স্বপ্ন ছিনতাই!
রফিক অটোভ্যান থেকে উদ্ভাবক রফিককে
বিতাড়নের চেষ্টা গ্রামীণ ফান্ডের
আশরাফ-উল-আলম ও হায়দার আলী
দরিদ্র ঘরের, লেখাপড়া না-জানা ছেলে রফিকুল ইসলাম ছোটকাল থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। যন্ত্রপাতি নিয়ে খুটখাট করা ছিল তাঁর শখ। আর পেটের তাগিদে চালাতেন রিকশাভ্যান। এই করতে করতে একদিন কিশোর বয়সেই তিনি শ্যালো পাম্প মেশিন দিয়ে রিকশাভ্যান থেকে বানিয়ে ফেলেন অটোভ্যান, যা দেখে সবাই অবাক। একসময় রফিক এই অটোভ্যান বাণিজ্যিকভাবে বানিয়ে নিজের দিনবদলের পালা শুরু করেন। বগুড়ার শেরপুরে তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে ধীরে ধীরে এই অটোভ্যান ভটভটি, নসিমন, করিমনÑবিভিন্ন নামে ছড়িয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গের পথে পথে। পরে রফিক তাঁর উদ্ভাবিত এই অটোভ্যানকে ফোরস্ট্রোক ইঞ্জিন দিয়ে, আরো কিছু কারিগরি করে সরকার থেকে ‘পরিবেশবান্ধব’ ছাড়পত্র নিয়ে খেজুরতলায় নিজের বাড়িতে গড়ে তোলেন একটি কারখানাÑ‘মেসার্স রফিক অটোভ্যান ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ’।
মেধাবী রফিকের এই সাফল্যগাথা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। পত্রপত্রিকায় লেখা হয় তাঁকে নিয়ে। স্বপ্নরা ভিড় করে রফিকের মনে। একদিন এই স্বপ্নে রং লাগাতে চলে আসে
গ্রামীণ ব্যাংকের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘গ্রামীণ ফান্ড’। রফিককে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে রাজি করায় যৌথভাবে এগোনোর। রফিক-গ্রামীণ ফান্ড চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা হয় ‘রফিক অটোভ্যান ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’। আর এর পর থেকেই শুরু হয় রফিকের উন্নতির বদলে দুর্গতি। রফিকের সব স্বপ্ন ছিনতাই হয়ে যায় গ্রামীণ ফান্ডের কৌশলী তৎপরতার ফাঁদে। স্বপ্নরঙিন রফিক এখন অসহায়, জর্জরিত, দিশেহারা। ভেবে পান না তিনি, কেমন করে, কোথা থেকে, কী হতে কী হয়ে গেল তাঁর সহজ-সরল জীবনে!
বিস্তারিত এখানে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





