২০০৮ সালের শুরুর দিক হবে সম্ভবত। টেস্ট পরীক্ষা শেষ। তখন আমাদের SSP ক্লাস চলত।
তো এরকম একদিন সাচিবিক বিদ্যার ক্লাস ছিল ১২টায়। আমি আর মেহেদী Wash Room-এ একটু আড্ডা মেরে ক্লাসে যাই সাড়ে ১২টায়।
যথারীতি আমাদের সেই সালাম স্যার ক্লাস থেকে বাহির করে দেন। আমাদের সবার প্রিয় ইদ্রিস স্যার তখন কলেজ থেকে চলে গেছেন, তাই আমরা ও সালাম স্যার কে কোন Request না করে ক্লাস থেকে বাহির হয়ে আমাদের অনেক দিনের দেখার শখ Gulshan College-এ চলে যাই। ওখানে ছিলেন আমাদের আরেক প্রিয় স্যার তুহিন স্যার। তিনি ছিলেন আমাদের ম্যানেজমেন্টের টিচার।
আমরা Gulshan College- এ গিয়ে সরাসরি প্রিন্সিপালকে বল্লাম আমরা ক্যামব্রিান কলেজ থেকে এসেছি, একটু তুহিন স্যারের সাথে দেখা করতে চাই। প্রিন্সিপাল তো আমাদের কলেজের নাম শুনে সাথে সাথে তুহিন স্যারের দেখা করার ব্যবস্থা করে দিলেন সেই সাথে সম্মান!
তারপর তুহিন স্যার আমাদেরকে Gulshan College এর প্রত্যেকটি রুমে রুমে নিয়ে গেলেন এবং সকল ছাত্রদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। সেদিন তুহিন স্যার আমাদের পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে যা বলছিলেন তা এখনও আমার মনে আছে। তুহিন স্যার বলছিলেন "এই যে দেখ আমার ক্যামব্রিান কলেজের সাবেক ছাত্ররা আমাকে দেখতে এসেছে, দেখ ওরা আমাকে কত ভালোবাসে।" তারপর তিনি অফিসে নিয়ে আমাদেরকে বসালেন এবং আমাদের পড়া লেখা থেকে শুরু করে আমাদের কলেজের সকল টিচারদের কথা জিগ্ঘেস করলেন, বিশেষ করে ম্যানেজমেন্টের মাসুদ স্যার, নিলুফা ম্যাডাম, রুবায়েত স্যার আর মাসুদা ম্যাডামের কথা বল্লেন।
সাইন্সের মৌ ম্যাডামকে যে উনি পছন্দ করতেন তা বলতেও ভুললেন না। তারপর আমাদের কলেজ থেকে কি কারণে বেরিয়ে গেলেন আর কলেজের লায়ন এম কে বাশার স্যারকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা তো বলাই স্বাভাবিক।
তারপর তুহিন স্যার আমাদেরকে নিয়ে গেলেন নাস্তা করাতে। আমি শুধু না করি যে না স্যার আজ খাবনা, কিন্তু মেহেদী বলে সামান্য খাবে। কি আর করা শেষ পর্যন্ত স্যারের ১৮৬ টাকা বিল তুলে বিদায় নিয়ে এলাম তাও আবার জোয়ার সাহারার মত জায়গায়। ২ ঘন্টা পর আবার গোলাম মুস্তফা স্যারের একাউন্টিং ক্লাসে উপস্থিত হই।
জানি না আজ আমাদের সেই অন্যতম প্রি্য় তুহিন স্যার কোথায় আছেন, সম্ভবত অস্ট্রেলিয়া হবে। কারণ তখন আমাদেরকে উনার IELTS পরীক্ষার ডেট বলেছিলেন। আজ তুহিন স্যারকে বলছি যে আপনাকে খুব মিস করি স্যার, যেখানে থাকুন না কেন ভালো থাকবেন আজীবন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৪২