somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুদ্ধতম পরকীয়া (উপন্যাসিকা)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(পূর্ব প্রকাশনার পর )
শেষ অধ্যায় / (দ্বিতীয় অংশ)

আজ সোমবার । শুক্রবার আসতে অনেক দেরী । অস্থির লাগলো । যা ঘটে গেলো তা সত্যি তো ! নাকি সবটাই আমার কল্পনা । তা কি করে হবে ! ছাই পড়ে আছে টেবিলময়, আধ খাওয়া কাপের চা ঠান্ডা হয়ে পড়ে আছে । মোবাইলে হাত রেখে দেখি গরম হয়ে আছে এখোনও । নাহ.. মাথাটা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে । ডেস্ক ক্যালেন্ডারের দিকে তাকালাম , এখোন মনে হলো শুক্রবারের তারিখটি অন্য রকম লাল হয়ে জ্বলছে যেন আজ । তিন দিন পরে নভেরা নামের একজনের সাথে আমাকে দেখা করতে হবে । কি বলবে নভেরা নামের অদেখা মেয়েটি ! ভয়ঙ্কর এক আভাষ দিয়ে গেছে সে আমায়, মৃত্যুর । সবটাই তার মিথ্যে নয়তো ! আশংকায় ঘেমে নেয়ে উঠতে হয় ।
সময় যেন কাটেনা কিছুতেই । ঘরে ফিরে সরব হয়ে উঠি মনের কোনে জমে ওঠা আশংকাকে উড়িয়ে দিতে । টিভি খুলে দিয়ে অযথা এ চ্যানেল ও চ্যানেলে ঘুরি । স্থির হতে পারিনে কোথাও । জিনিয়াকে ডাকি । ওর পড়াশোনা কেমন চলছে জানতে চাই । জিনিয়া একটু অবাক হয় । ফুল্লরাকে ডেকে চা দিতে বলি । ফুল্লরা আসে না, চা আসে । দিন নিভে গিয়ে কিশোরী রাত নামতে থাকে । আমার মনের ভেতরও ঘনায় অন্ধকার । চোখ বুজে রেখে দেখি, অনেকদিন আগের এক জুনের শেষ বেলায় এক অশরীরী নারী এসে দাঁড়িয়েছে আমারই পথে, ভাঙ্গা ভাঙ্গা স্বরে সে শুধায় – পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছো ? আমার হাত ধরে সে যেন পথের হদিশ বলে দিতে চায় । আমি আবারো হারিয়ে যাই পথ, নতুন করে ।
স্তনের বিস্তির্ণ আলপথে যেমন বটের কষের মতো গাঢ় সফেন দুধ জমা হতে থাকে ধীরে ধীরে, আমারই মনের তলে তেমনি ভীড় করে জমতে থাকে পুরোনো আঠালো স্মৃতিরা । ভয় হয় এর কোনখানে নভেরা নামের শরীরী একজনকে তারই অজান্তে আমি আটকে ফেলেছি কিনা কোনও অসতর্ক মূহুর্তে । অপরাধ করে ফেলেছি কিনা কোনও । নইলে কি কথা আমার সাথে তার ! সে তো বললো আসবে । কিন্তু আমি তাকে চিনবো কি করে কিম্বা সে আমাকে ! সেরকম কোনও কথা তো আমাদের হয়নি, তাহলে ? ডাক দিয়ে, তার আগেই তো উড়ে গেলো সে । শীলার মতোই, জোনাকী হয়ে জ্বলে উঠেই নিভে গেলো । মুঠোফোনে যতো সহজেই সে কথাগুলো বলে গেলো ততো কঠিন করে দিয়ে গেল আমার জেগে থাকা রাত ।

বসে আছি । অস্থিরতা আমার কেটে গেছে আজ । যুদ্ধে যাবার আগেই যতো ভয় ভীতি, গোলাগুলির মাঝে পড়ে গেলে যেমন আর করার কিছু থাকেনা তেমনি । ধীর স্থির বসে আছি । অপেক্ষা । কথাদের গোছাচ্ছি মনে মনে । অকস্মাৎ বাতাস যেন থমকে গেলো, বিদ্যূৎ খেলে গেলো আমার আকাশ জুড়ে । স্বপ্নের ঘোরে যেন উঠে দাঁড়ালাম । সুইঙডোর খুলে যিনি এলেন, দুর থেকে অধরা দেখালেও সে যে আমার চির চেনা । আমার দিন রাত্রির ছবি, আমার রোদেলা দুপুর, জোনাক জ্বলা রাত, আমার সাগরের নীল, অনন্ত আকাশ , আমার জন্ম জন্মান্তরের আরাধ্য দেবী । শীলা । কিন্তু এ যে শীলা নয় । কিছুতেই নয় । আমি যে নভেরা নামের অন্য কারো অপেক্ষায় আছি । শীলা কি করে আসবে এখানে ! কাকতালীয় ভাবেও শীলার এখানে আসার কোনও কারন নেই । নভেরা নামের কেউ একজন আমার সাথে এ কি খেলায় মেতেছে । হা ঈশ্বর , আমি যদি জানতাম !
নাকি এই-ই নভেরা ! তা ও বা কি করে হবে , এ যে শীলা । সেই অতলান্ত চোখ, আমার নিঃশ্বাস কেড়ে নেয়া সেই মুখ ।
নীল শাড়ীতে জড়ানো সে অপরূপার মাথা ঘুরলো এদিক থেকে ওদিক, হাতে ধরা এক গোছা রজনীগন্ধা । ঠিক গল্পের মতো । অজান্তেই আমার হাত উঠে গেল উপরে, ঈশারার ভঙ্গীতে । বাতাসে ঢেউ তুলে নীল শাড়ী এগিয়ে এলো এদিকে । দুলে উঠলো রজনীগন্ধা । ভারী ঠোটে ঝোলানো সেই পরিচিত দুষ্টু হাসি । ঠিক যেমনটি আমার দু’চোখের আকাশটুকু জুড়ে আছে ।
- হাই, অবাক হলেন ? আমি নভেরা । ঝর্না গড়িয়ে গেলো যেন ।
এতোক্ষনে বুঝলাম, কেন চিনে নেবার তাড়া ছিলোনা তার । নিশ্চিত জানতো, আমি চিনে নেবো তারে । শীলার স্বরে নুপুরের রিনিঝিনি নেই, ভাঙ্গা ভাঙ্গা স্বর । এ যে ঝর্ণার জলে তরঙ্গ তোলা নভেরা নামের সত্যিই কেউ একজন । কিন্তু শীলা নভেরা হবে কি করে । মাথা ঠিক আছে তো আমার ! কোনও ভুল হয়নি তো কোথাও ! কথারা আটকে গেলো ।
আবার তরঙ্গ বেজে উঠলো – জানি বিশ্বাস করতে পারছেন না, পারার কথাও নয় ।
আমি চেয়ে আছি, চেয়ে আছি । দেখছি, শুধু দেখছি । আমার ঘুম কেড়ে নেয়া সেই চোখ । মনে মনে বলি- এতোদিন পরে এলে । কথা সরেনা মুখে । চেয়ে আছি ।
- কই বসতে বলবেন না !
ঘুমঘোর থেকে যেন জেগে উঠি । গলাটি যেন ধরে আসে কঠিন এক সুখে । কোনও মতে বলি, হ্যা হ্যা বসুন ।
হাসির ঝড় উঠলো – আমি আবার তুমি থেকে আপনি হয়ে গেলাম কবে ?
- ন ন না আমি ঠিক বুঝতে পারছিনে ঠিক কি বলা উচিৎ আপনাকে ।
- আপনি একটি ভালো উপমা খুঁজে পাচ্ছেন না এই তো ? সন্মুখবর্তীনির স্বরে একটু রহস্য খেলা করে ।
ঝট করে মনে পড়ে যায় আমার এই উপন্যাসেই আমি একটি ভালো উপমা কোথায় পাবো এই কথা লিখেছিলাম । এই মেয়ে তা জানলো কি করে ! নাকি টেলিপ্যাথী ! অবাক হই – 'আপনি উপমার কথাটি কেন বললেন ?'
- না, আপনি আপনার কাছে থাকা একটা ছবির অনেক অনেক উপমা দিয়ে শীলাকে লিখেছেন তো । ভাবলাম সে ছবির মানুষটাকে সামনে দেখতে পেয়ে আবার নতুন কোনও উপমা খুঁজছেন কিনা ।
আমার কাছে পরিষ্কার হচ্ছে যেন সব এখোন - 'না নভেরা, আমি উপমা খুঁজছি না । আমি খুঁজে দেখছি .. আমি দেখছি ..'
মুখের কথা কেড়ে নেয় নভেরা নামের অবাক করে দেয়া মেয়েটি - 'জানি আপনি কি দেখছেন । যদি চোখ মনের কথা বলে তবে আপনার সে দেখা আমি দেখে নিয়েছি আপনার চোখে ।'
বিব্রত বোধ করি -' আপনি তো ভুলও দেখতে পারেন ।'
একটা মৃদু হাসি খেলে যায় সন্মুখবর্তীনির ঠোটের কোনায় । আমার সমস্ত অন্তরাত্মা ছেয়ে ঝমঝম করে বর্ষা নামে সব ভাসিয়ে । কতো রাত কতো দিন পার করে দিয়েছি এই মুখখানির দিকে চেয়ে চেয়ে । জোনাকজ্বলা রাতের গন্ধ মিশিয়ে লিখেছি পাতার পর পাতা । তাহলে শীলা কে ? মুঠোফোনে যার স্বর আমার রক্তে উজান বইয়ে দিয়েছে, রোজ সকালের মধুরতম সম্ভাষন দিয়ে যে আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে সুদুরে, সে আমার সামনে বসা এই মধুভাষিনী নয় । অথচ এই মুখখানিই যে আমার জপের মালা হয়ে উঠেছিলো এতোদিনে ।
- বুঝতে পারছি আপনার ভেতরে কি ঝড় বইছে । কিন্তু শুরুতেই আমি শীলার হয়ে ক্ষমা চাইছি । আমি এখানে এসেছি কিম্বা আপনার সাথে আমার তিনদিন আগেই কথা হয়ে গেছে এ কথা শীলা জানে না । আমি এসেছি আমার একান্ত নিজের প্রয়োজনে ।
আমি সামনের মুখখানির দিকে চেয়ে আছি । যে মুখখানি শুধু আমারই ছিলো বলে আমি জানতাম । আমার মুখে কথা সরছেনা । প্রচন্ড ঝড় বইছে বুকের মধ্যে । কথা নেই দেখে সে মুখখানিতে মৃদু হাসি খেলে গেলো - 'আপনি অবাক হয়েছেন । দোষটি আমারই । আমি শীলার ব্যাপারটিকে খেলা ভেবেছিলাম । তাই আমার ছবিটা দিতে বলেছি যাতে আসল শীলাকে কেউ যেন চিনতে না পারে । ওর সংসার আছে, ঘর আছে, ভালোবাসাও হয়তো আছে । আমার সেরকম কিছু নেই । হবেও না । তাই ভয় ও ছিলো না । আপনি হয়তো বলবেন কাজটি ঠিক হয়নি । মানছি । তাই তো আপনার কাছে এসেছি , ক্ষমা চাইতে । খেলা ভেবে যাকে নিয়েছিল শীলা, দেখলাম তা আর খেলা থাকেনি; শীলা আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে দিয়েছে আপনার সাথে । আপনাকে আমি তো বলেছি, আমি এই পৃথিবীতে দু’দিনের অতিথি । আপনি বিশ্বাস করুন এতে মিথ্যে নেই ..
আমি চেয়ে আছি নভেরার মুখের দিকে , চোখের দিকে । ভুমধ্যসাগরের নীল জলে কালো ছায়া পড়েছে । কথা বলছে ঠোট কামড়ে । ওর কষ্ট টের পাচ্ছি আমি । তাকিয়ে আছি । লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিয়েছে নভেরা নামের আমার সামনে বসা এক শরীরী অপরিচিতা । হাতের নখ দিয়ে খুঁটে যাচ্ছে টেবিলের একধার । শান্ত, সুন্দর । আমার বুকের ভেতরে গুরু গুরু শব্দ শুনতে পাচ্ছি আমি । ভেঙ্গে পড়বে হয়তো আকাশ অঝোর ধারায় । প্রানপনে চেষ্টা করছি রুখতে । এই সুন্দর, আপাত নিঃস্পাপ একটি মুখ হারিয়ে যাবে পৃথিবী থেকে সময়ের অনেক আগেই, অকালে ! কি ক্ষতি হবে পৃথিবীর, যদি সে আরো অনেকটা সময় থেকে যায় এখানে ! কি ক্ষতি !
- আপনি কিছু বলছেন না । আমি কি ধরে নেবো, আমি আপনাকে বিরক্ত করছি ? কিম্বা ঘৃনা করছেন ?
মুখ খুলি -' নভেরা, ক’দিন থেকে আপনি অসুস্থ্য ? আমি জানি আপনার কি হয়েছে । শীলা যে রোগের কথা বলেছে তা আমি জানি । শীলার মিথ্যেটুকু আমি বুঝতে পেরেছি । আজ আপনাকে দেখে আমি বুঝতে পারছি কি নিষ্ঠুর এক সত্যের সামনে আমি দাঁড়িয়ে । কিন্তু তার আগেই আমার চোখে জল ঝরিয়েছে শীলা অহেতুক । আপনাকে দেখে আজ সত্যিকার ভাবেই আবার তা বাঁধ মানতে চাইছে না ।
- ‘আপনি শান্ত হোন । আসলে আমি এসেছি অন্য একটি কারনে ....’
একটু থেমে আমার চোখের দিকে চাইলো নভেরা । ইতঃস্তত । চেয়ে থাকলো অনেকক্ষন ।
“ আপনাকে একটু ছুঁয়ে দেখতে চাই” গভীর প্রত্যাশা নিয়ে কথাগুলো বললো সে ।
- আমাকে ছুঁয়ে দেখলে আপনার কি লাভ ? যার ছোঁয়ার কথা সে তো ছুঁয়ে দেখতে চায়নি । সে তো পালিয়ে গেছে । আপনি কেন ?
- আমি ... আমি... কথার খেই হারিয়ে গেলো ওর ।
- বলুন ভয় নেই নভেরা ।
- আমাকে আপনি তুমি করে বলুন । যেমন করে আপনি লিখতেন । আমার চোখে চোখ রাখতেন, রাত কাটাতেন বিনিদ্র ব্যথায় । তেমন করে শুধু একবার বলুন ।

আমি তাকিয়ে আছি ভিজে ওঠা নভেরার চোখদুটির দিকে । এ চোখ যে আমার জন্মজন্মান্তরের । আমার রুদ্রাক্ষের মালাটি । অথচ এতো আমার নয় । আমার সবকিছু যে পড়ে আছে এই মুখখানির আলোতে ছায়া ফেলা আর এক অশরীরীর কাছে । শীলা নামের কারো কাছে । কে আমার কাছের, একান্ত নিজের ! এই মুখ নাকি তার আড়ালে অধরা আর একজন ! মনের গভীরে উত্তর খুঁজে মরি ।
কথারা জড়িয়ে যায় – ‘নভেরা আপনি.... আপনি... না নভেরা তুমি কেন এমোন করে বললে ? তুমি অনেক ছোট হবে আমার থেকে, তোমাকে তো তুমি বলাই যায়’ ।
- না বয়সের সে তুমি ডাক নয় , আমি খুব আপন করে বলা তুমি শব্দটি শুনতে চাইছি । যেমন করে আপনি প্রতিটি লেখাতে ডেকেছেন আমাকেই ।
হু হু করে দীর্ঘ বাতাস বয়ে যায় আমার আঙ্গিনা জুড়ে । এ কোন নিশির ডাক ডাকছে আমায় ! নভেরার চোখে চোখ রাখি আলতো করে । চোখের দীঘল পল্লবে কাঁপন তুলে আমারই চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে আছে নভেরা নামের এক মায়াবিনী , অস্তাচলের সূর্য্য । আমার সবটুকু দেখে নিতে চায় যেন । পড়ে নিতে চায় । তার পরে নীরবতা ভাঙ্গে তার ঝর্ণাধারা ।
উল্লাসিনী নয়, কেমন শিথিল – ‘ আমার জীবনের যে সময়টুকুতে আমার অনেক পাওয়ার কথা ছিলো, সে সময়ের আলোকময় বন্দর থেকে অন্ধকার এক দ্বীপের পথ আমাকে টেনে নিয়ে গেছে । সে পথে আমার সঙ্গী হতে চায়নি কেউ । চা্ওয়ার কথাও নয় । রক্তবীজ আমাকে কুরে কুরে খেতে শুরু করেছে যে । একজন সবে হয়ে ওঠা নারীর যে রকম ভালোবাসার দরকার আমার তা জোটেনি । দুঃখও ছিলোনা । চলেই তো যাচ্ছিলো দিন এক এক করে । কিন্তু শীলাকে লেখা আপনার মেইলগুলো পড়ে বুঝলাম ভালোবাসা কতো গভীর হতে পারে । নিত্য নতুন সেজে উঠতে পারে দিনগুলো । পরকীয়া প্রেম কতো স্নিগ্ধ হতে পারে । বুকের ভেতরে মোচড় দিয়ে উঠলো যখন দেখলাম আপনি শীলাকে লিখেছেন, হারানোর মতো এই একখানি মুখই তো আমার সম্বল হয়েছে এতোদিনে । জানেন , এটুকু পড়ে আমার চোখে জল এসে গেছিলো । আসলেই তো আমি আর থাকবোনা ক’দিন পরে, হারিয়ে যাবো । আপনি অজান্তেই খুব কঠোর সত্য কথাটি বলে ফেলেছেন আমার সম্পর্কে । সে রাতে আমি একা একা কেঁদেছি । নিজের নিভু নিভু হয়ে আসা জীবনটাকে খুব ভালোবাসতে ইচ্ছেরা প্রবল হয়ে উঠেছিলো । মনের ভেতর গড়ে ওঠা শুন্যতাকে ভরে তুলতে ইচ্ছে করছিলো । কে দেবে আমায় এতো ভালোবাসা ! একজনের সাথে আমার সখ্যতা আছে খুব । সে শুধু বন্ধুর মতো ভালোবাসা । সে যে আমার ঘটির জল । শেষের কবিতার মতো আমার যে দীঘির জল চাই, এমোন তৃষ্ণা আমার তীব্র হয়ে উঠলো শীলাকে লেখা আপনার কথা থেকে । সেদিন থেকে আমি বড় তৃষ্ণার্ত হয়ে উঠেছি ...
নভেরা থেমে গেলো । বোধহয় গুছিয়ে নিচ্ছে কি বলবে । ওর ঠোট কাঁপছে । হাতের আঙ্গুল এখোন খেলা করছে টেবিলে রাখা খালি গ্লাসটি নিয়ে । মাঝখানে রাখা ফুলগুলো চুপ করে আছে ।

(চলবে..... অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন)

শেষ অধ্যায় / (প্রথম অংশ)
Click This Link

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৬
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:০৬

অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×