somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৃষ্টি দেখে আজ...

১৯ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেশ কয়েকদিন পর আজকে সকাল সাড়ে সাতটায় বাসা থেকে বের হলাম। গত কিছুদিন নয়টার আগে বের হওয়া হয়নি, তাই সকালটুকু একবোরে অন্যরকম লাগছিল। হাল্কা বৃষ্টির ছটা, ছাতার সঙ্গে লুকোচুরি খেলা আর গায়ে পানি পড়লে একটুপর পর হাচি দেয়া।তারপরও সবমিলিয়ে দারুন উপভোগ্য। বর্ষা যে সত্যি আমাদের ভাবুক করে তোলে সেটা আরও পরিষ্কার হলো যখন রিকশা নিয়ে নীলক্ষেত থেকে দোয়েল চত্বরের দিকে রওনা দিলাম।
যাওয়ার পথে সবুজ-সতেজ গাছগুলো দেখে নিজেকেও মনে হচ্ছিল তরতাজা ও ভারহীন। ছুটি থাকায় এখন সকালের দিকে স্বভাবতই ক্যাম্পাস আগের মত জমজমাট হয়না। এখানে সেখানে আড্ডাও বসতে দেখা যায়না। আর অতো ভোরবেলায় তো আরওই দেখতে পাওয়ার কথা নয়।
দোয়েল চত্বর আসতে আসতে আমার আবার কলোনির কথা মনে পড়ে গেলো।বৃষ্টি, আমার রুমের জানালা ও কৃষ্ণচূড়া গাছ!
কি অদ্ভুত! প্রায় সোয়া ছয় বছর হলো আমরা বাসা বদল করেছি। তাও এখনও আমি রাতের বেলায় তেরো বছর ধরে বাস করা কলোনির স্বপ্ন দেখি, মনে মনে ভাবি আবার যদি কোনোভাবে আমার প্রিয় সেই বাড়িতে ফিরে যাওয়া যেত। কিন্তু সঙ্গত কারনেই সেটা সম্ভব নয়।
সেখানকার বৃষ্টির দিনগুলো আরও অনেক বেশি সুন্দর ছিল।আমার ঘরের জানালা থেকে বাইরে তাকালে সুবজ মাঠ দেখতে পাওয়া যেত। ঝুম বৃষ্টি পড়ছে আর আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছি---এই কাজটা ছিল বর্ষাকালে বা যেকোনো বৃষ্টির সময় আমার খুব প্রিয়। অন্তত সেসময় চোখের দৃষ্টি সীমানার আড়ালে ছিল শুধুই মেঘের কান্না, দেখলে স্বভাবতই মন অনেক উদাস হয়ে যেত।
একবার বৈশাখের শুরুতে দুপুর বেলায় হুট করে শিলা বৃষ্টি শুরু হলো। ছোট ছোট বরফখন্ড উপর থেকে পড়ামাত্রই গলে যায়,তারপরও মাঠের কিছু কিছু জায়গায় এক সঙ্গে কয়েকটা বরফ-খন্ড জমে সাদা আবহ তৈরি করছিল। অতি সামান্য সময়ের জন্য , তারপরও পাচতলার বারান্দায় দাড়িয়ে উপর থেকে আমার দেখতে খুবই ভাল লাগছিল।
আর মাঠের শেষ প্রান্তে ছিল একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ।ভরা ফুলের সময় লাল রঙ্গের আলোক ছটায় গাছের একটা পাতাও দেখা যেত না।দুপুর বেলা বহুদিন ওই আগুন রঙ্গা কৃষ্ণচূড়ার দিকে তাকিয়ে বিকালের জন্য অপেক্ষা করতাম।
কারন শেষ বিকালে সূর্যের মায়ময় আলো ফুলগুলোকে কেমন রহস্যময় করে তুলত।
এসব ভাবতে ভাবতে দেখি কার্জন হলের লাল দেয়াল।
সঙ্গে সঙ্গেই ভাবনায় ছেদ।
নাহ্ সামনে এখন কত কঠিন বাস্তব; শুধু বৃষ্টি দেখলে কি আর চলবে !মনে হয় না।



সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:০৪
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×