somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্যাঙের ছাতা .......

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ব্যাঙের ছাতা .......
[ খানিকটা ফটোব্লগ সহ ]

একসময় ব্যাঙের ছাতা বলে ঘৃনায় হাত দিয়েও ছুঁতো না কেউ যাকে, আজ তা পশ চাইনিজ রেষ্টুর‍্যান্ট এর হালকা আলোর নীচে উঠতি বয়েসীদের কাছে সম্ভবত প্রথম পছন্দের খাবার, স্যুপ হিসেবে । অনেক পরিবারের ডাইনিংয়ে আজকাল মাশরুম ডিস টেবিলের শোভা বাড়াচ্ছে । একটা ক্রেজ হয়ে উঠছে বলা চলে । সম্ভ্রান্তদের খাবার ।

ছাতার মতো দেখতে এই জিনিষটি কি আদপেই ব্যাঙেরা মাথায় দিয়ে চলে ? বাচ্চাদের গল্পে কিম্বা রূপকথায় চলে হয়তো । বাস্তবে নয় । বাস্তবে সব ব্যাঙের ছাতাই ছাতার মতো দেখতে নয় । এদের আছে চটকদার রূপ । বর্ণাঢ্য রং ।
ম্যাকডোনাল্ডসের যে বার্গারটি আপনার পছন্দ তা কিন্তু এই ব্যাঙের ছাতার আদল ।




মেলাতে পারছেন অবশ্যই ।
আপনারা আনবিক বোমার বিস্ফোরনের ছবিও দেখেছেন ।ঠিক যেন ব্যাঙের ছাতা । অপূর্ব সুন্দর কিন্তু মৃত্যুর মতো শীতল ভয়ংকর । আর যে ব্যাঙের ছাতার কথা বলছি তার বেশ কিছু কিন্তু আসলেই মৃত্যুর বারতা নিয়ে আসে । এরা বিষাক্ত । খাবার অযোগ্য ।


ছবি - একটি আমেরিকান নিউক্লিয়ার টেষ্ট । যে লাল-কমলা রঙ দেখতে পাচ্ছেন তার বেশীর ভাগটাই হয়েছে প্রচন্ড তাপে বাতাসের অনুগুলির আয়োনাইজেশানের কারনে । একটি ব্যাঙের ছাতাই তো ?


ছবি - এটাও আর একটি । অপারেশান ক্রসরোডস এর আওতায় বিকিনি দ্বীপপুঞ্জের কাছে ১৯৪৬ সালে পানির নীচে আনবিক বিস্ফোরন । যেন বিরাট একটি ব্যাঙের ছাতা ।

যে ব্যাঙের ছাতার কথা বলছি তা কিন্তু ম্যাকডোনাল্ডসের ও নয় , নয় আনবিক বিস্ফোরনের ও । আপনি ভালো করেই জানেন যে, মাশরুম আসলে এক জাতীয় ছত্রাক । এটি হলো ছত্রাকের মাংশল, স্পোর ধারক আর ফ্রুইটিং বডি যা সাধারনত জন্মে থাকে মাটি অথবা ছত্রাকটির খাদ্য ভান্ডারের উপরে । এ্যাগারিকেলস শ্রেনীর মধ্যে যে এ্যাগারিকাস বর্গের ছত্রাকের নাম শুনেছেন আপনি, তারই একটি প্রজাতি এ্যাগারিকাস ক্যামপেসট্রিস হলো এই মাঠে-ময়দানে আপনার দেখা ব্যাঙের ছাতাটি । অবশ্য আধুনিক শ্রেনীবিন্যাস বলে যে, সব এ্যাগারিকেলসই যে মাশরুমের জন্ম দেবে এমোনটা নয় । তারপরেও ধাঁধাঁয় পড়ে যাবেন এটা জেনে যে, “মাশরুম” শব্দটি আসলে এ্যাগারিকাস বাইস্পোরাস নামের চাষকৃত সাদা বোতামের মতো দেখতে (white button mushroom) ছত্রাকটির পোষাকী নাম । যাদের থাকবে একটি দন্ড ( স্টেম), দন্ডের উপরে টুপির ( ক্যাপ) মতো দেখতে একটি অংশ আর এই টুপির নীচের দিকটিতে থাকবে গিলস আর স্পোরস । তবে এ প্রজাতিটি ছাড়াও স্টেম বিহীন, কাঠের মতো শুকনো অথবা চামড়ার মতো দেখতে ছত্রাকগুলিকেও মাশরুম নামে ডাকতে আপনার অসুবিধে নেই ।


ছবি – সাদা বোতাম ......
এই সাথে এই কথাটিও জেনে রাখুন, আসলে মাশরুমের শ্রেনীবিভাগ করা মোটেও সহজ নয় । আপনি প্রায় ১৪,০০০ প্রজাতির মাশরুমের দেখা পাবেন । শ্রেনী বিভাগ করতে তাই আপনাকে হিমশিম খেতেই হবে ।
মাশরুমকে আমরা যেমন বলি ব্যাঙের ছাতা, তেমনি ইংরেজরা বলে “টোডস্টুল” (toadstool) । আর এই নাম চলে আসছে শত শত বছর ধরে । এই “টোডস্টুল” নামটি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় বিষাক্ত মাশরুমের বেলায় । ১৪০০ থেকে ১৬০০ শতকে আমাদের “ব্যাঙের ছাতা”টিকে কতো নামেই না ডাকা হতো – ফ্রগস্টুলস, প্যাডকস্টুল, ট্যাডষ্টোলেস, ফ্রগি ষ্টোলেস ইত্যাদি । জর্মন রূপকথা আর পুরোনো দিনের পরীদের গপ্পে ব্যাঙকে চিত্রিত করা হতো এভাবেই – ব্যাঙ বাবাজী মাশরুমের ছাতার উপর বসে বসে সারাক্ষন ঘ্যাঙর ঘ্যাং করে আর তাদের জিহ্বা দিয়ে মাছি ধরে...।


ছবি - ক্যামেরাবন্দী জর্মন রূপকথার সেই ব্যাঙ.....

তো “ব্যাঙের ছাতা” নিয়ে রূপকথা নেই কোন সাহিত্যে ? বিভিন্ন দেশের রূপকথায় এর অঢেল ছড়াছড়ি দেখতে পাবেন আপনি । রাশান রূপকথাতে আপনি “আইভান” বা “ ভানিয়া’ কে দেখেছেন “ব্যাঙের ছাতা” কুড়োতে যাচ্ছে । আর সেখানেই ব্যাঙ হিসেবে এক রাজকন্যে বা রাজপূত্রের সাথে দেখা হয়ে গেছে তাদের । ফিরে গেছে ভাগ্য । এমোনটা ঘটেছে আমাদের দেশেও, তবে গল্পে নয় বাস্তবে । সে কথা পরে ।
তবে এই “ব্যাঙের ছাতা” নিয়ে কুসংস্কার ও আছে বেশ । এটাকে লোকে ডাকে “শয়তানের ফল” (ডেভিল’স ফ্রুট ) নামে । নইলে রাতারাতি মাটি ফুঁড়ে এটা বেড়িয়ে আসে কি করে ? এটা তো একটা ম্যাজিক । তার উপরে, এটা খেলে নাকি মানুষ মরে !
কুসংস্কার তো জন্ম নেবেই ! আর এ থেকেই দেখা যায় “ফাঙ্গোফোবিয়া” বা ছত্রাকভীতির লক্ষন । এই “ফাঙ্গোফোবিয়া” শব্দটির আবিষ্কর্তা হলেন উইলিয়াম হে, এক ইংল্যান্ডবাসী । তিনি মাশরুম নিয়ে মানুষের ভেতর ব্যাপক কুসংস্কার আর আতঙ্ক দেখে এটাকে বলেছেন “ফোবিয়া” আর মন্তব্য করেছেন, “ওয়ার্থলেস আর অস্বাভাবিক” । ইংল্যান্ড থেকে এই ফোবিয়া ছড়িয়ে পড়ে মার্কিন যুত্তরাষ্ট্র আর অস্ট্রেলিয়াতে ।
মাশরুম খেলে মানুষ মারা যায়, এ ধারনা কুসংস্কার মনে হলেও ধারনাটি সত্য থেকে দূরে নয় । বেশ কিছু মাশরুম আছে যা বেশ বিষাক্ত আর মরনঘাতী । এখোন টোডস্টুল শব্দটির ব্যবহার সীমিত হয়ে পড়েছে শুধু গল্পে, যেখানে মাশরুমটিকে বিষাক্ত বা সন্দেহজনক হিসেবেই তুলে ধরা হয়েছে । আর এরকম একটি বিষাক্ত মাশরুমের চমৎকার উদাহরন হলো- “আমানিতা মাসকারিয়া” ।


ছবি - আমানিতা মাসকারিয়া । সুন্দরের মাঝেও থাকে বিষ......


ছবি – আমানিতার আর একটি ধরন । দেখতেই যেন বদখত....

এসব বিষাক্ত মাশরুমকে চিনে ওঠা বেশ কষ্টকর । তাই মাশরুম সম্বন্ধে ভালো ধারনা না থাকলে মাঠেঘাটে মাশরুম পেলেই তা তুলে আনা আপনার ঠিক হবে না । এই সাথে এটাও জেনে রাখুন, এ্যাগারিকাস বাইস্পোরাসে "এ্যাগারিটাইন” নামের একটি ক্যান্সার উৎপাদনকারী “কারসিনোজেন” থাকে । পাশাপাশি এটা জেনেও নিশ্চিন্তে থাকুন – রান্নার সময় মাঝারী তাপে এই উপাদানটি কিন্তু নষ্ট হয়ে যায় সহজেই ।
তারপরেও আমরা এটা খাচ্ছি কেন ? কারন এটি খাদ্য হিসেবে চমৎকার । ভেজিটেবল এর জগতে এটি “মাংশ” । থায়ামিন, রিভোফ্লাভিন, নায়াসিন, প্যান্টোথেনিক এসিড এই সব ভিটামিন–বি তে এরা ভরপুর । এতে মিনারেলস পাবেন সেলেনিয়াম, কপার, জিঙ্ক এবং পটাশিয়াম । ফাইবার পাবেন ৩০গ্রাম% , প্রোটিন ১৭গ্রাম % আর সেল্যুলোজ পাবেন ৫৫গ্রাম % । ফ্যাট আর কাবোর্হাইড্রেটের পরিমান খুব কম, শরীরবান্ধব । আর এক আউন্স মাশরুম থেকে আপনি পাচ্ছেন ২০ ক্যালোরী শক্তি ।

সব মিলিয়ে মাশরুম ডায়াবেটিস, রক্তের উচ্চ কোলেস্টেরল, মেদভুড়ি, উচ্চ রক্তচাপ, ভাইরাসজনিত রোগ, কিডনীর রোগ, যৌন রোগ, এইডস, স্তন ও পায়ুপথের ক্যান্সার, জন্ডিস ও ডেঙ্গুজ্বর ইত্যাদি বিভিন্ন জটিল রোগের প্রতিরোধক, নিরাময়ক বা নিয়ন্ত্রক হিসেবেও কাজ করে ৷ মাশরুমের এই খাদ্যগুনের কারনেই দীর্ঘদিন থেকেই কোরিয়া, জাপান, চীন, য়্যুরোপ,
ভারতে এটি প্রিয় খাবারের তালিকাতে রয়েছে । যে এ্যাগারিকাস বাইস্পোরাসের কথা বলেছি যেটাকে আপনি মাশরুম বলে থাকেন তা কিন্তু আসলেই নিরাপদ । এদেরকে চাষকরা হয় নিয়ন্ত্রিত আর ষ্টেরিলাইজড পরিবেশে ।
বানিজ্যিক ভাবে এ্যাগারিকাস বাইস্পোরাসের বিভিন্ন প্রজাতি যেমন হোয়াইটস,ক্রিমিনি, পোর্টোবেলো এবং অন্য প্রজাতির শীতাকী, মাইতাকী, ইনোকী আর অয়েষ্টার এর চাষ করা হয়ে থাকে । উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দিনে দিনে এর বানিজ্যিক উৎপাদন বাড়ছে । ক্ষুদ্র চাষীদের ছোট ছোট ফার্ম গড়ে উঠছে আনাচে কানাচে । হেকমতে চীন বলে একটা কথা আছে । এখানেও তাদের হেকমতের আলামত দেখতে পাবেন আপনি । বর্তমানে চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাশরুম উৎপাদক । বিশ্বের মোট উৎপাদনের অর্ধেকটাই তার । সারা বিশ্বের বাজারে যায় এগুলো । আর মাশরুম খাবার প্রবনতা এতোটা বেড়েছে যে, বছরে একজন লোক প্রায় ৩ কেজি মাশরুম খেয়ে ফেলেন । আর এরকম লোকের সংখ্যা ১ বিলিয়নেরও বেশী ।
আমাদের বাংলাদেশেও মাশরুমের চাষ হচ্ছে দেদারসে । বাংলাদেশে মাশরুম চাষের ইতিহাস খুব একটা বেশী দিনের নয় ৷ উনিশ শতকের শেষের দিকে ১৯৭৬ সালে । বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম পা রাখে থাইল্যান্ডের “স্ট্র ” মাশরুমের বীজ । ঢাকার আসাদ গেট এলাকায় যারা থাকেন তার এটা নিয়ে গর্ব করতে পারেন যে, আসাদগেট উদ্যান নার্সারীতেই এই মাশরুম চাষের শুভ সূচনা হয় । পরে জাপান থেকে কিছু নিম্ন তাপমাত্রায় চাষযোগ্য অয়েস্টার মাশরুমের বীজ আনা হয় । ১৯৮৭ তে ইটালি থেকে আসে উচ্চ তাপমাত্রায় চাষযোগ্য অয়েস্টার ।


ছবি – অয়েষ্টার । ঝিনুক যেন...
.
১৯৯৭-৯৮ সালে তত্‍কালীন সরকার মাশরুম চাষ উন্নয়নের উদ্যোগ নিলে রাঙ্গা মাটিতে প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গড়ে ওঠে । সে সময় অয়েস্টার, ইয়ার ও শীতাকী নামের মাশরুমের চাষ পদ্ধতির আধুনিকায়ন করা হয় ।


ছবি – শীতাকী ।


ছবি – ইনোকী । যেন একগোছা ফুল ......


২০০৬-২০০৯ সাল মেয়াদী ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে "মাশরুম সেন্টার উন্নয়ন প্রকল্প" নামে আরও একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয় । এ প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লার শাসনগাছা, ফরিদপুরের ভাজনডাঙ্গা, যশোরের খয়েরতলা, সিলেটের মেহেদীবাগ, সদর-দিনাজপুর ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ৬টি হর্টিকালচার সেন্টারে মাশরুম সাব সেন্টার স্থাপন করা হলে এই লাভজনক মাশরুমের চাষ ক্ষুদ্র চাষীদের নজর কাড়ে । প্রায় ১ লাখ লোক সরাসরি মাশরুম চাষের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই ৷ দিনদিন এর সংখ্যা বাড়ছে । বিশেষ করে গ্রামীন মহিলারা এদিকে ঝুঁকছেন বেশী । আপনি জানেন কি, যে ব্যাঙের ছাতা একদিন রূপকথার গল্পে সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসতো আজ সে ব্যাঙের ছাতাই সৌভাগ্য এনে দিয়েছে আমাদের গ্রামীন নারীদের হাতে ?


ছবি – রূপকথা নয় , বাস্তবের ভানিয়ারা । মাশরুম চাষে ফিরে গেছে ভাগ্য ....

কম খরচে খানিকটা জায়গা আর যত্ন নিয়ে গড়ে তোলা এসব খামার থেকেই মূলত আপনার রান্নাঘরের মাশরুমের যোগান আসে । এইসব প্রান্তিক চাষীদের পাশাপাশি সারাদেশে ৩৫০ জন বেসরকারী মাশরুম বীজ উত্‍পাদক দেখতে পাবেন আপনি । গড়ে উঠেছে ১৫টি বড়, মাঝারী ও ছোট আকারের মাশরুম ভিত্তিক খাদ্যশিল্প ও একটি ঔষধ শিল্প (ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে) ।


ছবি – মাশরুম ফ্যাক্টরী ।

প্রাচীন ইতিহাসে মাশরুমের ব্যবহার দেখতে পাবেন আপনি ঔষধি হিসেবে । আধ্যাতিক ব্যবহারের কথাও জেনে থাকবেন । বিষাক্ত আমানিতা মাসকারিয়া নামের মাশরুমে যে সাইলোসাইবিন উপাদানটি আছে তা সাইকোএ্যাকটিভ । প্রাচীন ঋগবেদে যে “সোম” (সোমরসের নামটি আপনারা সম্ভবত শুনে থাকবেন )নামের উল্লেখ আছে তা নাকি এই আমানিতা মাসকারিয়া, এমোনটা বলেছেন গবেষক রবার্ট গর্ডন ওয়াসন । আরো রহস্যময় কথা বলেছেন ফিলোলোজিষ্ট জন এ্যালেগ্রো , ভগবানের অনুগ্রহ লাভের জন্যেই যে প্রাচীন লোকেরা আমানিতা মাসকারিয়া খেতেন শুধু তা নয়- সুমেরীয়, ইহুদী আর প্রথমদিকের ক্রিশ্চিয়ান ধর্মানুসারীরা এটাকে ভগবানের পূজোর মূল উপচার হিসেবেও ব্যবহার করতেন । অর্থোডক্স ক্রিশ্চিয়ানিটি এর ব্যবহার বন্ধে ফতোয়া জারী করেও এর ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেননি । কিছু কিছু গোত্র বা ব্যক্তি যারা মধ্যযুগীয় ক্রিশ্চিয়ান “হলি-গ্রেইল” তত্বে বিশ্বাসী তারা কিন্তু ধর্মীয় কাজে এর ব্যবহার ছাড়েননি ।
আর এক গবেষক টেরেন্স ম্যাককেন্না এই বিষয়টিকে টেনে নিয়ে গেছেন আরো অনেকখানি । তার মতে, আমানিতা মাসকারিয়ায় যে সাইলোসাইবিন নামের রাসায়নিক বস্তুটি পাওয়া যায় তা মানুষের মস্তিষ্কে ভাষা আর শিল্প তৈরীতে প্রাথমিক ভূমিকা রাখে । তাই তিনি এই ব্যাঙের ছাতাটির নাম দিয়েছেন“ জ্ঞানবৃক্ষ” (Tree of Knowledge)। বেশ কিছু গবেষনায় এর সমর্থনও মিলেছে । দেখা গেছে এটা মস্তিষ্কের “ল্যাংগোয়েজ সেন্টার”টির নিউরো-কেমিক্যাল এ্যাক্টিভিটিজকে বাড়িয়ে দেয় । আপনার মুখে বুলি ফোঁটে ।

মুখে বুলি না ফুঁটে উপায় নেই । এর পরের ছবিগুলো দেখে, পথে-ঘাটে অযত্নে গজিয়ে ওঠা এই সব “ব্যাঙ-ছাতা’দের যে অপরূপ সাজে, জৌলুস ভরে সাজিয়েছে প্রকৃতি , তাতে আপনার মুখ থেকে যে বুলিটি বেরুবে তা হয়তো এই – “ ঈশশশশশশশশশশ কি অদ্ভুত সুন্দর ......”



ছবি – গাঢ় সালমন গোলাপী গিলস নিয়ে একাকী “ভোলভারিয়েলা” ।


ছবি – শীতাকীর রকমফের । বাদমী, সাদামাটা । রূপের জৌলুস নেই হয়তো কিন্তু খাবার টেবিলে এর তুলনাও নেই ...
























তথ্যসূত্র ও ছবি – বিভিন্ন ইন্টারনেট সাইট ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৯
৩৫টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হেঁটে আসে বৈশাখ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০০


বৈশাখ, বৈশাখের ঝড় ধূলিবালি
উঠন জুড়ে ঝলমল করছে;
মৌ মৌ ঘ্রান নাকের চারপাশ
তবু বৈশাখ কেনো জানি অহাহাকার-
কালমেঘ দেখে চমকে উঠি!
আজ বুঝি বৈশাখ আমাকে ছুঁয়ে যাবে-
অথচ বৈশাখের নিলাখেলা বুঝা বড় দায়
আজও বৈশাখ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×