এথিস্ট ব্লগার পারভেজ আলম স্ট্যাটাস দিয়ে জানতে চেয়েছেন, হেফাজতে ইসলামের আলেমরা কেন শাহবাগ আন্দোলনের সময়ই নাস্তিক-বিরোধী আন্দোলন আরম্ভ করলেন? অনলাইনে আজ থেকে আরো প্রায় ৫-৬ বছর আগে থেকেই এসব লেখা আসছে, এতদিন তারা আন্দোলন করেননাই কেন??? এর কারণ হচ্ছে তারা এতদিন জানতেনই না অনলাইনে এসব ধর্মবিদ্বেষী লেখালেখির কথা, কারণ তাদের বেশিরভাগ ব্লগের সাথে পরিচিত ছিলেন না । শাহবাগ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর আমার দেশ, নয়া দিগন্ত ইত্যাদি মিডিয়া ব্লগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে শুরু করে । কেঁচো খুড়তে সাপ বের হয় । ফলশ্রুতিতে ইনকিলাব, আমার দেশ, নয়া দিগন্তে থাবা বাবা, আসিফ মহিউদ্দীনের আপত্তিকর কুরুচিপূর্ণ লেখাগুলো এসে যায় । আপনি ইসলাম ও মহানবী(সাঃ) এর সম্মানের প্রসঙ্গে হুজুরদের কোনভাবেই কম্প্রমাইজ করাতে পারবেন না । অন্যদিকে কালের কণ্ঠে আসিফ মহিউদ্দীনকে “জনপ্রিয়” ব্লগার উল্লেখ করে শাহবাগ আন্দোলনের সংগঠক হিসেবে উল্লেখ করে আন্দোলনের কফিনে প্রকারান্তরে প্রথম পেরেক ঠুকে দেওয়া হয় । অন্যদিকে থাবা বাবাকে আস্তিক প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয় প্রথম আলোতে । স্বাভাবিক ভাবেই আলেম সমাজ আমার দেশ ও নয়া দিগন্ত পত্রিকাগুলোর ওপর বেশি ভরসা করা শুরু করে । এর মাঝে শাহবাগে নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে রাজিবের বিশ্বাস গোপন করে “মেক বিলিভ” জানাজা করে হুজুরদের ক্ষোভে কেবল ঘিই ঢালা হয়েছে । আর তাদেরকে জামাতের এজেন্ট বলে আরেক অমার্জনীয় ভুল করে বসে গনজাগরণ মঞ্চ । এই কারণে আজকে সাধারণ ব্লগাররা পরিচয় সংকটে ভোগা আরম্ভ করেছে । এমন মানুষের সংখ্যা কম নয় যারা এখন ব্লগার মানেই নাস্তিক মনে করেন । একপক্ষ টয়লেট টিস্যুর মত ব্লগারদের ব্যবহার করেছে, আরেকপক্ষ ব্লগারদের “নাস্তিক ইমেজ” তৈরি করে ফেলেছে । অথচ এই আসিফ মহিউদ্দীনদের ব্লগে দৌড়ের ওপর রাখত সিংহ ভাগ আস্তিক ব্লগারেরাই । দুর্বল মডারেশন, ব্লগ গুলোর হিট সিকিং টেন্ডেসির কারণে কয়েকদিন পরে “ব্লগার” শব্দটাই একটা গালি হয়ে যাওয়া বিচিত্র না ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৮