আজকের দৈনিক সিলেট থেকে যে নিউজটি দিলাম এবং যার বক্তব্য তুলে দিলাম উনাদের পরিচয় সম্পর্কে শুধু এ্কথাটি বলব। এই দলের প্রতিটা লোকই জামায়াত শিবিরকে মনে প্রাণে ঘৃণা করে। এবং এই দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ আন্জুমানে তালামিযে ইসলামিয়ার সাথে ছাত্র শিবিরের অনেকবার সংঘর্ষ হয়েছে। এই দলের লোকেরা যাকে পীর হিসাবে মানেন সেই আল্লামা ফুলতলী ছাহেবের মাদ্রাসায় শিবির পরিচয় পাওয়া মাত্র মারতে মারতে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হতো। এবং এখনও জামাতে ইসলামী বা ছাত্র শিবিরের কোন স্থান উনাদের কাছে নাই। এবং গত নির্বাচনী জামায়াতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে উনার আওয়ামীলীগকে সাপোর্ট দিয়েছেন। সিলেটে উনাদের খুব ভালোই প্রভাব আছে এবং উনাদের অনুসারীও অনেক বেশী সারা সিলেট বিভাগে। এবং আমার দৃষ্টিতে এই দলের যে পীর বা উনার অনুসারী আছেন তারা ইসলামের সঠিক পথে আছেন। যাই হোক আমি এখানে উনাদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাচ্ছিনা শুধু এই কথাই বলব উনাদের মত কট্ররপন্থি জামায়াত বিরোধীদেরও পরোক্ষ সাপোর্ট পেতে যাচ্ছে জামায়াত শাহবাগ ইস্যুতে শুধুমাত্র কয়েকটা শুয়োরের কারণে:
বাংলাদেশ আন্জুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেছেন, আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর সর্বোত্তম সৃষ্টি। তিনি সর্বোত্তম আদর্শের অধিকারী। সমকালীন কাফির-মুশরিকরা তাঁর বিরোধীতা করে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করলেও তাঁর চরিত্রে কলংক লেপন করার সাহস কেউ করে নি। অথচ ইসলামবিদ্বেষী ইহুদী-খৃস্টানদের প্ররোচনায় বর্তমানে মুসলিম নামধারী কিছু কুলাঙ্গার রাসূলে পাক (সা.)-এর সাথে চরম বেয়াদবির দুঃসাহস দেখাচ্ছে। বিশেষ করে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের কোন কোন মাধমে ও বিভিন্ন ব্লগে ইসলাম ও মহানবী (সা.)-কে নিয়ে তারা অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে। এদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিকৃত মানসিকতার অধিকারী ব্লগার রাজিবের অপকর্মের প্রতি ঘৃণা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ তার অনুগামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তিনি। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূলের সাথে বেয়াদবি করে কেউ কোন দিন পার পায় নি। এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা রাসূলের দুশমনদের ক্ষমা করবে না। তিনি বলেন, আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি আমাদের দেশের কিছু নাস্তিক, মুরতাদ ব্লগার ইসলাম ও মহানবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে কদর্য, কুরুচিপূর্ণ ও অযৌক্তিক অপপ্রচারের ক্ষেত্রে সালমান রুশদি, তসলিমা নাসরীন ও স্যামব্যাসিলকেও হার মানিয়েছে। এরা মুসলমানতো নয়ই বরং মানুষ নামেরও অযোগ্য। সরকারকে শয়তানের দোসরদের এ অপকর্ম চিরতরে বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন প্রণয়ণের মাধ্যমে মহানবী (সা.)-কে অবমাননার ঘৃণ্য অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। বিটিআরসি’কে এ সকল ব্লগ ও সাইট ব্লক করার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশ দিতে হবে। কোন মুসলমানের সন্তান শয়তানের দোসরদের অযৌক্তিক ও কুরুচিপূর্ণ বিভ্রান্তির বেড়াজালে পতিত না হয় সে ব্যাপারে সকল অভিভাবককেও সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। মুসলিম তরুণ সমাজকে নাস্তিক মুরতাদদের ইসলাম বিরোধী অপপ্রচার রুখতে কার্যকর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। তিনি মুরতাদ ব্লগারদের হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেনÑ“তোমরা নিজেদের বিশ্বাসগত পংকিলতা নিজেদের কদর্য অন্তরেই পুষে রাখ। ৯০% মুসলমানদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের বোধ-বিশ্বাস ও আকীদার বিরুদ্ধে কোন অপপ্রচার চালানোর অধিকার কারো নেই। ইসলাম ও মহানবী (সা.)-এর অবমাননা মুসলমানগণ বরদাশত করবে না।
তিনি বলেন, দেশের কোন নাগরিক আইনের উর্ধ্বে নয়। হত্যা, লুন্ঠন, রাহাজানি ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে তবে তার সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত। তবে এ ইস্যুতে ইসলামবিরোধীতা ও ইসলামী রাজনীতি বন্ধের ষঢ়যন্ত্র এদেশের মানুষ সহ্য করবে না। তিনি শাহবাগ আন্দোলন সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, দেশপ্রেমিক তরুণ প্রজন্মের দাবীর যৌক্তিকতা সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত। পাশাপাশি তরুণ সমাজকে লেখা-পড়াসহ নিজ নিজ কর্মে ফিরিয়ে নেয়া প্রয়োজন। কেননা সেখানে ধীরে ধীরে বেহায়পনা ছড়িয়ে পড়ছে। তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের সাথে কিছু কুচক্রী নাস্তিক মুরতাদও সংযুক্ত হয়ে গেছে। তারা ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করছে। অম্লীলতা ছড়িয়ে আমাদের তরুণ সমাজ বিপথগামী করছে। এদের বিষয়ে সকলকে সতর্ক হতে হবে। তিনি ব্লগের এ সব লেখালেখির পেছনে কোন ষঢ়যন্ত্র কাজ করছে কি না তাও খুঁজে দেখার আহবান জানান।
তিনি মঙ্গলবার সংগঠনের কার্যালয়ে আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় পরিষদের জরুরী দায়িত্বশীল সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা এ.কে.এম মনোওর আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উপস্থিত ছিলেন আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ছরওয়ারে জাহান, অর্থ সম্পাদক মাওলানা আবূ ছালেহ কুতবুল আলম, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান, অফিস সম্পাদক আলমগীর হোসেন, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নজীর আহমদ হেলাল, আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল মুছাব্বির, মাওলানা ছালেহ আহমদ বেতকোনী, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আহাদ, অধ্যক্ষ মাওলানা নুমান আহমদ, হাফিয মন্্জুর আহমদ, সিলেট জেলা আল ইসলাহর সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর নোমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা শুয়াইবুর রহমান, সিলেট মহানগর সভাপতি আলহাজ শাহাজাহান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা ছালেহ আহমদ, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
কর্মসূচী
সভায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অবমাননার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর উদ্যোগে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ জুমআ সকল জেলা, মহানগরে এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকল উপজেলা সদরে মিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।