প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবি হতে মন চায়। একবার ' প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবি ' হন তারপর আপনাকে আর পায় কে? আপনি মন্চ নাটক করেন, না বিগ্গাপনচীত্র বানান, জীবন যাপন করবেন রাজার হালে। আপনার আয়ের উৎস নিয়ে কেউ প্রশ্ন করবে না। বিদেশে ছেলে মেয়েদেরকে পাঠিয়ে পড়াশুনা করাতে পারবেন। সর্দি হলে তা ঝারতে মাউন্ট এলিজাবেথ বা বামরুনগ্রাদ হয়ে যাবে পাড়ার মোড়ের ডাক্তারখানা। নিদেনপক্ষে স্কয়ার বা এপোলোতো আছেই। পত্রিকার পাতা উন্মুক্ত হয়ে যাবে যে কোন বিষয়ে কলাম লিখার জন্য। সে হতে পারে ক্রিকেট বা বিরোধিদল কেন হরতাল ডাকলোর মত যে কোন বিষয়। সরকার প্রধানের সফর সঙ্গী হয়ে বিদেশ ভ্রমনতো আছেই। এছাড়া বিদেশের মাটিতে কালে অকালে ভক্তকূল কতৃক সেবা গ্রহন। চাইলে সদাশয় সরকার বিদেশে কোন দুতাবাসে বসে দিন গুজরানের বন্দোবস্তও করে দিতে পারেন। আর বিয়ে করেন যতবার খুশী। মেয়ের বয়সি বা মায়ের বয়সি কেউ রা ও করবে না। হোক সে বিবাহিত বা সন্তানের জনক/জননি, দেশী কিংবা বিদেশী। আপনি যদি ঐ গোত্রের হন তাহলে আপনার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। বাংলাদেশে আর কোন পেশা আছে বলুন এত সুবিধা পাওয়া যায়? আর প্রতিনিয়ত টিভি পর্দায় মুখ-দর্শনতো আছেই। অন্য কোন পেশাজীবিরা কি এত সুবিধা পায়? একজন প্রকৌশলী সারাজীবন কষ্ট করলেও কেউ কোন খোজ নেয় না। শুধু কোন সমস্যা হলেই বলবে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য। একজন ডাক্তার, কি আর বলবো মিডিয়াতো রীতিমত ভিলেন বানিয়ে দিয়েছে দেশের ডাক্তারদেরকে। আইনজীবি, সেতো রাজনৈতিক দলগুলোর ক্যাডার, আইন চর্চা আর তার গবেষনা নিয়ে যাদের ব্যস্ত থাকার কথা তারা ব্যস্ত খুনাখুনি আর লাথালাথিতে। যেই অপরাধের কারণে উন্নত বিশ্বে চাকরি করাই কঠিন হয়ে যেত সেই অপরাধে অভিযুক্তরা বিচারক হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বেচারাদের ঘরে একটু ঝগড়া হলেও সেটা নিয়ে তুলকালাম। অবশ্য যারা প্রগতিশীল বুদ্ধিজিবি গোত্রের তাঁরা স্নেহের ছায়াতলে স্হান পায়। এভাবে যত পেশাজীবি আছে সবাইকেই অনেক চাপের মধ্যে থাকতে হয় জীবন জিবীকা নিয়ে। একমাত্র ব্যাতিক্রম প্রগতিশীল বুদ্ধীজিবিরা।
তাই আসুন বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে 'প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবি বিভাগ' খোলা হোক। আপনি বুয়েট থেকে চার পিটিয়ে বের হলেও আপনাকে আপনার আশে পাশের ব্যাচের কয়েকজন হয়ত চিনবে। কিন্তু এই বিষয়ে যদি প্রথম দিকে থেকে বের হন তাহলে আপনার জীবনে সাফল্য নিশ্চিত। সরকারি দল থেকে লোভনীয় প্রস্তাব দেয়া হবে। চাইলে অবশ্য দল বদল করে ডানপন্থিদের সাথেও চলে যেতে পারেন মন্ত্রী/উপদেষ্টার মত লোভনীয় কোন চাকরীর অফারে।
প্রত্যেকটা ঘটনার উদাহরণ দেয়া যায় নাম দিয়ে। সংগত কারণে দিলাম না। সচেতন পাঠকের বুঝতে খুব বেশী কষ্ট হবার কথা না।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




