somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহাবেকুব জাতক কথন - চার । ব্লগার চাঁদগাজীর পোষ্টের কাটাচেরা ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সম্প্রতি সহ ব্লগার “চাদগাজী” - “দেশে দরকারী পরিমাণ শিল্প কারখানা কেন গড়ে উঠছে না, চাকুরী কেন হচ্ছে না?” শিরোনামে একটি লেখা দিয়েছেন। মহাবেকুব জাতকের গোবরশূন্য মাথায় পাল্টা প্রশ্ন খেলে গেল -“কেন হবে?”
সেই পোস্টে ব্লগার “এমেরিকা” তো সাবেক এক অর্থমন্ত্রীর উদ্বৃতি দিয়ে তার মন্তব্যে বলেই দিয়েছেন কেন হবেনা - “এই দেশে ইন্ডাস্ট্রির চেয়ে ট্রেডিং ব্যবসা লাভজনক, ট্রেডিংয়ের চেয়ে দালালি লাভজনক, আর দালালির চেয়ে চোরাচালান লাভজনক।“
এর সাথে সাথে ইয়াবা ব্যবসাকে যোগ করে বলতেই হয়, বাংলাদেশের জন্যে এর চেয়ে জ্বলন্ত সত্য আর নেই। এতো সহজে কোটি টাকা পকেটে এলে কোন বেকুব শিল্পে বিনিয়োগ করতে যাবেন , যেখান চাঁদাবাজী - লাল ফিতার দৌরাত্ম্য - সরকারী নীতির শত ফ্যাকড়া রয়েছে ?

চাঁদগাজী কয়েকটি প্রতিমন্তব্যে বলেছেন - বাংলাদেশে যত গাড়ী চলছে, যত যন্ত্রপাতি দেখছেন, সবই বিদেশী; এগুলো কিনার জন্য দাস বিক্রয়ের দরকার হচ্ছে; সব তেল আসছে ৫০ লাখ মেয়েকে দাসীর মতো ব্যবহার করাতে; এগুলোর জন্য সঠিক আয় করতে হলে, নিজের দরকারী টেকনোলোজী বানাতে হবে, নিজের দেশে।
বাংলাদেশে কত বিলিয়ন ডলারের প্রাইভেট গাড়ী, বাস, ট্রাক, ট্রাক্টর আমদানী করে, কত বিলিয়ন ডলারের এনার্জি আমদানী করে কত টাকার খাদ্য বিক্রয় করতে পারবে? এখন তেল কিনছে গার্মেন্ট ও রেমিটেন্সের হার্ড কারেন্সী দিয়ে।

চাঁদগাজীর লেখা তাতে সকল মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য পড়ে মহাবেকুবের ঘিলুতে একটা আইডিয়া এসেছে, হার্ড কারেন্সী কি করে যোগাড় করতে হবে তা নিয়ে ।
মহাবেকুবের মাথায় ঘুরতে থাকা “হার্ড কারেন্সী”……. “হার্ড কারেন্সী” র এই হার্ড কারেন্সী আসবে কোথা থেকে ?
কোত্থেকে আসবে সেই মহাবেকুবী আইডিয়া বলার আগে চাঁদগাজীর পোস্টে ব্লগার “ঠাকুরমাহমুদ” এর মন্তব্য ঘুরে আসা যাক -
“বাংলাদেশে কৃষি উন্নয়ন করে কৃষিপণ্য বিক্রি করে রপ্তানি করে লোহা লক্কর আমাদনি করা ভালো নাকি নিজ দেশে লোহা লক্করের মিল কারখানা করা উচিত? বাংলাদেশের আবহাওয়া সম্পর্কে কি জানেন কেনো এই অবস্থা? - মিল কারখানা। বাংলাদেশে মিল কারখানা বেশী (সঠিক অঠিক বৈজ্ঞানিক অবৈজ্ঞানিক জরুরী না, অতিরিক্ত মিল কারখানা বাংলাদেশে)তৈল গ্যাস কয়লা বানানো যায় না। এটি খনিজ সম্পদ।“
এর সূত্র ধরে বলতে চাই - কলকারখানার জন্যে আবহাওয়া দূষন ? আবহাওয়া দূষনে কলকারখানার চেয়ে ইট ভাটার অবদানটাই মনে হয় বেশী, ৮০%। অথচ ইট একটি অনুৎপাদনশীল পণ্য বা বস্তু।
তৈল গ্যাস কয়লা হয়তো বানানো যায় না কিন্তু বাইরে থেকে কিনে আনা যায়।যা দিয়ে অর্থনীতির চাকা ঘোরে। আর অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে হলে কৃষি শিল্পের পাশাপাশি হালকা-মাঝারী-ভারী শিল্পের ও প্রয়োজন আছে। আমরা এখনও একটি “আলপিন”ও বানাতে পারিনে। চায়না থেকে আনতে হয়। এমনি নিত্য প্রয়োজনীয় শিল্প সামগ্রীর ৯৫% ই আমাদের আমদানী করতে হয়। মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশীয় নিজস্ব বাজারই কিন্তু ১৭/১৮ কোটি লোকের। এমন সব প্রয়োজনীয় পণ্য আমরা নিজেরা উৎপাদন করলে তা আমদানীর কারনে যেমন সরকারী রিজার্ভ ডলারে হাত দেবেনা তেমনি বহু মানুষের কর্ম সংস্থান তৈরী করবে। এসবের জন্যেই দরকার হার্ড কারেন্সীর।
এজন্যে চাই সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা- দুরদৃষ্টিতা আর প্রজ্ঞা।
চাঁদগাজী ঠিকই বলেছেন - “শিল্প-কারখানা করতে হলে, প্ল্যান থাকতে হয়, বাজার থাকতে হয়, ক্যাপিটেল থাকতে হয়, দক্ষ শ্রমিক ও ম্যানেজমেন্টের মানুষ থাকতে হয়, কাঁচামাল, জ্বালানী থাকতে হয়; এবং সবকিছুর আগে উদ্দেশ্য থাকতে হয়।“

তার মতো এই বেকুবেরও জানতে ইচ্ছে করে ,আসলেই সরকার জানে কি, কত টাকা দেশের ব্যাংকে থাকলে, দেশে কি পরিমাণ শিল্প গড়া সম্ভব ? শিল্পের ঋণ কারা নিচ্ছে, কতটুকু কাজে লাগাচ্ছে, বছরের শেষ কতজনের চাকুরী হচ্ছে, সেটা কি কেউ মিলিয়ে দেখছেন? ঋণের অনুপাতের সাথে চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে কোন ধারণা কেউই কি রাখেন?

আবার চাঁদগাজীর বলা এ কথায় ও অত্যুক্তি নেই - “শেখ হাসিনাকে যে পন্ডিত হতে হবে, তা নয়; তবে, চীন, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, জার্মানী কি কারণে ভালো করছে, এবং কি কারণে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়েমেন ভালো করছে না, সেটুকু বুঝার মতো মাথা থাকতে হবে; সেটুকু বুঝার জন্য তিনি একজন চীনা শিল্প পরিকল্পনাকারী, একজন জার্মান টেকনোলোজিষ্ট, একজন কানাডিয়ান অর্থনীতিবিদ, একজন সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকারকে ২/১ মাসের জন্য কনসালটেন্ট হিসেবে আনতে পারেন; তারা উনাকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্হিতিটা বুঝিয়ে দিতে ও সম্ভাব্য ভবিষ্যত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে ধারণা দিতে পারার কথা।“
এখন মহাবেকুব বেকুবের মতো করে ভাবতেই পারে- যদি মধ্যম আয়ের দেশ থেকে, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে চান তবে তাঁকে এসব ভাবতেই হবে। দেশকে আরো স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে হলে তাঁকে শুধু বলার লোক হলে চলবেনা, করে দেখানোর লোকও হতে হবে।

দেশের শিল্পায়ন ও বেকারত্ব ঘোচাতে চাই অর্থ। কোত্থেকে আসবে ?
ব্লগার রাজীব নুর বলেছেন -“শিল্প কারখানা দেওয়ার মতো দেশে বহুলোক আছে। তাদের টাকার অভাব নাই। যদিও কালো টাকা। কালো টাকা বলেই, তারা ভয়ে করল্কারখানা দিচ্ছে না। নামে বেনামে টাকা ব্যাংকে রেখে দিচ্ছে।“
চাঁগাজীর কথাটাই সত্য - দেশের মানুষ সরকারী দলের ভয়ে, পুলিশের ভয়ে, প্রশাসনের ভয়ে বিনিয়োগ করছে না।
কানাডিয়ান অর্থনীতিবিদের বদলে দেশীয় এই মহাবেকুবও এমন সত্যটাই বলতে চায় - শত প্রনোদনা দিয়েও সরকার কি এই হাযার হাযার কোটি কালো টাকাকে অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে আনতে পেরেছে ? পারেনি। কালো যতোটুকু সাদা হয়েছে এদেশে তা জমি ক্রয় ও প্রাসাদোতম সাদাবাড়ী নির্মানেই গেছে। ঋণ খেলাপীদের বাকী টাকা , ভূঁই ফোঁড় রাজনীতিক, অসাধু আমলাদের অবৈধ সব আয়ের টাকার সবই বেগম পাড়া, মালয়েশিয়া সহ অন্যান্য জায়গায় সেকেন্ড হোমের বিলাসবহুল বাড়ীতে ঢালা হয়েছে। এই অবৈধ হাযার হাযার কোটি টাকা কি দেশে বিনিয়োগ হয়েছে ? হয়নি। কেন ? ভয়ের কারনে।

ভয়গুলো কি ?
পদে পদে চাঁদাবাজী - লাল ফিতার দৌরাত্ম্য - সরকারী নীতির শত শত ফ্যাকড়া।
নীতি নির্ধারকদের দীর্ঘমেয়াদি কিন্তু উদ্ভট সব পরিকল্পনা। শুল্ক-ভ্যাট ইত্যাদির পেষন। এইসব ভয়েই শিল্প কারখানা গড়তে সাহসী নয় কেউ। ফলে চাকুরীর বাজারও বিকশিত হওয়ার কোনও কারন নেই।

এবার মহাবেকুবীয় অর্থনৈতিক ভাবনা থেকে বলি - পুঁজি যোগাড়টা কালো-সাদা-লাল-নীল-সবুজ টাকাওয়ালাদের হাতেই ছেড়ে দেয়া হোক। টাকার উৎস সম্পর্কে তাদেরকে সরকার কোনও প্রশ্নই করবেন না। তাদের কালো-সাদা-লাল-নীল-সবুজ কোন টাকাতেই ট্যাক্স বসাবেন না। কালো টাকা সাদা করতে যে ট্যাক্স প্রনোদনার লেবেঞ্চুস টাকাওয়ালাদের হাতে এযাবৎ ধরিয়ে দেয়া হয়েছে তাতে ক’জন সেই লেবেঞ্চুস চুষে দেখেছেন ? ওভাবে যখন তেমন কোনও লাভই হয়নি দেশের টাকা দেশেই রাখার ব্যাপারে তবে তেমন প্যাকেজের যৌক্তিকতাটাই বা কি ? সরকার তো কতো কিছুতেই ছাড় দেয় , দেয় ভর্তুকি। তাহলে এখানেই দিক, যাতে সব টাকাওয়ালারা কোনও বাঁধার সামনে না পড়ে নিজেদের টাকা পাচার না করে দেশে রেখেই সম্পূর্ণ নিজ নিজ শিল্প অবকাঠামো গড়ে তুলে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে পারেন।

কেউ কোনও শিল্প গড়ে ব্যবসা করতে চাইলে তিনি তার নিজ খরচেই জমি কেনা, রাস্তা-ঘাট নির্মান-জ্বালানীর জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র -বর্জ্য পরিশোধনাগার সহ “এ টু জেড” অবকাঠামো তৈরী করে নেবেন। এব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় সাহায্য দেবেন মাত্র। কেউ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে ব্যবসা করতে চাইলে তিনিই রাস্তা-ঘাট সহ সেতু নির্মান করবেন। সরকার জমি অধিগ্রহন সহ প্রয়োজনীয় সাহায্য করবেন শুধু। জনগণের গাঁটের অবস্থা বুঝে সেখানে বিনিয়োগকারীরা টোলও বসাতে পারবেন কারন তাকে তো কিছু মুনাফা দিতে হবে। তবে সরকারের নজরদারী রাখতে হবে সেখানে।

এমন সব প্রকল্পে সব টাকা যোগান দেবেন কালো টাকাওয়ালারা। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই তাদের টাকার উৎস জানতে চাইবেন না সরকার। তেমন দরকার পড়লে শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মান শেষে উৎপাদনে গেলে পরে সরকার তার নিয়ন্ত্রন বোঝাতে ৪ বা ৫% ট্যাক্স বসাতে পারবেন পন্যের উপরে যাতে উভয়পক্ষেরই কিছুটা জবাবদিহিতা থাকে। সরকার এই নীতি আগামী চল্লিশ বছরেও কোনও অবস্থাতেই পরিবর্তন করবেন না তা নিশ্চিত করে শিল্পোদ্যোক্তাদের আস্থায় নিয়ে আসতে হবে। সাদা-কালো সব টাকাওয়ালাদেরই এই একটি জায়গাতেই ভয়, কখন সরকার কি করে বসে! সরকার আজ বলছেন এক আবার পরদিন বলছেন আরেক। আজ ছাড় দিচ্ছেন কাল গলা টিপে ধরবেন না এর গ্যারান্টি কি ? এটা যেন না হয় কিছুতেই। সরকার প্রধানকে এর গ্যারান্টর থাকতে হবে।
এখন কেউ কেউ আমাকে বলতেই পারেন, এমন বেকুব তো দেখি নাই আগে! এভাবে আসকারা দিলে সরকারের রাজস্ব আসবে কোত্থেকে ?
তাদেরকে বলি - ওভাবে আসকারা না দিয়েও সরকারের রাজস্ব বাড়ছে কি ? স্বাভাবিক পথে যে রাজস্ব আসছে এর বাইরে আর কিছু আসছে ? আর সরকার রাজস্ব দিয়ে করে কি ?
দেশের কাজেই তো লাগায়, উন্নয়ন করে সব সেক্টরেই। কিন্তু সব সেক্টরেই যদি ঐসব টাকাওয়ালাদের লাগিয়ে দেয়া যায় তবে সরকারের রাজস্ব আয়ের দরকারটা কি ? সরকারের তো সেখানে কোনও খরচের প্রশ্নই নেই। সেখান থেকে সব ছাড় দেয়ার পরে যা আসবে তাই-ই তো সরকারের নীট লাভ। রাজস্ব ভাঙিয়ে সরকারের বিনিয়োগ ছাড়াই দেশের উন্নয়ন হবে, সবচেয়ে বড় কথা কর্মসংস্থান হবে হাযার হাযার আর কিছু রাজস্বও আসবে সাথে বাড়তি। রথ দেখা কলা বেঁচা একসাথেই সারতে পারবে সরকার।

শিল্পায়ন আর কর্মসংস্থানের আরেকটি স্বাভাবিক পথ আছে -
“মেড ইন জিঞ্জিরা” কে “ আক্ষরিক অর্থেই “ মেড ইন বাংলাদেশ” করে তোলা।
ক্ষুদ্র ও হালকা শিল্পে ব্যতিক্রমী সাফল্যের মাধ্যমে কয়েক যুগ ধরেই দৃষ্টান্ত হয়ে আছে জিঞ্জিরা। এখানকার ঝুপড়ি বস্তির অজস্র ছোট ছোট কারখানায় খুদে ইঞ্জিনিয়ারদের তৈরি করা হাজারো পণ্যের পাশাপাশি ইঞ্জিন-যন্ত্রাংশ, গাড়ির ক্ষুদ্র পার্টসসহ প্রায় ২০০ ধরনের মেশিনারিজ উৎপাদন করা হচ্ছে সফলতার সাথে অথচ এদের পুঁজি নেই, সরকারী পৃষ্টপোষকতা নেই, বিদ্যুৎ-গ্যাসের লাইন নিতে হয় বৈধ অবৈধ সকল পথেই। পুলিশের দাবড়ানি খেতে হয় অবৈধ বলে।
এখানকার কারিগররা এতটাই দক্ষ যে, তারা কোনো যন্ত্রাংশের নমুনা দিলে হুবহু তা বানিয়ে দিতে পারেন। সেগুলো টেকসই ও মানসম্মত। আর এসব যন্ত্রপাতি তৈরিতে যেসব যন্ত্র বা মেশিন দরকার হয় তা নিজেরাই বানিয়ে নেন।

এটাকে নকল বলবেন আপনারা নাকি বলবেন অনুকরণ? চায়নার জিনিষকে যদি নকল না বলেন তবে আমাদের এই অসহায় -সুযোগসুবিধা বঞ্চিত- পুঁজিহীন ক্ষুদ্র শ্রমিকদের বানানো কিছুকেই আমরা নকল বলছি কোন যুক্তিতে ?

ওদিকে জিঞ্জিরার এপারে ধালাইখাল ব্র্যান্ডের কারিগররা বাইসাইকেল থেকে শুরু করে সব ধরনের গাড়ি, ট্রাক্টর, ক্রেন, রি-রোলিং মিল, এমনকি ট্রেনের বগিসহ যাবতীয় যন্ত্রাংশ অনায়াসে প্রস্তুত করছেন। এ ছাড়াও রাজধানীর মীরহাজিরবাগ, মাতুয়াইল, ডেমরা, চকবাজার, লালবাগ, ইসলামবাগ ও মিরপুরের বিভিন্ন স্থানে জিঞ্জিরা শিল্পের আদলে অসংখ্য ক্ষুদ্র কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। শুধু ঢাকায় নয়, জিঞ্জিরা মডেল অনুসরণ করে নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, চট্টগ্রাম, যশোরের নওয়াপাড়া, টঙ্গী-গাজীপুর, পাবনা, নাটোর ও রাজশাহী অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ইউনিট। শুধু চোখের দেখায় তৈরি করছেন চীনা-জাপানি মডেলের নানা ধরনের যন্ত্রাংশ।
দেশীয় প্রযুক্তির ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ উদ্ভাবন, উৎপাদন ও বাজারজাতে বদলে গেছে দৃশ্যপট। এই ক’দিন আগেও অতি প্রয়োজনীয় যেসব যন্ত্রপাতি ও মেশিনারিজ শতভাগ আমদানি নির্ভর ছিল, আজ দেশের চাহিদা মিটিয়ে সেগুলো রীতিমতো রফতানিও করা হচ্ছে।
অথচ এই শিল্পায়নের বিশাল সম্ভাবনাকে আমরা ফেলে রেখেছি অবহেলায়। নকল বলে গালাগাল দিচ্ছি। আপনাদের কথায় এসব দুনম্বরী শিল্পকে কতোখানি আর্থিক সহায়তা সহ শিল্প বিকাশের সকল অবকাঠামো করে দেয়া হয়েছে যাতে করে তারা নিজস্ব উদ্ভাবনা নিয়ে “নকল” অপবাদটি মুছে ফেলতে পারেন? ঋণখেলাপ করা হবে জেনেও মহারথীদের বেলায় ব্যাংকগুলো শত শত কোটি টাকা ঋণ দিতে মোটেও কার্পন্য করেনা কিন্তু এসব ক্ষুদ্র শিল্পদ্যোক্তাদের লাখ খানেক টাকা ঋণ দিতেও তাদের অনাগ্রহ।

কেন ?

“কেন”র তো অনেক কারনই আছে কিন্তু যা নেই তা হলো এই “কেন” শব্দটি যাতে কোথাও উচ্চারিত না হয় তার প্রতি দৃষ্টি।
উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক অবদানের তুলনায় ধোলাইখাল ও কেরানীগঞ্জের উদ্যোক্তাদের কতোটুকু সরকারি সমর্থন ও সহায়তা দিয়েছি আমরা ?
কেবলমাত্র ১৯৮০’এর দশকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) হালকা প্রকৌশল শিল্পের উন্নয়ন ও সক্ষমতা বাড়াতে পাঁচ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। ঐ পর্যন্তই। তারপরে কোনও সরকারই আর এদিকে নজর দেন নি।
মহাবেকুবের প্রশ্ন - সরকার এসব ক্ষুদ্র শিল্পকে এতিম করে রেখে ঋণ নিয়ে হওয়া বৃহৎ শিল্পের কারবারীদের আলোবাতাস খাওয়াচ্ছেন কোন স্বার্থে যারা ঋণ খেলাপি হবেন দু’দিন পরেই ? অথচ সকল ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধের হার একশত ভাগের কাছাকাছি। ব্যাংকিং সেক্টর আর অর্থনীতিবিদরা এ সম্পর্কে ভালোই জানেন। তবুও এসব ব্যাংকিং সেক্টর কখনই যেমন এ ব্যাপারে এগিয়ে আসেননা তেমনি অর্থনীতিবিদরা কোন দিকনির্দেশনাও দেন না।
ধোলাইখাল ও কেরানীগঞ্জের উদ্যোক্তাদের প্রতি তাদের এই বিমাতাসুলভ আচরণকে হটিয়ে দিয়ে সরকার যদি উদ্যোক্তাদের প্রতি আন্তরিক ভাবেই আন্তরিক হয়ে শিল্পের সকল অবকাঠামো নির্মান সহ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তবে “মেড ইন জিঞ্জিরা” কে সত্যিকার ভাবেই “ মেড ইন বাংলাদেশ” করে তোলা সম্ভব। এতে শিল্পোন্নয়ন আর হাযার হাযার বেকারের কর্মসংস্থানের রাস্তাটি প্রশস্ত হয়।

যদিও ২০১৬ সালে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) হালকা প্রকৌশল শিল্পের উন্নয়নে টুল ইনস্টিটিউট স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। ইনস্টিটিউটে গবেষণা, উদ্ভাবন, নকশা তৈরির পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হবে। আর ইনস্টিটিউটটি পুরোদমে কাজ শুরু করলে নাকি “মেইড ইন জিঞ্জিরা” পণ্যের মান নিয়ে যেসব অপবাদ আছে, তা দূর করা সম্ভব হবে।
বিটাক এর চেষ্টায় না হয় মান বাড়ানো গেলো কিন্তু উৎপাদনের কি হবে ?
তাই শুধু প্রশিক্ষন হলেই চলবেনা, এসব কারখানা চালানোর চলতি মূলধনও তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। নইলে শুধু প্রশিক্ষন নিয়ে গাছ লাগালে লাভ কি যদি গাছে ফলই না ধরে ?
লেখার শুরুতে হার্ড কারেন্সী যোগাড়ের কথা বলা হয়েছিলো। উপরের বেকুবী বুদ্ধিতে কাজ না হলে একেবারে দেশীয় পদ্ধতিতে আর একটি বেকুবীয় কায়দায় হার্ড কারেন্সী যোগাড়ের কথা বলা যেতে পারে -
ঢাকা শহরে খানা-খন্দ, ইট-বালি-রড ইত্যাদি নির্মান সামগ্রী, রাস্তা খোঁড়াখুড়ি, সিটি কর্পোরেশানের ডাষ্টবীন না পেরিয়ে কেউ কি কখোনো ঘরের বাইরে যেতে বা ঘরে ফিরতে পেরেছেন ? কেউ কি আছেন তেলের মতো সুড়ুৎ করে নির্ভেজাল রাস্তায় শিষ দিতে দিতে একচক্কর মারতে পেরেছেন ? যদি থাকেন আওয়াজ দিতে পারেন , মাদাম তুসো’তে একটা মোমের মুর্ত্তি বানিয়ে দেবো ।
এইসব ঝামেলার মধ্যে সব চেয়ে বেশী আর দীর্ঘস্থায়ী ঝামেলা কোনটি ? একবাক্যে সবাই হয়তো রাস্তার প্রতি চল্লিশ গজ অন্তর ঢাই করে রাখা নির্মান সামগ্রীর কথাই বলবেন ।সাথে আছে রাস্তা জুড়ে হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে লোহার রড সোজা করার নামে পাকা রাস্তা চৌচির করার কসরত । রাস্তার অর্ধেক বা তার ও বেশী জুড়ে পাথরকুঁচি, ইটের স্তুপ আর বালি ফেলে যানবাহন থেকে শুরু করে মানুষ চলাচলে বাধা দেয়ার স্বতঃস্ফুর্ত্ত ব্যক্তি অধিকারের দোদন্ড-প্রতাপ দেখানো । নাকমুখে বালি আর ইট ভাঙ্গা ধুলো টেনে নিয়ে ফুসফুসের বারোটা বাজানোর কথা না হয় ছেড়েই দিলাম । ওনারাও তো জনগণ । দেশটা তো ওনাদের ও, তাইনা ?
পত্র-পত্রিকায় হাযার লেখালিখি, পরিবেশবিদদের চিল্লাচিল্লির পরেও নির্মানকারী কারো কোনও চেতনাবোধের জন্ম হয়েছে কিনা বলতে পারলে হাত তুলুন ।
এই জাতীয় ভোগান্তি থেকে সরকার হয়তো জনগণকে বাঁচাতে পারবেন না । কিন্তু একটা জব্বর আয়ের পথ করে নিতে পারেন । সরকারী কোষাগারে জমা পরতে পারে মাল্টি মিলিয়ন টাকা প্রতি মাসেই ।
কিভাবে ?
নির্মাণ কাজের জন্যে জনগনের ঝামেলা পোহানোর পাশাপাশি সরকারী রাস্তাঘাটের যে চৌদ্দটা বেজে থাকে তার যৎকিঞ্চিত ক্ষতিপুরন আদায় করা । জায়গা দখল করে নির্মাণ কাজ করার জন্যে ব্যবহৃত প্রতি বর্গফুট সরকারী জমির (যার মালিক জনগন, এর মধ্যে আপনিও আছেন ) জন্যে বাংলাদেশী মাত্র ৫০০/৳ দৈনিক ট্যাক্স আদায় করা । কেবল মাত্র ব্যবসার নিমিত্তে নির্মানকারী যেমন ইমারতের প্রতি বর্গফুট এর জন্যে এর চেয়েও অনেক বেশী গুন ধার্য করে বিক্রি করে থাকেন , তাও আবার এ্যাডভান্স চাই, সেখানে জনগনের সরকার এই সামান্য কটা টাকা ট্যাক্স আদায় করলে দোষনীয় হওয়ার কথা নয় । সরকার তো ব্যবসা করবেন না, কেবল সরকারী জায়গার অননুমোদিত ব্যবহার, জনস্বাস্থ্যের প্রতি মারাত্মক হুমকি, জনগণের দূর্ভোগ ইত্যাদির কথা বিবেচনা করে এই “ক্ষতিপুরন ট্যাক্স” প্রথাটি চালু করলে নিশ্চয়ই কোনও জনগণ নিষেধ করবেন না । বরং জনগনের অকুন্ঠ করতালির মধ্যে দিয়ে সরকারের সাফল্যের মুকুটে আরো একটি পালক যোগ হবার সুযোগ তৈরী হবে । কতো ধরনের ভ্যাট, ট্যাক্সের বোঝায় প্রলেতারিয়েৎ জনগনের পিঠ তো বাঁকা হয়েই আছে । তাই কোনও অর্থমন্ত্রী মহোদয়ই এযাবৎ ট্যাক্সের আওতা বাড়ানোর কোন সুযোগ পাচ্ছিলেন না । এটা তাঁদের জন্যে ট্যাক্সের আওতা বাড়ানোর লোভনীয় একটা প্রস্তাব হতে পারে ।
এরজন্যে একটা নীতিমালা প্রয়োজন হবে । নীতিমালার একটা খসড়া দেয়া গেল ।
১) প্রতিটি নির্মানকারী তার নিজ দায়িত্বে, নিজের সম্পদ ব্যবহার করেই কেবল নির্মানকাজ চালাতে পারবেন । কোনও অবস্থাতেই সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্বশাষিত প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ব্যবহার করা যাবেনা ।
২) নাগরিকদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা প্রদান বলতে একটা কথা আছে । উন্নয়ন সহযোগীদের (কারন এরা সবাই উন্নয়ন করছেন )এটা মৌলিক অধিকার । সেই সুবাদে একজন নির্মানকারীও নিম্নলিখিত ভাবে এই সুবিধার আওতায় আসবেন –
ক) প্রতি বর্গফুট ব্যবহৃত সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্বশাষিত প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি (বিশেষ করে রাস্তাঘাট, পাশের খোলা মাঠ)ব্যবহারের জন্যে নুন্যতম বাংলাদেশী মাত্র ১০০০/৳ হারে ট্যাক্স প্রদান করলে নির্মান কাজ শেষ হওয়া অবধি ব্যবহারের মৌরসী-পাট্টা পাবেন । যা হাতের ময়লা ।
খ) যে সকল ইমারত বা অন্য কোনও স্থাপনা ইতিমধ্যে সম্পূর্ন হয়েছে বা আধা সম্পূর্ন অবস্থায় আছে তার নির্মানকালের শুরুর দিন থেকে এই হার প্রযোজ্য হলেও একত্রে বকেয়া পরিশোধে ১০% রেয়াৎ দেয়া হবে ।

[বোঝার সুবিধার্থে উদাহরন দেয়া গেল – একজন নির্মানকারী যদি সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্বশাষিত প্রতিষ্ঠানের ১০০ বর্গফুট জায়গা ব্যবহার করেন তবে দৈনিক তিনি ১০০বঃফুঃ X ৫০০ = ৫০,০০০৳ (পঞ্চাশ হাযার টাকা)ট্যাক্স প্রদান করবেন । যদি নির্মানের শুরুটি হয় ছয় মাস আগে তবে তিনি ৬ X ৩০ = ১৮০ দিন X ৫০,০০০৳ = ৯০,০০,০০০ ৳ (নব্বই লক্ষ টাকা) পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবেন । এককালীল পরিশোধে ১০% ছাড় পাওয়া যাবে ।
এই ছয়মাসে রাস্তাঘাট, আশেপাশের ঘরবাড়ী, ওই পথে চলাচলকারী জনগনের ক্ষতির তুলনায় এই ট্যাক্স অতি নগন্য । হিসাব ঠিক না হলে অর্থাৎ নেট বা গ্রস এর হিসাব গরমিল হলে বুয়েট এবং পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের তলব করা যেতে পারে ।]
৩ ) (এই অংশটুকু আপনাদের জন্যে রাখা হলো । আপনার সাজেশান এখানে দিতে পারেন )
৪ ) (এই অংশটুকু আপনাদের জন্যে রাখা হলো । আপনার সাজেশান এখানে দিতে পারেন )

ভাবুন তো একবার, প্রতি বিল্ডিং থেকে যদি গড়ে ঐ পরিমান আদায় করা যায় তবে কেবল মাত্র ঢাকা শহর থেকেই বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা সরকারী কোষাগারে উপচে পরতে পারে । হার্ড কারেন্সী প্রবলেম সলভড।
আরো সুবিধা হবে এই যে - অনেক নির্মানকারীই এতে ভয় পেয়ে বিকল্প রাস্তা খুঁজে নেবেন এবং আমরা একটুসখানি হাপ ছেড়ে বাঁচবো । শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশুদের পেডিয়াট্রিকস্দের চেম্বারে ভিড় বাড়ানো কমবে । ভেঙ্গে ভর্তা ভর্তা হয়ে যাওয়া রাস্তা পূনঃ মেরামতের নামে কারো কারো পকেট ভারী হতে উঠতে সুযোগ পাবে । মাথাপিছু আয় বেড়ে যাবে । আর জনগনের রুজি-রোজগারের আওতা বাড়ানো যে কোনও কল্যানমুখী সরকারের কর্তব্যও বটে ।
এত্তোগুলো সুযোগ ছাড়া উচিৎ হবে কি সরকারের ?

মহাবেকুব অবশ্য মাঝেমাঝেই বেকুবের মতো ভাবে , এইসব বেকুবী কথা লিখে আসলেই লাভ কি ? কেইবা এসব কথা শোনে ? তবুও লিখে যাই, একটা কিছু করছি এমন বেকুবীয় আনন্দে!

সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫১
৪৬টি মন্তব্য ৪৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×