somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঝগড়া-ঝাঁটি আর এক ভিতুর গাঁজাখুরি....... (Waste your time at your own risk!)

১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কয়েকজন শ্রোতা পেলে অনেক ভাষণদাতারই হয়ত মাথা ঠিক থাকে না। চায়ের দোকানে অল্পকিছু মাছির সাথে অগণিত গাঁজাখুরি গল্প উড়ছে। কিছু মানুষ চায়ের সাথে হাঁ করে সেই গল্পও গিলে নিচ্ছে, অনেকে বিশ্বাসও করছে হয়ত। আমার ইদানিং কারো কথাই বিশ্বাস হতে চায় না। লোকে বলে,
"বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।"
এখন বিশ্বাসে বস্তু মিলাবে, এই বিশ্বাসে বসে থাকতে অস্বস্থি লাগে। আমি বরং তর্কের পথটাই বেছে নিই। একটা সময় বিতর্কটাই ভালো জানতাম.......

এখন ঝগড়া করি। কারণে-অকারণে ঝগড়া বাধাই। ফেসবুকে ঝগড়া করি, ফ্রেন্ডদের সাথে ঝগড়া করি। সময়, সুযোগ, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আম্মা-আব্বাও বাদ যায় না।

আমি কিন্তু কারো উপরে রাগ করি না। স্পেশালি আম্মা-আব্বার উপর তো একদমই না। অবশ্য রাগ করলেও কিছু আসত-যেত না। আমার মা-বাবা এমনই। আমার কথা-বার্তাকে বিন্দুমাত্র পাত্তা দেন বলে মনে হয় না।

আমার মা-বাবা সম্ভবত এখনও আমার উপর কিছুটা আপসেট, আমি কোনো সরকারি ইন্সটিটিউটে সুযোগ পাইনি বলে। তাঁরা সেটা লুকানও না। আমার মন খারাপ হতে পারে, এটা তাঁদের মাথায়ই আসে না! তাঁরা কেন জানি এখনও আমাকে সেই পিচ্চি ছেলেটা ভাবেন, একটা চকবার কিনে দিলেই সব ভুলে যাব। আমিও হাসি হাসি মুখ করে চকবার খাই, মন ভালো থাকার ভাণ করি।

কেন? কারণ আমি ভয় পাই।

কলেজে পড়ার সময় একটা মেয়েকে খুব ভালো লাগত। সেকেন্ড ইয়ারের ৩৬৫ দিনই গেছে "আজ বলব, কাল বলব" করে। আর কোনোদিন বলাই হলো না। বরং মেয়েটাই ফেয়ারওয়েলের দিনে হাসতে হাসতে বলে গেল,
"তুই একটা এক নম্বরের ভিতু! মনে যা আছে, তার কিচ্ছু বলতে পারিস না।"
মেয়েটা আসলে ঠিক কি বোঝাতে বলেছিল কথাগুলো? জানা হয়নি, জিজ্ঞেস করার সাহস হয়নি।

জ্বী, আমি এতটাই ভিতু।

পুরুষ মানুষের নাকি ভয় পেতে নাই। খুব করে একবার হেসে নেয়া যায়, তবে শুধুমাত্র একজন পুরুষ হয়ে ওঠার ইচ্ছেও ছিল না খুব বেশি। জেন্টলম্যান, ভদ্রলোক বা ভদ্র পুরুষ, কোনোটাই আমার সাথে যায় না ঠিকঠাক। লুকিয়ে রাখা ডায়েরীতে দুই-একটা অখাদ্য কবিতা লিখে যে মহাপুরুষ হয়ে যাওয়া যায় না তাও জানি। আমি বরং মানুষ হতে চেয়েছিলাম।

জেন্ডার বড় ইম্পরট্যান্ট বিষয়। এই দেশে তুমি কুকুর না, বিড়াল না; দুঃখের বিষয়, তুমি মানুষও না। তুমি হয় পুরুষ, নয়ত নারী। এই সমাজে পুরুষ বা নারীর খোলস ভেঙে মানুষ হতে চাওয়া বড় কঠিন। সামনে বসা বান্ধবীকে দেখতে সুন্দর লাগছে বললে তার পাশে বসা দ্বিতীয় বান্ধবী তাতে কেবল আমার পুরুষ দিকটাই খুঁজে পায়। কোনো মেয়ের লেখা কবিতা পড়ে প্রশংসা করলে আমার মাঝে তার প্রেমিকও আমার মাঝে শুধুই পুরুষ দেখে। তাঁর চাপে পড়ে বান্ধবী তার এই "পুরুষ বন্ধুকে" এড়িয়েই চলে। আমি কিছু বলি না। বললেও কেউ কি শুনত? আমি মানুষ হলে হয়ত আমার খারাপ লাগার একটা ব্যাপার থাকত, পুরুষদের অতসব পাত্তা দিলে নাকি চলে না।

আজকাল হাতে হাত পেতে দিলে হাতে হাত মিলিয়ে এক ধরণের আনন্দ প্রকাশ করা হয়। আমিও করি, "হাই ফাইভ", "লো ফাইভ" আরো অনেক কিছু। আমার এক দার্শনিক টাইপের বন্ধু বলে, এটা নাকি আনন্দ প্রকাশ নয়। এটা নাকি বাড়িয়ে দেয়া হাতকে চড় মেরে সরিয়ে দেয়া.........

আমি ঘাঁটাতে যাই না। কি হবে ঘেঁটিয়ে? কিচ্ছু বদলাবে না। আমারও মানুষ হওয়া হবে না। সাহসীও হওয়া হবে না। আমি বরং নিজেকে নিজের সাথে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×