেলে পোস্টার আর দেয়াল লিখন পড়লেই বুঝবেন, এই এলাকার রাজনৈতিক নেতা কারা, এই এলাকার মাস্তান শ্রনী কারা। অনেক এলাকায় তো বিভিন্ন এলাকার মাস্তান গ্রুপের নেতাদের ডায়লগ েদয়ালে লিখা থাকে।বুঝতে হবে সে অনেক বিশাল কিছু । সে এই লাইনে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
আর ও আছে ওয়াজ মাহফিল, কোথায় কোন পীরের ওরস হচ্ছে । কোন পীরের ওফাত দিবস। কবে মিলাদুন্নবী, কবে বিজয় দিবস , সব পেয়ে যেতাম রাস্তায়। বেহায়া টাইপের হওয়ায় কোথায় কোন সিনেমা হল, ময়ুরীর এখন কোন সিনেমা বাজারে আছে তাও জেনে যেতাম।
ভাল লাগতো শহীদ মিনারের আশে পাশের দেয়াল গুলো ।সুন্দর আল্পনা করা, তার সাথে কবিতার লাইন, গানের কলি। যেতে যেতে আবৃত্তি বা গেয়ে উঠা।
অনেক বিপদে ও এটা আমার কাজে এসেছে। ধরা যাক ,প্রথম ঢাকায় আসার ঘটনা ই।তখন নিয়ন সাইনের বিলবোর্ড ই আধুনিক, পথবিজ্ঞাপনের জন্য ব্যব হিত হয়।মা বাবা খালার বাসায়, আমরা তিন ভাই বোন নানুর তত্বাবধানে।আমার ছোট ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করে ঢাকায় মামার বাসায় চলে আসার জন্য বাস ধরলাম।এর আগে মায়ের সাথে একবার এসেছিলাম এই বাসায়।যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় নেমে গেলাম।যেতে হবে ঢালে।মেইন রোড ধরে হেটে হেটে যখন মসজিদের পাশে গণজাগরন পত্রিকার সাইনবোর্ড দেখলাম তখন থামলাম, সামনে ব্রিজ। এবার ঢালে নামলাম। একটু হেটে গিয়ে যখন দেখি যে না তো সৈকত কনফেকশনারী নাই। তার মানে ভুল ঢাল। তার আগের টা হবে। এবার তার আগের ঢালে গিয়ে ।হমম পেলাম হাতএর ডানে সৈকত কনফেকশনারী। ঠিক হলে আরেকটু সামনে, হাতের বামে জব্বারের মুদি দোকান থাকার কথা। হ্যা তাও পেলাম। তার মানে এর পরের গলি ই মামার বাসা।ঠিক পৌছে গেলাম।
এর পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।এই সাইন বোর্ড গুলো আমাকে পথ চিনিয়ে নিয়েছে।এক রাস্তায় একবার গেলে স হজে ভুলি না। আসলে সাইনবোর্ড গুলো ভুলা হয় না।
এই বিল বোর্ড দেখা, রাস্তার পাশের সাইন বোর্ড পড়া, পোস্টার পড়া, দেয়াল লিখন পড়ার নেশা ধরিয়েছেন যিনি, তিনি হলেন আমার প্রাইভেট শিক্ষক গৌতম বর্ধন।তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা।অনেক দারুন একটা জিনস আমার মাথায় ঢুকিয়েছেন বলে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ১০:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




