একজন জিপিএফ ( জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড ) এর আওতাধীন কর্মকর্তা ও একজন সিপিএফ (কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড) এর আওতাধীন কর্মকর্তার মাঝে যে বৈষম্য পরিলক্ষিত হয় তা নিচে সবিস্তারে বিবৃত হলোঃ
১। একজন জিপিএফ ভোগী মূল বেতনের ১০ -৩০ শতাংশ ভবিষ্য তহবিলে জমা করতে পারেন, এখানে ব্যাংক কোন অমুদান প্রদান করে না। কিন্তু কর্তৃপক্ষ চাকুরী শেষে তাকে সমুদয় অর্থ মুনাফাসহ প্রদান করে থাকে। অন্যদিকে একজন সিপিএফভোগী কর্মকর্তা ভবিষ্য তহবিলে তার মূল বেতনের ১০% জমা রাখতে পারেন; এক্ষেত্রে ব্যাংকও ১০% অর্থ অনুদান হিসেবে প্রদান করে। কিন্তু অতিরিক্ত জমার উপরে কোন মুনাফা প্রদান করে না।
২। ২৫ বছর নিয়মিত চাকুরী শেষে একজন জিপিএফভোগী কর্মকর্তা/ কর্মচারী আনুতোষিক বাবদ ৮০ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রাপ্ত হন। অন্যদিকে একজন সিপিএফ ভোগী কর্মকর্তা/ কর্মচারী ২৫ বছর নিয়মিত চাকুরী শেষে ৫০ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ আনুতোষিক বাবদ প্রাপ্ত হবেন যা একজন জিপিএফ ভোগী কর্মকর্তা/কর্মচারীর তুলোনায় অনেক কম। অর্তাৎ একজন সিপিএফ ভোগী কর্মকর্তা/কর্মচারী ৩০ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কম প্রাপ্ত হবেন।
৩। একজন জিপিএফ ভোগী তার প্রাপ্ত মাসিক পেনশন যা এককালীন জমা করলে ৪০ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রাপ্ত হন। অন্যদিকে একজন সিপিএফ ভোগীর ক্ষেত্রে পেনশনের কোন সুবিধাই রাখা হয়নি। ফলে একজন সিপিএফ ভোগী ৪০ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কম প্রাপ্ত হবেন।
৪। একজন জিপিএফ ভোগীর ক্ষেত্রে সুপার এনুয়্যেশন তহবিলে ৩০% সঞ্চিতি রাখা হয়। অন্যদিকে একজন সিপিএফ ভোগী গ্রাচুইটি তহবিলে ১৫% সঞ্চিতি রাখা হয়। এক্ষেত্রে ১০% অনুদান সহ হিসেব করলে মোট ৫% সঞ্চিতি কম রাখা হয়।
৫। সার্বিক বিবেচনায় দেখা যায় যে, একজন সিপিএফ ভোগী একজন জিপিএফ ভোগীর তুলনায় ২৫ বছর চাকুরী শেষে দেড়গুণ কম আর্থিক সুবিধা প্রাপ্ত হন যা প্রত্যক্ষ বৈষম্য।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





