বিশেষ কোনো কাজ নেই হোসেনের আজ। শহর জুড়ে ছুটির আমেজ।রাস্তা গুলি আজ বহুদিন পর রাত বাদে দিনের আলোয় জিরোচ্ছে৷
-কিরে আজ খুব মজায় আছিস তাই না
- না, সুখ সয় না।
- কেন? লোকজন নাই, গাড়ি নাই, সুখ নাই কেন?
- অসুখ টাই আমার সুখ, অসুখ নাই, তাই সুখ নাই।
- হুম। হোসেন ভাবছে, রাস্তার সাথে তার এই মহাজাগতিক কথোপকথন জমছে না। তাহলে গাছ গুলির সাথে একটু জমানোর চেস্টা করা যাক।
- কি, বৃস্টিতে তো ভালই ভিজলা
- এ তো নতুন কিছু না, বৃষ্টি হলে ভিজতেই হবে, আমরা তো আর ছাতা ব্যবহার করি না তোমাদের মত।
-হুম, আচ্ছা তোমাদের সম্পর্ক কেমন একটা গাছের সাথে আরেকটা গাছের?
- লোক দেখানো নয় তোমাদের মত, আমরা যেমন আকৃতিরই হই না কেন আমাদের শেকড় অনেক গভীর, স্নায়ুর বেড়াজালে আটকাই খুব খুব কম, এই ধরো ছোট খাট লতা, গুল্ম যেগুলো আছে তারা মাঝে সাঝে একটু আধটু স্নায়ু রোগে পড়ে যায়, এই।
- তোমরা ঝগড়াঝাটি করো না? মানে একটু আধটু??
- এই সব ঝগড়াঝাটি শব্দ তোমরা মানুষ, তোমাদের সৃষ্টি। ঝগড়াঝাটি আবার কি জিনিস?
যেটা ব্যপার, সেটা হোল বোঝাপড়া, তোমাদের তো দেখি, একজনের কথা আরেকজন না বুঝলেই কি কি যে শুরু কর, আরে এত সহজ নাকি একটা সৃষ্টি কে হুট হাট করে বুঝে ফেলা? তোমরা না বড্ড অস্থির বুজলে।
- হুম।
- কি হুম?
- না এমনি।
- এখানেই তোমরা বড্ড ভুল কর
- যেমন?
- শুন্যতা।
- মানে বুজলাম না
- আমাদের দেখ বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে কতই না দূরে আমরা একটা আরেকটা থেকে, কিন্তু ভিত এ আমরা খুব শক্ত, আমাদের শেকড় মজবুত, কোন ভাসা ভাসা কিছু নেই।
তোমাদের না বাইরে বাইরে দেখাও খুব মজবুত অথচ ভেতরে শেকড় বড়ই দূর্বল।
- হুম।
হঠাৎ একদল তরুন তরুনীর আগমনে কথোপকথনে ছেদ পড়ল হোসেনের।
মাথায় কেবল ঘুরছে, শেকড়!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৪