সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত তথাকথিত নির্বাচনে এত ভোট বিএনপিকে কে দিল? আমি নিজে তেজগাঁও থানার বিভিন্ন্ কেন্দ্র পরিদর্শন করি। সেদিন শত শত সরকার দলীয় ক্যাডার প্রত্যেকটা কেন্দ্রে পাহারারত ছিল। বিএনপি পন্থী কোন লোককে তারা কেন্দ্রে অবস্থান করতে দেন নাই। এটা ছিল ঢাকা সকল কেন্দ্রের চিত্র। সরকার দলীয় লোকজনকে সহায়তা করা ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কাজ। গোপন বুথে গিয়ে সরকার দলীয় লোকজন কাউকে সন্দেহ হলেই ফিঙ্গার পাঞ্চের পর নৌকায় ভোট তারা নিজেরাই দিয়ে দেন। এত কঠোর নিয়ন্ত্রনে আমি ভেবেছিলাম বিএনপি পন্থী প্রার্থীগন সব কেন্দ্র মিলে উত্তর সিটিতে সর্বমোট ৫/৬ হাজারের বেশি ভোট পাবেন না। যাদেরকে এলাকায় কেউ ভাল ভাবে চিনে না, কোন দল করেন না বলে পরিচিত তারা সরকার দলীয় ব্যাচ পরিধান করে রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে অনেকে বিএনপি প্রার্থৗকে ভোট দেন। যা রীতিমত বিস্ময়কর। কারন ঢাকা পলিটেকনিক কেন্দ্র এ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার অপরাধে এক জনকে বেধড়ক পিটিয়েছে ছাত্র লীগের ছেলেরা। যারা সরাসরি নির্বাচনে ফিল্ডে ছিলেন,তারা ছাড়া এটি কেউ উপলব্দি করতে পারবেন না। ভীতিকর পরিবেশ কাকে বলে সেদিন সরাসরি না দেখলে কেউ বুঝবেন না। অবাধ যাতায়াত ছিল ভোট কেন্দ্রে শুধুমাত্র একটি দলের । হুন্ডা চলাচল নিষেধ থ্কালেও সরকারী দলের নেতাদের জন্য নিষিদ্ধ ছিল না। নিষিদ্ধ হলেও ফার্মগেট থেকে নাবিস্ক যাতায়াতের সকল লেগুনা ছিল তাদের ভোটারদের যাতায়াতের জন্য। ভোটার কেন্দ্র এ অন্য কারো জন্য ছিল নিষিদ্ধ এলাকা। সুতারং যারা ভোট দিয়েছিলেন তারা সবাই সরকারী দলের সমর্থন পুষ্ট লোকজন। কারন অন্য কারো, বিশেষ করে যারা বিএনপি করেন তাদের জন্য ছিল অঘোষিত ১৪৪ ধারা। কোন কেন্দ্রে বিরোধী দলের কোন এজেন্ট ছিল না। সুতারং এত কঠোরতা আরোপের পরও বিএনপি এত ভোট কিভাবে পেল? যারা ভোট ভোট দিতে গেছেন তারা পাহারারত ক্যাডারদের ছাড় পত্র নিয়েই ভোট দিতে গেছেন। ক্যাডার এই ভেবে তাদেরকে ছাড় পত্র দিয়েছে যে, তারা তো নৌকায়-ই ভোট দিবে। তার মানে নিয়ন্ত্রিত আওয়ামী ভোটার মনে করা ভোটাররা যদি এত ভোট বিএনপি পন্থী প্রার্থীকে দেন ,তাহলে পরিস্থিতি সহজেই অনুমেয়। অর্থ্যাৎ বিনা বাধার ভোট হলে বিএনপি প্রার্থীরা এই ভোট তো পেত-ই। এর সাথে যোগ হত লক্ষ লক্ষ ভোট । সুতারং সরকারের জনপ্রিয়তা কি পরিমান তলানিতে তা সহজেই অনুমেয়। তারপরও ভূয়া ভোট বাদ দিলে আওয়ামী লীগ কোন মতেই জয়ী হত না। সুতারং বিএনপি প্রার্থীদের হতাশ হবার কিছুই নাই। দেশের জনগন তাদের সাথেই আছে। হিসেবে অনুসারে তারা বিজয়ী।
অন্যদিকে কোন বার ১৫৪ জনকে বিনা ভোটে। কোন বার রাতে ভোট করে । আর এবার নতুন ফর্মূলায় জনগনের ভোট ছিনতাই করার মাঝে কোন গৌরব নাই। এ্ই দেশের কোটি জনগন দেখেছে আওয়ামী লীগ কি ধরনের ভোটে জয় লাভ করছে। আমরা জনগন এভাবে দেখেই যাব। আর তথাকথিত উন্নয়নের দোহাই দিয়ে ভোট চুরিকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা দেখে যাব আমরা জনগন ,জয় বাংলা ---------------------------------------
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৮