বর্তমান সরকারের দিল্লিতুষ্টিতেই দুই বছর পার
আওয়ামী লীগ সরকার পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে গত দুই বছরে। দিল্লিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে দেশের পররাষ্ট্রনীতি। এ সময়ে পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্যই ছিল যে কোনো কিছুর বিনিময়ে দিল্লিকে তুষ্ট রাখা। আর এটা করতে গিয়ে ভারতকে সবকিছু উজাড় করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। প্রতিদানে কিছুই পায়নি বাংলাদেশ। বরং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় গত দুই বছরে সীমান্তে অনেক বেশি বাংলাদেশীর লাশ উপহার দিয়েছে ভারত। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ সময়ে বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে ১৭০ নিরীহ বাংলাদেশী নারী-পুরুষ ও শিশু। আর গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ‘সীমান্তে আর কোন নিরীহ বাংলাদেশী হত্যা করা হবে না’ এই আশ্বাসের পরও এ পর্যন্ত প্রাণ দিয়েছে ৭৭ জন। এদিকে দিল্লিকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতির কারণে অন্য প্রতিবেশী দেশসহ বাকি বিশ্ব থেকে দিন দিনই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। প্রতিবেশীদের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। মুসলিম বিশ্ব থেকে অনেক দূরে সরে গেছে বাংলাদেশ। এর ফলে গত ২ বছরে সৌদি আরবসহ ২৫টি দেশে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়েছে। চীনের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র আস্থা রাখতে পারছে না বাংলাদেশের ওপর। পশ্চিমা দেশগুলো মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বর্তমান সরকারের ওপর অসন্তুষ্ট। যদিও প্রকাশ্যে তেমন কোনো সমালোচনা করছে না। বর্তমান সরকারের প্রতি পশ্চিমাদের এক প্রকার সমর্থন যে এখনও রয়েছে এটা তারই প্রমাণ। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এতসব ব্যর্থতার পরেও বিদেশ সফরে পিছিয়ে নেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিদেশ সফরের তিনি রীতিমত রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত দুই বছরে ২১ বার বিদেশ সফর করেছেন। এসব সফরে বিদেশের মাটিতে তিনি কাটিয়েছেন ১০১ দিন। অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেকর্ডসংখ্যক ৬৮ বার বিদেশ সফর করেছেন। এই সফরে তিনি ২৬৬ দিন কাটিয়েছেন বিদেশের মাটিতে।
বিস্তারিত এখানে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





