somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশে গত ৩০ ডিসেম্বর কোন ভোট হয়নি। ডেথ ফিল্ডে নিয়ন্ত্রিত গোল পোষ্টে দেওয়া শুধুমাত্র একতরফা গোল দেখানো হয়েছে।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শুধুমাত্র একটি ঘটনা দিয়ে বিষয়টি আরো বর্ননায় যেতে চাই।
গত ৩০ডিসেম্বর আমার এক বন্ধুর বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই। আমার ঐ বন্ধু পেশায় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একজন আইনজীবি। দেশের সবচেয়ে সচেতন একজন ব্যক্তি তিনি এবং তিনি কোন দলের সাথে জড়িত নন । তিনি ভোট দেওয়ার জন্য ৫,০০০ হাজার টাকা পথ ভাড়া নিজ উদ্যেগে খরচ করে তার গ্রামের বাড়িতে গেলেন। প্রথমে সকাল ৮ টায় ঐ আইনজীবির মা ভোট দিতে গেলেন। পথে ছাত্রলীগের ছেলেরা বাধা দিলেন ভোট না দেওয়ার জন্য। বাধা উপেক্ষা করে তিনি ভোট দিতে গেলেন। গিয়ে দেখেন ভোটার স্লিপ নেওয়ার কোন সুযোগ নাই। কোন ভোটারের উপস্থিতি নাই। অজানা অতংক নিয়ে ভয়ে ভয়ে তারপরও কিছুটা সময় অবস্থান করলেন। যারা তার মাকে পথে পথে বাধা দিয়েছিল তারাই দলীয় প্রতীক নিয়ে বসে আছে স্লিপ দেওয়ার জন্য। তাদের কাছে অনুনয় বিনয় করে বললেন ভোটার তালিকায় তার সিরিয়ালটা দেওয়ার জন্য। কিন্তু অনেক অনুরোধ করার পরও তারা তা দিলেন না। অন্য কোন প্রার্থীর স্লিপ বিতরনকারীও নাই যে,তিনি ভোটার সিরিয়াল সংগ্রহ করবেন। পরে স্লিপ ছাড়াই ভোটার শূন্য কেন্দ্রের দিকে যেতে চাইলন,তাকে বাধা দেওয়া হল। পাশ থেকে বলা হল আপনি ভোট দেওয়ার দরকারটা কি ? আরো অনেক অপমানজনক কথা বললেন তার মাকে। অত:পর তিনি ভোট না দিয়ে অপমানে কান্না করতে করতে বাসায় চলে আসলেন।
উক্ত ঘটনার পর ঐ আইনজীবির আতœীয় স্বজনরা ভোট দিতে গেলে পথে পথে বাধা দেওয়া হয়, ভোট না দেওয়ার জন্য। তার উক্ত আতœীয় স্বজনসহ এলাকার কাউকেই ভোট দিতে দেওয়া হল না। অত:পর আমার ঐ বন্ধু নিজে ভয় ভীতিকে উপেক্ষা করে ভোট দিতে গেলেন। সাথে এলাকার অন্য একজন ব্যক্তি । সাথে থাকা ব্যক্তিকেও ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা পদে পদে বাধা দিয়েছেন ভোট না দেওয়ার জন্য। আমার সাহস দেখে তিনি বললেন আমি ভোট দিবই। একসাথে যখন দুইজন রওনা দিলেন ভোট দেওয়ার উদ্দেশ্যে। তখন অনেক শুভাকাংক্ষী-ই বলেছিল ভোট দিতে গেলে তাদের মেরেও ফেলতে পারে। জীবনের ঝুকি নিয়ে আমার ঐ বন্ধু যখন ভোট কেন্দ্রে হাজির হলেন তখন দেখলেন শতাধিক ছাত্রলীগের ছেলেরা অস্ত্র তাক করে বসে আছে। তখন সকাল ১০.৩০ মি। ভোট কেন্দ্রের প্রধান ফটকে তারা তালা লাগিয়ে বসে আছে। ভোট কেন্দ্রে ছাত্রলীগের ছেলেরা অবাধে আসা যাওয়া করছে। পাশে পুলিশ দাড়িয়ে ছাত্রলীগের ছেলেদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। এর আগে ব্যাপক বোমা ফাটিয়ে এলাকায় আতংক সুষ্টি করা হয়। তারও কিছু সময় আগে ছাত্রলীগ সমর্থিত দলের কিছু লোককে কেন্দ্রে ভোটার হিসেবে ডেকে ডেকে আনা হয়। তারপর হাতে রং লাগিয়ে দেওয়া হয়, তাদেরকে বাহিরে গিয়ে বলতে বলা হয় তারা ভোট দিয়েছেন। অনেক অনুরোধ করার পরও আমার ঐ বন্ধুকে এবং সাথে থাকা ঐ লোককে ভোট দিতে দিল না। বলা হল ভোট হয়ে গেছে।
আমার ঐ বন্ধুর সাথে থাকা লোকটি প্রতিবাদ করে বলতে থাকেন আমার ভোট কে দিল? আমি সেটা দেখতে চাই। এই কথা বলার পর তারা উত্তেজিত হয়ে আমার বন্ধুর সাথে লোকটির গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করে। অপমানে আমার ঐ বন্ধুর সাথে থাকা লোকটিসহ ভোটার কেন্দ্রস্থল ত্যাগ করেন। আমার ঐ বন্ধু জানান তিনি তার এলাকার শতাধিক লোকেেক জিঞাসা করেছেন,তারা একজনও বলেননি তারা ভোট দিয়েছেন। ভোটের আগের দিন রাতে স্থানীয় চেয়ারম্যানগন রিটানিং অফিসারদের ডেকে ডেকে নির্দেশ দেন রাতের মধ্যে ৭০ শতাংশ ভোট কাষ্ট করে বাক্য্র বন্দি করার জন্য। আমার ঐ বন্ধু আক্ষেপ করে বলতে থাকেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে সচেতন ব্যক্তি হয়ে তিনি এবং তার পরিবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন নাই। তাহলে ভোট দিতে পারবে বা পেরেছেন কে? সন্ধায় দেখানো হল ঐ কেনেদ্রর ৮০ ভাগ ভোট কাষ্ট হওয়ার খবর। তামাশা শব্দটাও লজ্জা পায়। কারন তামাশারও একটা সীমা আছে।
এই হল পুরো বাংলাদেশের চিত্র । বাংলাদেশে ৩০ তারিখ কোন ভোট হয়নি। বিরোধী পক্ষের যেখানে একটি পোষ্টার সহ্য করতে পারেন নাই,সেখানে তারা কিভাবে ভোট দিতে দিবে,এটা রাজনীতিবিদরা জানতেন। তবে এতটা নিলজ্জ হবেন ক্ষমতার জন্য। এটা কারো কল্পনায়ও ছিল না। যারা ভোট ছাড়া পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারেন। তাদের পক্ষে সবই সম্ভব এটাই প্রমানিত হল। কেন তারা সংবিধানের দোহাই দিয়ে কেয়ার টেকার বাদ দিয়েছেন সেটা কি আর ব্যাখ্যা করার দরকার আছে?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৫
৮টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তোমাকে লিখলাম প্রিয়

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০১


ছবি : নেট

আবার ফিরে আসি তোমাতে
আমার প্রকৃতি তুমি,
যার ভাঁজে আমার বসবাস,
প্রতিটি খাঁজে আমার নিশ্বাস,
আমার কবিতা তুমি,
যাকে বারবার পড়ি,
বারবার লিখি,
বারবার সাজাই নতুন ছন্দে,
অমিল গদ্যে, হাজার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

×