জুলাই মাস, ২০২৪; আমাদের জাতির ইতিহাসে এক বেদনার, ষড়যন্ত্রের এবং সর্বোপরি জাতি-রাষ্ট্রের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে সূক্ষ্ম কূটচালের নাম। একে কেউ অভ্যুত্থান বলছে, কেউ বলছে পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। কিন্তু আমার চোখে, এইটা ছিল ড. ইউনুসের মেটিকুলাস ষড়যন্ত্র, একটা সুপরিকল্পিত চক্রান্ত, যেইটার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভিতরে রাষ্ট্র গড়ে তোলা হইছে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক প্রবাহকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালানো হইছে।
একটা নির্দিষ্ট ন্যারেটিভ দাঁড় করানোর চেষ্টা হইতেছে। সেখানে চেহারা দিয়ে, গানের ব্যাকগ্রাউন্ড দিয়ে, আবেগ দিয়ে, জনমতকে একটা দিশাহীন রূপ দেওয়ার চেষ্টা। কিন্তু এইসব নাটকীয় ক্যাম্পেইনের আড়ালে যে মূল শক্তি কাজ করতেছে, সেইটা অনেক গভীর এবং আন্তর্জাতিক। ইউনুসপন্থীদের মিডিয়া প্রপাগান্ডার একটা নিখুঁত উদাহরণ আমরা সকলেই দেখেছি । বিশ্বব্যাংক থেকে পদ্মা সেতু বাতিলের মাধ্যমে শুরু, নোবেল শান্তি পুরস্কারকে রাজনৈতিক ঢাল বানিয়ে আন্তর্জাতিক লবিং, সবই ছিলো ধাপে ধাপে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটা পরিকল্পিত ব্যবস্থা।
ইউনুস: এক ‘ভদ্রলোকীয় সাম্রাজ্যবাদী’ চরিত্র।
ড. ইউনুস রাজনৈতিক চরিত্র না, এমন ভাব ধইরা যাইতেছে। কিন্তু ইতিহাস বলে, নোবেল শান্তির নামে যারা দেশে দেশে পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে, তারা আসলে ‘ভদ্রলোকীয় সাম্রাজ্যবাদ’-এর হোতা। ইউনুস তাই শুধুমাত্র একজন ব্যাংকার না, উনি একধরনের 'সফট এজেন্ট' যার লক্ষ্য হইল শেখ হাসিনার মতো শক্তিশালী, নির্ভীক, দেশপ্রেমিক নেতৃত্বকে সরায়ে একটা পুতুল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এবং এই কাজের জন্য ওনার সাথে ছিল আন্তর্জাতিক মিডিয়া, এনজিও নেটওয়ার্ক, লবিস্ট, কিছু নব্য বাম এবং তথাকথিত সুশীল সমাজের মুখোশধারী লোকজন।
জুলাই ষড়যন্ত্র: উদ্দেশ্য কী ছিল?
১. ক্ষমতা দখল:
শেখ হাসিনা রাজনৈতিকভাবে অপ্রতিরোধ্য। সেই কারণে তাঁকে সরাতে দরকার ছিলো অল্টারনেটিভ পাথ; অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র। জুলাই মাসে যেই হঠাৎ অস্থিরতা, রাষ্ট্রের ভেতরে স্নাইপার আন্দোলন, ৭.৬২ বুলেট, সেনা-সংশ্লিষ্ট ফিসফিসানি সবই ছিলো একটি পলিটিক্যাল কুপের অংশ।
২. আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়ে অভ্যন্তরীণ ‘প্রশস্তি’ জোগানো:
ইউনুস নিজে চায় নাই ক্ষমতা।- এমন একটা কথা বাজারে ছড়িয়ে তার আড়ালে চেয়েছিল এমন একটা ‘নিরপেক্ষ’ সরকার গঠিত হোক, যেইখানে আওয়ামী লীগ থাকবে না, এবং নতুন এক ধরণের তথাকথিত গ্লোবাল ফ্রেন্ডলি সরকার আসবে। যেন পশ্চিমা পরাশক্তি খুশি হয়, আর দেশ পরিণত হয় ‘তাঁদের কলোনি’তে।
৩. রাষ্ট্রীয় কাঠামো দুর্বল করা:
এই পরিকল্পনায় প্রধান লক্ষ্য ছিল প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, মিডিয়া ও বেসামরিক প্রতিষ্ঠানে বিভ্রান্তি ছড়ানো। যেন শেখ হাসিনার নেতৃত্ব নিয়ে মানুষের আস্থা দুর্বল হয়।
তাহলে প্রশ্ন, এই মুহূর্তে কে বাঙলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয়?
শেখ হাসিনা। একমাত্র। নিরালম্ব। অনিবার্য।
কারণ উনি রাষ্ট্রের ভিতরে রাষ্ট্র গড়তে দেয় নাই।
উনি কেবল বিএনপি-জামাত না, এই ইউনুস ঘরানার মোচ্ছবকেও ভেঙে চুরমার করছেন।
উনি কেবল নিজের দল না, রাষ্ট্রকে দিছেন এক টেকসই উন্নয়নের রূপরেখা।
উনি শুধু বাঙালি না, একটা আত্মমর্যাদাশীল জাতির অভিভাবক।
আওয়ামী লীগ ছাড়া বিকল্প নাই, কারণ...
বাঙলাদেশের এই মুহূর্তে দরকার শক্তিশালী নেতৃত্ব, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ধারক, ধর্মনিরপেক্ষ চেতনায় অটুট, আর বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলার মতো নেতৃত্ব।
এইখানে বিএনপি ব্যর্থ, তারা জামাতের গলায় দড়ি। এইখানে তৃতীয় শক্তি বলে কিছু নাই। ওইটা গুডনাইট প্যারাসিটামল জাতীয় ঘুমের ট্যাবলেট।
শুধু শেখ হাসিনা আছেন। শুধু আওয়ামী লীগ আছে। আর এই দুইটাই জাতির অস্তিত্বের প্রশ্নে অনিবার্য।
জুলাই একটা ষড়যন্ত্র ছিল, শেখ হাসিনা এক প্রতিরোধের নাম। জুলাই নতুন কিছু না। এইটা সেই পুরনো আমলাদের, বিদেশি প্রভুদের, ভদ্রলোক সাম্রাজ্যবাদীদের এক নতুন মঞ্চস্থ ষড়যন্ত্র। কিন্তু বাঙালির ইতিহাস বলছে,যেখানে ষড়যন্ত্র, সেখানে শেখ হাসিনা একা দাঁড়ায়া আছে। বুক চিতায়া। জাতির পক্ষে। সত্যের পক্ষে।
আর আমরাও বলি, রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ হোক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



