somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি আদর্শ উপাসনালয়

২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকাল বেলা নামাজ পড়েছেন কখনও? ভোর চারটের নামাজ। এই নামাজটা পড়ে যদি দিন শুরু করা যায় তাহলে সারাদিন অসম্ভব সতেজ লাগে। ভালো লাগে।

নামাজে সিজদাহ দেওয়ার সময়কার অনুভূতি ভোরে যেমনটি পাওয়া যায়, আর কোন সময় সেরকম তৃপ্তি পাইনি। সকালের নামাজটাই তাই শ্রেষ্ঠ বলে মনে হয়।

পূর্ণ সতেজ মন নিয়ে যখন দুপুরে মসজিদে যাই জুমার নামাজ পড়ব বলে তখনই মন মেজাজ দুইটাই খারাপ হয়ে যায়। মন মেজাজ খারাপ হওয়ার কারণগুলো বলছি।

দোয়া পড়ে, হাতে তাজবীহ নিয়ে মাথায় টুপি ও সদ্য ধোয়া পাঞ্জাবী পড়ে শুক্রুবারে মসজিদে যাওয়ার একটা ভালো লাগা আছে। একটা পবিত্রতা আছে। সেই পবিত্রতা ভেঙ্গে খান খান করে দেওয়ার অধিকার কারও নেই। কারণ আমি আল্লাহর ইবাদাতে এসেছি, এখানে দুনিয়া আমার কাছে তুচ্ছ।

তাই হুজুর যখন শুরু করে বিষোদগার, যে ইহুদি খ্রীষ্টানরা কখনই জান্নাতে যাবে না, তারা অমুক তারা তমুক তখন মনের ভেতরে বিষ ঢুকে। সারাদিনের পবিত্রতার মধ্যে প্রশ্নবোধক চিহ্নটির উদয় হয়। তখন মসজিদের চারটি দেয়ালে আর ভালো বোধ হয় না। এ ছাড়াও তো ধর্ম হয়, আল্লাহর ইবাদাত হয়! হয় না?

কেন আমি একজন ইহুদি, একজন খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ অথবা হিন্দুকে ঘৃণা করতে শিখে আসব আল্লাহর ঘর থেকে? আল্লাহ কি আমাদের তাই শিক্ষা দেন? অথচ তিনি হলেন ৯৯ ভাগ মমতার মালিক, যার মাত্র ১ ভাগের মালিক আমরা।

নামাজ পড়ার ঠিক আগে আগে শুরু হয় আরেকটি উদ্ভট জিনিস। হিসাব দেওয়া। কে কতটাকা দিয়েছে, মসজিদের কি কি উন্নয়ন হয়েছে ইত্যাদি। যারা টাকা প্রদান করেন, তারা সম্প্রদানে করেন না। তারা নাম কামাতে চান। তাই হুজুরকে বলতে হয় টাকার কথা, অমুকের কত হিসাব, তমুকের কত হিসাব! কি দরকার?

কাজগুলো কি গোপনে সারা যায় না? আবার সেদিন যদি একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব আসে, তাহলে তো আর কথাই নাই!

মসজিদকে এসমস্ত থেকে মুক্ত করতে না পারলে, মানুষের মনে ভালোবাসা জাগাতে না পারলে ধীরে ধীরে এর প্রয়োজনও শেষ হয়ে যাবে বলেই মনে হয়। আমি যখন ব্যাক্তিগতভাবে এমন বিরক্তির সম্মুখীন হই, তখন আর মসজিদে টাকা দিতে ইচ্ছা করে না।

আমাকে পরকালের ভয় দেখায় না, বরং ইহকালের ত্যাগ শিখিয়ে আমাকে ভালোবাসা শিখিয়ে আমার মনে পবিত্রতা জাগলে আমি এমনিতেই টাকা দেব, দুইটা মসজিদ আরও বানানোর কথা ভাবব!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×