শেষ অধ্যায় / (দ্বিতীয় অংশ)
আজ সোমবার । শুক্রবার আসতে অনেক দেরী । অস্থির লাগলো । যা ঘটে গেলো তা সত্যি তো ! নাকি সবটাই আমার কল্পনা । তা কি করে হবে ! ছাই পড়ে আছে টেবিলময়, আধ খাওয়া কাপের চা ঠান্ডা হয়ে পড়ে আছে । মোবাইলে হাত রেখে দেখি গরম হয়ে আছে এখোনও । নাহ.. মাথাটা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে । ডেস্ক ক্যালেন্ডারের দিকে তাকালাম , এখোন মনে হলো শুক্রবারের তারিখটি অন্য রকম লাল হয়ে জ্বলছে যেন আজ । তিন দিন পরে নভেরা নামের একজনের সাথে আমাকে দেখা করতে হবে । কি বলবে নভেরা নামের অদেখা মেয়েটি ! ভয়ঙ্কর এক আভাষ দিয়ে গেছে সে আমায়, মৃত্যুর । সবটাই তার মিথ্যে নয়তো ! আশংকায় ঘেমে নেয়ে উঠতে হয় ।
সময় যেন কাটেনা কিছুতেই । ঘরে ফিরে সরব হয়ে উঠি মনের কোনে জমে ওঠা আশংকাকে উড়িয়ে দিতে । টিভি খুলে দিয়ে অযথা এ চ্যানেল ও চ্যানেলে ঘুরি । স্থির হতে পারিনে কোথাও । জিনিয়াকে ডাকি । ওর পড়াশোনা কেমন চলছে জানতে চাই । জিনিয়া একটু অবাক হয় । ফুল্লরাকে ডেকে চা দিতে বলি । ফুল্লরা আসে না, চা আসে । দিন নিভে গিয়ে কিশোরী রাত নামতে থাকে । আমার মনের ভেতরও ঘনায় অন্ধকার । চোখ বুজে রেখে দেখি, অনেকদিন আগের এক জুনের শেষ বেলায় এক অশরীরী নারী এসে দাঁড়িয়েছে আমারই পথে, ভাঙ্গা ভাঙ্গা স্বরে সে শুধায় – পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছো ? আমার হাত ধরে সে যেন পথের হদিশ বলে দিতে চায় । আমি আবারো হারিয়ে যাই পথ, নতুন করে ।
স্তনের বিস্তির্ণ আলপথে যেমন বটের কষের মতো গাঢ় সফেন দুধ জমা হতে থাকে ধীরে ধীরে, আমারই মনের তলে তেমনি ভীড় করে জমতে থাকে পুরোনো আঠালো স্মৃতিরা । ভয় হয় এর কোনখানে নভেরা নামের শরীরী একজনকে তারই অজান্তে আমি আটকে ফেলেছি কিনা কোনও অসতর্ক মূহুর্তে । অপরাধ করে ফেলেছি কিনা কোনও । নইলে কি কথা আমার সাথে তার ! সে তো বললো আসবে । কিন্তু আমি তাকে চিনবো কি করে কিম্বা সে আমাকে ! সেরকম কোনও কথা তো আমাদের হয়নি, তাহলে ? ডাক দিয়ে, তার আগেই তো উড়ে গেলো সে । শীলার মতোই, জোনাকী হয়ে জ্বলে উঠেই নিভে গেলো । মুঠোফোনে যতো সহজেই সে কথাগুলো বলে গেলো ততো কঠিন করে দিয়ে গেল আমার জেগে থাকা রাত ।
বসে আছি । অস্থিরতা আমার কেটে গেছে আজ । যুদ্ধে যাবার আগেই যতো ভয় ভীতি, গোলাগুলির মাঝে পড়ে গেলে যেমন আর করার কিছু থাকেনা তেমনি । ধীর স্থির বসে আছি । অপেক্ষা । কথাদের গোছাচ্ছি মনে মনে । অকস্মাৎ বাতাস যেন থমকে গেলো, বিদ্যূৎ খেলে গেলো আমার আকাশ জুড়ে । স্বপ্নের ঘোরে যেন উঠে দাঁড়ালাম । সুইঙডোর খুলে যিনি এলেন, দুর থেকে অধরা দেখালেও সে যে আমার চির চেনা । আমার দিন রাত্রির ছবি, আমার রোদেলা দুপুর, জোনাক জ্বলা রাত, আমার সাগরের নীল, অনন্ত আকাশ , আমার জন্ম জন্মান্তরের আরাধ্য দেবী । শীলা । কিন্তু এ যে শীলা নয় । কিছুতেই নয় । আমি যে নভেরা নামের অন্য কারো অপেক্ষায় আছি । শীলা কি করে আসবে এখানে ! কাকতালীয় ভাবেও শীলার এখানে আসার কোনও কারন নেই । নভেরা নামের কেউ একজন আমার সাথে এ কি খেলায় মেতেছে । হা ঈশ্বর , আমি যদি জানতাম !
নাকি এই-ই নভেরা ! তা ও বা কি করে হবে , এ যে শীলা । সেই অতলান্ত চোখ, আমার নিঃশ্বাস কেড়ে নেয়া সেই মুখ ।
নীল শাড়ীতে জড়ানো সে অপরূপার মাথা ঘুরলো এদিক থেকে ওদিক, হাতে ধরা এক গোছা রজনীগন্ধা । ঠিক গল্পের মতো । অজান্তেই আমার হাত উঠে গেল উপরে, ঈশারার ভঙ্গীতে । বাতাসে ঢেউ তুলে নীল শাড়ী এগিয়ে এলো এদিকে । দুলে উঠলো রজনীগন্ধা । ভারী ঠোটে ঝোলানো সেই পরিচিত দুষ্টু হাসি । ঠিক যেমনটি আমার দু’চোখের আকাশটুকু জুড়ে আছে ।
- হাই, অবাক হলেন ? আমি নভেরা । ঝর্না গড়িয়ে গেলো যেন ।
এতোক্ষনে বুঝলাম, কেন চিনে নেবার তাড়া ছিলোনা তার । নিশ্চিত জানতো, আমি চিনে নেবো তারে । শীলার স্বরে নুপুরের রিনিঝিনি নেই, ভাঙ্গা ভাঙ্গা স্বর । এ যে ঝর্ণার জলে তরঙ্গ তোলা নভেরা নামের সত্যিই কেউ একজন । কিন্তু শীলা নভেরা হবে কি করে । মাথা ঠিক আছে তো আমার ! কোনও ভুল হয়নি তো কোথাও ! কথারা আটকে গেলো ।
আবার তরঙ্গ বেজে উঠলো – জানি বিশ্বাস করতে পারছেন না, পারার কথাও নয় ।
আমি চেয়ে আছি, চেয়ে আছি । দেখছি, শুধু দেখছি । আমার ঘুম কেড়ে নেয়া সেই চোখ । মনে মনে বলি- এতোদিন পরে এলে । কথা সরেনা মুখে । চেয়ে আছি ।
- কই বসতে বলবেন না !
ঘুমঘোর থেকে যেন জেগে উঠি । গলাটি যেন ধরে আসে কঠিন এক সুখে । কোনও মতে বলি, হ্যা হ্যা বসুন ।
হাসির ঝড় উঠলো – আমি আবার তুমি থেকে আপনি হয়ে গেলাম কবে ?
- ন ন না আমি ঠিক বুঝতে পারছিনে ঠিক কি বলা উচিৎ আপনাকে ।
- আপনি একটি ভালো উপমা খুঁজে পাচ্ছেন না এই তো ? সন্মুখবর্তীনির স্বরে একটু রহস্য খেলা করে ।
ঝট করে মনে পড়ে যায় আমার এই উপন্যাসেই আমি একটি ভালো উপমা কোথায় পাবো এই কথা লিখেছিলাম । এই মেয়ে তা জানলো কি করে ! নাকি টেলিপ্যাথী ! অবাক হই – 'আপনি উপমার কথাটি কেন বললেন ?'
- না, আপনি আপনার কাছে থাকা একটা ছবির অনেক অনেক উপমা দিয়ে শীলাকে লিখেছেন তো । ভাবলাম সে ছবির মানুষটাকে সামনে দেখতে পেয়ে আবার নতুন কোনও উপমা খুঁজছেন কিনা ।
আমার কাছে পরিষ্কার হচ্ছে যেন সব এখোন - 'না নভেরা, আমি উপমা খুঁজছি না । আমি খুঁজে দেখছি .. আমি দেখছি ..'
মুখের কথা কেড়ে নেয় নভেরা নামের অবাক করে দেয়া মেয়েটি - 'জানি আপনি কি দেখছেন । যদি চোখ মনের কথা বলে তবে আপনার সে দেখা আমি দেখে নিয়েছি আপনার চোখে ।'
বিব্রত বোধ করি -' আপনি তো ভুলও দেখতে পারেন ।'
একটা মৃদু হাসি খেলে যায় সন্মুখবর্তীনির ঠোটের কোনায় । আমার সমস্ত অন্তরাত্মা ছেয়ে ঝমঝম করে বর্ষা নামে সব ভাসিয়ে । কতো রাত কতো দিন পার করে দিয়েছি এই মুখখানির দিকে চেয়ে চেয়ে । জোনাকজ্বলা রাতের গন্ধ মিশিয়ে লিখেছি পাতার পর পাতা । তাহলে শীলা কে ? মুঠোফোনে যার স্বর আমার রক্তে উজান বইয়ে দিয়েছে, রোজ সকালের মধুরতম সম্ভাষন দিয়ে যে আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে সুদুরে, সে আমার সামনে বসা এই মধুভাষিনী নয় । অথচ এই মুখখানিই যে আমার জপের মালা হয়ে উঠেছিলো এতোদিনে ।
- বুঝতে পারছি আপনার ভেতরে কি ঝড় বইছে । কিন্তু শুরুতেই আমি শীলার হয়ে ক্ষমা চাইছি । আমি এখানে এসেছি কিম্বা আপনার সাথে আমার তিনদিন আগেই কথা হয়ে গেছে এ কথা শীলা জানে না । আমি এসেছি আমার একান্ত নিজের প্রয়োজনে ।
আমি সামনের মুখখানির দিকে চেয়ে আছি । যে মুখখানি শুধু আমারই ছিলো বলে আমি জানতাম । আমার মুখে কথা সরছেনা । প্রচন্ড ঝড় বইছে বুকের মধ্যে । কথা নেই দেখে সে মুখখানিতে মৃদু হাসি খেলে গেলো - 'আপনি অবাক হয়েছেন । দোষটি আমারই । আমি শীলার ব্যাপারটিকে খেলা ভেবেছিলাম । তাই আমার ছবিটা দিতে বলেছি যাতে আসল শীলাকে কেউ যেন চিনতে না পারে । ওর সংসার আছে, ঘর আছে, ভালোবাসাও হয়তো আছে । আমার সেরকম কিছু নেই । হবেও না । তাই ভয় ও ছিলো না । আপনি হয়তো বলবেন কাজটি ঠিক হয়নি । মানছি । তাই তো আপনার কাছে এসেছি , ক্ষমা চাইতে । খেলা ভেবে যাকে নিয়েছিল শীলা, দেখলাম তা আর খেলা থাকেনি; শীলা আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে দিয়েছে আপনার সাথে । আপনাকে আমি তো বলেছি, আমি এই পৃথিবীতে দু’দিনের অতিথি । আপনি বিশ্বাস করুন এতে মিথ্যে নেই ..
আমি চেয়ে আছি নভেরার মুখের দিকে , চোখের দিকে । ভুমধ্যসাগরের নীল জলে কালো ছায়া পড়েছে । কথা বলছে ঠোট কামড়ে । ওর কষ্ট টের পাচ্ছি আমি । তাকিয়ে আছি । লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিয়েছে নভেরা নামের আমার সামনে বসা এক শরীরী অপরিচিতা । হাতের নখ দিয়ে খুঁটে যাচ্ছে টেবিলের একধার । শান্ত, সুন্দর । আমার বুকের ভেতরে গুরু গুরু শব্দ শুনতে পাচ্ছি আমি । ভেঙ্গে পড়বে হয়তো আকাশ অঝোর ধারায় । প্রানপনে চেষ্টা করছি রুখতে । এই সুন্দর, আপাত নিঃস্পাপ একটি মুখ হারিয়ে যাবে পৃথিবী থেকে সময়ের অনেক আগেই, অকালে ! কি ক্ষতি হবে পৃথিবীর, যদি সে আরো অনেকটা সময় থেকে যায় এখানে ! কি ক্ষতি !
- আপনি কিছু বলছেন না । আমি কি ধরে নেবো, আমি আপনাকে বিরক্ত করছি ? কিম্বা ঘৃনা করছেন ?
মুখ খুলি -' নভেরা, ক’দিন থেকে আপনি অসুস্থ্য ? আমি জানি আপনার কি হয়েছে । শীলা যে রোগের কথা বলেছে তা আমি জানি । শীলার মিথ্যেটুকু আমি বুঝতে পেরেছি । আজ আপনাকে দেখে আমি বুঝতে পারছি কি নিষ্ঠুর এক সত্যের সামনে আমি দাঁড়িয়ে । কিন্তু তার আগেই আমার চোখে জল ঝরিয়েছে শীলা অহেতুক । আপনাকে দেখে আজ সত্যিকার ভাবেই আবার তা বাঁধ মানতে চাইছে না ।
- ‘আপনি শান্ত হোন । আসলে আমি এসেছি অন্য একটি কারনে ....’
একটু থেমে আমার চোখের দিকে চাইলো নভেরা । ইতঃস্তত । চেয়ে থাকলো অনেকক্ষন ।
“ আপনাকে একটু ছুঁয়ে দেখতে চাই” গভীর প্রত্যাশা নিয়ে কথাগুলো বললো সে ।
- আমাকে ছুঁয়ে দেখলে আপনার কি লাভ ? যার ছোঁয়ার কথা সে তো ছুঁয়ে দেখতে চায়নি । সে তো পালিয়ে গেছে । আপনি কেন ?
- আমি ... আমি... কথার খেই হারিয়ে গেলো ওর ।
- বলুন ভয় নেই নভেরা ।
- আমাকে আপনি তুমি করে বলুন । যেমন করে আপনি লিখতেন । আমার চোখে চোখ রাখতেন, রাত কাটাতেন বিনিদ্র ব্যথায় । তেমন করে শুধু একবার বলুন ।
আমি তাকিয়ে আছি ভিজে ওঠা নভেরার চোখদুটির দিকে । এ চোখ যে আমার জন্মজন্মান্তরের । আমার রুদ্রাক্ষের মালাটি । অথচ এতো আমার নয় । আমার সবকিছু যে পড়ে আছে এই মুখখানির আলোতে ছায়া ফেলা আর এক অশরীরীর কাছে । শীলা নামের কারো কাছে । কে আমার কাছের, একান্ত নিজের ! এই মুখ নাকি তার আড়ালে অধরা আর একজন ! মনের গভীরে উত্তর খুঁজে মরি ।
কথারা জড়িয়ে যায় – ‘নভেরা আপনি.... আপনি... না নভেরা তুমি কেন এমোন করে বললে ? তুমি অনেক ছোট হবে আমার থেকে, তোমাকে তো তুমি বলাই যায়’ ।
- না বয়সের সে তুমি ডাক নয় , আমি খুব আপন করে বলা তুমি শব্দটি শুনতে চাইছি । যেমন করে আপনি প্রতিটি লেখাতে ডেকেছেন আমাকেই ।
হু হু করে দীর্ঘ বাতাস বয়ে যায় আমার আঙ্গিনা জুড়ে । এ কোন নিশির ডাক ডাকছে আমায় ! নভেরার চোখে চোখ রাখি আলতো করে । চোখের দীঘল পল্লবে কাঁপন তুলে আমারই চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে আছে নভেরা নামের এক মায়াবিনী , অস্তাচলের সূর্য্য । আমার সবটুকু দেখে নিতে চায় যেন । পড়ে নিতে চায় । তার পরে নীরবতা ভাঙ্গে তার ঝর্ণাধারা ।
উল্লাসিনী নয়, কেমন শিথিল – ‘ আমার জীবনের যে সময়টুকুতে আমার অনেক পাওয়ার কথা ছিলো, সে সময়ের আলোকময় বন্দর থেকে অন্ধকার এক দ্বীপের পথ আমাকে টেনে নিয়ে গেছে । সে পথে আমার সঙ্গী হতে চায়নি কেউ । চা্ওয়ার কথাও নয় । রক্তবীজ আমাকে কুরে কুরে খেতে শুরু করেছে যে । একজন সবে হয়ে ওঠা নারীর যে রকম ভালোবাসার দরকার আমার তা জোটেনি । দুঃখও ছিলোনা । চলেই তো যাচ্ছিলো দিন এক এক করে । কিন্তু শীলাকে লেখা আপনার মেইলগুলো পড়ে বুঝলাম ভালোবাসা কতো গভীর হতে পারে । নিত্য নতুন সেজে উঠতে পারে দিনগুলো । পরকীয়া প্রেম কতো স্নিগ্ধ হতে পারে । বুকের ভেতরে মোচড় দিয়ে উঠলো যখন দেখলাম আপনি শীলাকে লিখেছেন, হারানোর মতো এই একখানি মুখই তো আমার সম্বল হয়েছে এতোদিনে । জানেন , এটুকু পড়ে আমার চোখে জল এসে গেছিলো । আসলেই তো আমি আর থাকবোনা ক’দিন পরে, হারিয়ে যাবো । আপনি অজান্তেই খুব কঠোর সত্য কথাটি বলে ফেলেছেন আমার সম্পর্কে । সে রাতে আমি একা একা কেঁদেছি । নিজের নিভু নিভু হয়ে আসা জীবনটাকে খুব ভালোবাসতে ইচ্ছেরা প্রবল হয়ে উঠেছিলো । মনের ভেতর গড়ে ওঠা শুন্যতাকে ভরে তুলতে ইচ্ছে করছিলো । কে দেবে আমায় এতো ভালোবাসা ! একজনের সাথে আমার সখ্যতা আছে খুব । সে শুধু বন্ধুর মতো ভালোবাসা । সে যে আমার ঘটির জল । শেষের কবিতার মতো আমার যে দীঘির জল চাই, এমোন তৃষ্ণা আমার তীব্র হয়ে উঠলো শীলাকে লেখা আপনার কথা থেকে । সেদিন থেকে আমি বড় তৃষ্ণার্ত হয়ে উঠেছি ...
নভেরা থেমে গেলো । বোধহয় গুছিয়ে নিচ্ছে কি বলবে । ওর ঠোট কাঁপছে । হাতের আঙ্গুল এখোন খেলা করছে টেবিলে রাখা খালি গ্লাসটি নিয়ে । মাঝখানে রাখা ফুলগুলো চুপ করে আছে ।
(চলবে..... অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন)
শেষ অধ্যায় / (প্রথম অংশ)
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৬