somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরিস্থিতিই মানুষদেরকে নিয়ন্ত্রন করে (বিলিভ ইট অর নট)।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এই ব্রন্মান্ড,সৌরজগত ও পৃথিবী বুহৎ এক শক্তির মধ্যে অবস্থান করছে। এই ব্রন্মান্ডে অনেক সৌরজগত রয়েছে। তারমধ্যে পৃথিবীর মতো প্রানের উপযোগি অনেক গ্রহ রয়েছে। সেখানে মানুষের চেয়ে উন্নত ও অনুন্নত জ্ঞানের অধিকারী মানুষ বসবাস করছে।

পৃথিবীতে অনান্য সকল উদ্ভিদ ও প্রানীরা সৃষ্টির সিস্টেম অনুযায়ী সেই বৃহৎ শক্তির মধ্যে জন্মানোর উপযোগী হয়ে জন্মে গেছে। কিন্তু পরবর্তিকালে এ সকল প্রানী,উদ্ভিদ ও অনান্য পদার্থ থেকে প্রসেস করে নিয়ন্ত্রকরা কিছু মানুষ সৃষ্টি করেছেন। যারা অনান্য প্রানীদের মতো অটোমেটিক কপি কপি হতে পারে এবং ভিন্ন ভিন্ন ধাতুতে সৃষ্টি হলেও একক একটা ধাতু-পদার্থ ও শক্তিতে এসে পরিনত হতে পারে ভবিশ্যতে। অনান্য পৃথিবীর সাথে আমাদের পৃথিবীর মানুষের আত্নার আদান প্রদান করে নিয়ন্ত্রকরা। পূর্ব সকল কপির শুত্র ধরে গর্ভ থেকে বের হবার পর মানুষগুলোর মধ্যে বিভিন্ন প্রসেসিং আত্নাগুলোকে বাতাসের মধ্যে দিয়ে ঘটনাচত্রে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ফেলে সেই মানুষগুলো থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। এভাবে বিভিন্ন পরিস্থিতির তথ্য মোতাবেক আমাদেরকে নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নিয়ন্ত্রকরা প্রকৃত্বির বড় ধরনের ধংশমূলক প্রভাব কন্ট্রোল করেন। যে সকল ধংশগুলো আমাদের ধারনার বাইরে।

ব্রন্মান্ডগুলোতে অনেক শক্তির পর্ব রয়েছে। যারা একে অন্যের নিয়ন্ত্রনের শীকার। আমরাও তেমনি কোননা কোন শক্তিদের কন্ট্রোলের উপর নির্ভর। আমাদের নিয়ন্ত্রকরা প্রকৃতির বিভিন্ন ছোটখাটো ধংশ ও ক্ষতির হাত থেকেও আমাদের নিয়ন্ত্রন করার জ্ঞান দেওয়ার বিভিন্ন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে থাকেন,যাহাতে আমাদের জীবনযাত্রার যাকিছু করা উচিত ও প্রকৃত্বির মোকাবেলা আমরা নিজেরাই করতে পারি।

নিয়ন্ত্রকরা তাদের প্রয়জন মতো মানুষগুলোকে কোন এক পর্যায়ে নিয়ে কোন এক কর্ম সধন করে চলেছে। এজন্য মানুষগুলো বর্তমান ও ভবিশ্যত নিয়ে যা ভাবছে ও করছে সেগুলো তারা এক রকম অন্ধের মতো করে চলেছে। পরবর্তিতে অতীতের দিকে তাকালে তারা স্পষ্ট দেখতে বা বুঝতে পারছে যে তাদের ইচ্ছা,যুক্তি ও জ্ঞানের সাথে তাদের কর্মগুলো খুববেশি সঠিক ছিলনা বা একেবারে ডিফরেন্ট।

পৃথিবীতে আদী থেকে যত পরিস্থিতি,সমস্যা ও সমাধান ঘটে আসছে,সবই নিয়ন্ত্রকদের কন্ট্রোলের প্রভাবে হচ্ছে। কোন পরিস্হিতিতে কোথায় কখন কি কারনে কোন ধরনের যন্ত্রের যুদ্ধ ঘটবে,কোন সময়ে কোন ধর্মের কেমন প্রভাব কতটুকু ঘটবে,কোন কোন ধরনের প্রযুক্তির প্রভাবে মানুষের কেমন পরিবর্তন দরকার,কিভাবে যুক্তি ও জ্ঞানগুলো আপেক্ষিক হয়ে একাক জনের ভেতর ভীন্ন ভীন্ন কাজ করবে বা কখন কি ধরনের যুক্তি কতগুলো মানুষের মাঝে এককভাবে কাজ করবে সবই নিয়ন্ত্রকদের নিয়ন্ত্রনের ফলে হয়ে থাকে। এবং বিভিন্ন কেমিক্যল,প্রাকৃত্বিক ও ন্যচরাল খদ্যের প্রভাবে শারিরিক পদার্থ এবং অর্থের তারতম্যের উপর মানুষের গতিবিধি ও জ্ঞানে কোন ধরনের পরিবর্তন ঘটে,কেমন কর্মের দিকে যায় তার উপর গবেশনা ও কন্ট্রোল চলে এক পর্যায়ে কপি কপি করে নিয়ে যাওয়া হয়। বা নিয়ন্ত্রকদের নিদিষ্ট লক্ষে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু কিছু মানুষের কন্ট্রোল নিজেদের হাতে কিছুসময় কিছুটা থাকে আবার কিছু ক্ষেত্রে কিছু মানুেষের কন্ট্রোল পুরাটাই নিয়ন্ত্রকদের হাতে থাকে।

মানুষের আত্না,জ্ঞান ও বিবেক-অনুভূতির মধ্যে কোন ধরনের ঘটনা কখন কতটুকু সত্য ও কতটুকু মিথ্যা হবে, ও কতটুকু সাকসেস ও কতটুকু ড্যামেজ হবে তার উপর কন্ট্রোল চলেই একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে বা নিয়ে যাচ্ছে এবং মানুষদের উপর গবেষনা চালাচ্ছে নিয়ন্ত্রকরা।

বিঃদ্রঃ- উপরোক্ত মতোবাদের উপর ভিত্তিকরে বলা যায় যে,সমাজ,রাষ্ট্র ও পৃথিবীতে সকল ভাল ও সৎ কর্মের জন্য এবং মন্দ ও অসৎ কর্মের জন্য মাত্র এককভাবে কোন মানুষ,গোষ্টি,ধর্ম ও দল কেউ দায়ী নয় বরং সকলেরই সাইলেন্ট কোন প্রভাব জগতের সকল কর্মের জন্য দায়ী। অতএব এ জগতের প্রায় সকল ঘটনাই নিয়ন্ত্রকদের প্রভাবে হয়ে বা ঘটে থাকে-এখানে আমাদের কোন হাত থেকেও নেই। আমরা অন্ধের মতো নিয়ন্ত্রকদের কোন এক উদ্দেশ্য সাধনে আনন্দে উন্মাদ হয়ে ছুটে চলেছি। ফলে এখানে আমরা সকলেই অসহায়,একা ও বোকা। মুহুর্তে মোরা কেউ জানিনা যে কার কেমন ধরনের পরিস্থিতির শীকার হতে হবে সন্মুখে। ক্ষামাখা এখানে আমরা একে অন্যকে দোষী,অপরাধী,শত্রু ভেবে হিংসা ও ঘৃণা করে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে-ভোগ,উপভোগও করছি এবং যুদ্ধ ও ধংশ সাধন করে চলেছি। উপরের (ক্ষামাখা ) শব্দটি বলা অনর্থক-কেননা জগতের সবকিছুই একটা সিসটিমেটিকভাবে চলছে

আমরা যে যেমন ধাতুতে জ্বন্মে গিয়ে-যেমন ধরনের পরিস্থিতিতে পড়ে-জগতটাকে যে যেমনভাবে ভাবতে,বুঝতে,দেখতে ও করতে শিখেছি,ঠিক ঐ একই ধাতু,বাতাস ও পরিস্থিতিতে যে কেউ পড়লে-তাকেও ঠিক তেমনটাই করতে,বলতে,বুঝতে ও ভাবতে হত। ক্ষামাখা যেন আমরা একে অন্যকে চতুর,চিটার,বোকা,বলদ,নির্বোধ,জ্ঞানী,অসভ্য,বেআদপ ইত্যাদী মনে করি বা বলে থাকি। এজন্য সবই একারনে এখানে আপেক্ষিক হয়ে যায়।





সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×