somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রথম সেই রিকশাসঙ্গিনী... :P:P:P

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দিনটা এখনও ঝাপসা ঝাপসা মনে পরে । তখন নিউ টেনে উঠলাম মাত্র । ছোটবেলা থেকেই বয়েজ স্কুলে বড় হওয়া । সেই সুবাদে মারাত্তক ইন্ট্রোভারটনেস সহজ বাংলায় যাকে বলে লজ্জা সেইটা অতিরিক্ত মাত্রায় ছিল । সবার সাথে দাপিয়ে কথা বলতাম আর কোনও সমবয়সী অথবা কাছাকাছি বয়সী কেও আসলেই একদম ঠাণ্ডা । এই জন্যে নারী সহচার্জ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতাম । /:)/:)/:)

এত ছিল অকারণে ধানাই পানাই । গল্প শুরু করার আগে অনাবশ্যক আদিখ্যেতা দেখানও লেকচার । এবার আসল কথায় আসি ...

ঢাকার মুটামুটি পপুলার একটা স্কুলে ক্লাস ১০ এ পড়তাম । স্কুল শুরু হত সকাল ৭ টায় । আমি আবার একটু আগেই স্কুলে যাই । ফার্স্ট বয় ছিলাম বলে একটু আঁতেল আঁতেল ভাব ছিল নিজের ভিতর । তাই বাসা থেকে বের হতাম ৬:৩০ এর মধ্যেই । আমার ছোটভাইও আমার স্কুলেই পড়তো । দুই ভাই একসাথেই স্কুলে যেতাম । স্কুল বাসা থেকে তেমন দূরে ছিল না । ১৫ টাকা রিকশাভাড়া ছিল তখন । থাকতাম সরকারি এক কোয়ার্টারে । ত প্রত্যেকদিন সকালেই আম্মু নইলে আব্বু স্কুলে দিয়ে যেত দুই ভাইকে । কোয়ার্টারের গেট থেকে রিকশা প্রায়ই পাওয়া যায় । সেদিন যেন পাওয়াই যাচ্ছিল না । ৬:৪৫...:((:((:((:((:((

মারাত্তক ভয় পাইতেসি । স্যার না জানি কত্ত বোকা দিবে প্যারেডে না গেলে । পাশে একটা আপুও দাড়িয়ে ছিল রিকশার জন্যে । এই বিষয়ে একটা কথা বলে নেই ... আমার ছোটবেলা থেকেই উচ্চতার একটু সমস্যা ছিল । এখন অনেক কষ্টে ৫’৪” এ দাড়িয়ে আছি । তখন আরও আকাল ছিল । দেখে বোঝাই যাইত না যে ১০ এর পোলা । ( :((:((:(()

ফিরে আসি সেই আপুতে । একটা রিকশা আসল । আম্মু ডাকার আগেই আপু রিকশায় উঠে পরল । কি আর করার... ভাবলাম সেইদিন বুঝি আমার আর যাওয়াই হবে না । কিন্তু কি অবাক কাণ্ড... !!!! আপু বলল, “অ্যান্টি...ওরা দুইজন আমার সাথে যাক ?? আমি ওদেরকে স্কুলে নামায় দিবো নে । ” আমি তো লজ্জায় পরে গেলাম । তার পরে ভাবলাম ছোটভাইটাকে সিটে বসাব আর আমি উপরে বসব । তাড়াতাড়ি গিয়ে রিকশায় উঠলাম । ছোটভাইয়ের দিকে তাকালাম । ওমা !!! একি । ও দেখি আমার থেকেও বেশি লজ্জায় কাচুমুচু করতেসে । এদিকে আমি রিকশায় উঠে বসে পরসি । আম্মু আর কি করবে... বলল, “তোমরা যাও । আমি ওকে নিয়া আসতেসি ।” :-*:-*

আমার যা অবস্থা হইসিল তা মনে পড়লে এখনও লজ্জা পায় । যাই হোক... আমার প্রথম নারী রিকশাসঙ্গিনী... অবশ্যই আমার মা খালার পরে... সেই মেয়েটাই । চলার মাঝখানে কারও কোনও কথা নাই ... উনিই প্রথম কথা বললেন, “কোন ক্লাসে পড় ???”
-জি ক্লাস ১০ এ উঠলাম এবার ।

উনি একদম চুপ । কিছুক্ষণ পড় লক্ষ্য করলাম রিকশায় আমাদের মাঝখানে যে পরিমাণ জায়গা তাতে একটু শুকনা টাইপের কেও ভালমত এঁটে যাবে । ( :P ;))

এরপরে আর তেমন মজার কিছুই নাই । স্কুলের সামনে নামিয়ে দিয়ে তিনি নেমে গেলেন । নামও জানা হয় নাই তার । আমাদের কোয়ার্টার এলাকাতেই থাকে... পরে জানতে পারলাম সে আসলে আমার ইয়ারমেট ছিল ।

ছোটভাইটা এবার বৃত্তি পেল । ওর মা তখন বাসায় আসছিলেন । কথা বার্তা বললেন অনেক । জানতে পারলাম সেই মেয়ে নাকি ডি.ইউ তে ঘ ইউনিটে ২৭ তম হইসে । ব্রিলিয়ান্ট বালিকা...
নামতাও শুনসিলাম । বিশ্বাস করেন পোস্টটা লিখার জন্যে নামটা মনে করার চেষ্টা করসি অনেকবার । কিন্তু মনে আর পরল না ... কি আর করার...
নাম না জানা মেধাবী ললনাকে থ্যাংকস । নাইলে সেইদিন ক্লাস করা লাগত না ।
B-)B-)B-)B-):P:P
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×