কিছুই পড়েনা মনে আর , শালা !
একদিন যে, এই পথে হেটেছি অনেক,
দেখেছি কিছু ঘর-বাড়ী, বাগান-সড়ক,
ঝুলে থাকা বারান্দার গরাদে তিথীর ব্রা
কিছু কায়া , কিছু ছায়া সবই ছাড়া ছাড়া,
বেওয়ারিশ কুকুর, পথের ফকির সবই
ছানি পড়া চোখের ভেতরে জলকেলিতে মাতোয়ারা ।
একদিন লিখেছি খান’দুই মিষ্টি কবিতার বই
তাতেই জলের কোল থেকে ঘাঁই দেয়া মাছ
গেঁথেছি বড়শিতে , জানিস তো তুই !
রিক্সার হুড তুলে কার মেয়ে কই গেলো
সে হিসেব ছিলো পাই পাই
অসভ্য, রকবাজ, বেহায়ার ছাপ ছিলো গায়ে
নখরা , প্যাদানী, কেচাইনে যাইনি কম কিছু
তবুও কেন যে ছাড়েনা নষ্ট চাঁদ পিছু ।
অথচ হলোনা এখনও একটি আকাশ দেখা,
কিছু পাখি ,উড়ে যাওয়া মেঘের পালঙ্ক ,
নদীর আঁচলে চাঁদের বর্ণালী রেখা ।
হয়নি দেখা বৃক্ষতলে জীর্ণ পথিকের বেভুল শুয়ে থাকা,
চোখ মেলে পড়ে থাকা কিছু জারুলের ফুল
কাঠবেড়ালীর পায়ে পায়ে দলে যাওয়া আকুল
কিছু ঘাস হলোনা দেখা।
তিথীর চোখে জ্বলা নেভা জোনাকীর আলো
হয়নি দেখা তাও, কখনও জ্বলেছিলো কিনা একবারও!
নরম অন্ধকার উসকে ক্ষরিত সে আলো
বিকেলের মসৃনতা থেকে জাগিয়ে গেছে কিনা অদেখা ভুবন!
শালা! থামেনা কেন পক্ষকাল
জরাগ্রস্থ আয়ু, পাঁজরের হাঁসফাঁস,
মহার্ঘ্য জঙ্ঘার আঘাতে বসনের আলোড়ন,
মহান চুম্বন!
তাহলে একবার হলেও শালা-
পিছলে যেতে পারতুম ভাটফুলের গন্ধ মাখা উরু বেয়ে
তিথীর পদতলে, চাইতুম ভিক্ষা দু’মুঠো প্রেমের।
তিথী কুকুরের মতো তাড়িয়ে দিলে শুধু
না পেলুম প্রেম, গৃহ, না পেলুম তার সম্পন্ন অবহেলা
তবুও তারে কিছুতেই গেলোনা বলা -
“ভালো আছো তো!”
শালা ! মনপাগলার এইসব নাচনের রেশ
কেন যে হয়না শেষ!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০