বাংলাদেশ একটি গনতান্ত্রিক রাস্ট্র পৃথিবীর বুকে এটাই আমাদের পরিচয়।কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের দেশকে এখন গনতান্ত্রিক দেশ ভাবতে কস্ট হয়।স্বৈরতান্ত্রিক দেশের যে সব বৈশিষ্ট থাকার কথা এখন আমাদের দেশে সেরকম অবস্থা বিরাজ করছে।সাধারন মানুষের যে সব গনতান্ত্রিক অধিকার পাওয়ার কথা সবই এখন অনুপস্থিত।এখন চলছে নির্বাচনকালীন সরকার।কাগজে কলমেই শুধু নির্বাচনকালীন আসলে যা মহাজোটেরই সংস্কারিত রুপ।এদের যতটা না নির্বাচন নিয়া চিন্তা তার চেয়ে অনেক বেশী চিন্তা বিরোধীদলকে ঘায়েল করা।রাস্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে কিভাবে বিরোধীদলকে দমন করাতে বদ্ধপরিকর।বর্তমানে বিরোধীদলের অধিকাংশ শীর্ষ নেতা কারাগারে।তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গাড়িপোড়ানো, বোমা হামলা ইত্যাদিতে পরিকল্পনা।সরকার এসব বোমা হামলা গাড়িপোড়ানো বন্ধ করতেই নাকি এসব শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে।গাড়ি পোড়ানোর পরিমান তাতে বাড়ছে বৈকি কমছে।তখন আমার মনে প্রশ্ন জাগে তাহলে কি এসব নেতারা কারাগারে বসে এসব পরিকল্পনা করছে?এভাবে যদি ঠুনকো অভিযোগে একটা দলের শীর্ষনেতার আটক করা হয় অদূর ভবিষ্যতে হয়ত একটা বাস পোড়ানোর অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার হবেন না এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না।সামনে এটা চর্চা করার জন্য বর্তমান সরকারই বিরোধীদলকে সুযোগ করে দিল।সবচেয়ে অবাক লাগে যেদিন অবরোধ শেষ হল সেদিন রাতে একটা বাস পোড়ানো হল।কে বা কারা পোড়াল তার সনাক্ত না করেই বিরোধীদলের বাকি শীর্ষ নেতাদের নামে মামলা করা হল।ধারনা করা যায় দু এক দিনের মধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।বিরোধী দলের নেত্রীকে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।তার সাথে কোন রাজনৈতিক নেতা দেখা করতে আসলে হয় তাকে আটক করা হচ্ছে অথবা ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে।এসব উদাহরন আমরা স্বৈর শাসকদের ক্ষেত্রে দেখতে পেলেও আমাদের দেশে তাই ঘটছে।শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে সাধারন নেতাকর্মীরা এর বাইরে না।কর্মীদের ধরতে বাড়ি বাড়ি যেয়ে অভিযান করা হচ্ছে।তাদের না পেলে ঘরের মা বোন বউদের আটক করা হচ্ছে,ঘরের আসবাপত্র লুট করা হচ্ছে।যদি অন্য দলের কর্মীরা এরকম লুট করা হত তাও একটা যুক্তি ছিল কিন্তু পুলিশ কিভাবে এরকম লুটতারাজ চালায় আমার মাথায় ঢুকে না।একেই বলে বোধহয় পুলিশি রাস্ট্র।দমন নিপীড়ন বেড়েছে বিরোধীদলের নেতার 29 ডিসেম্বরের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি ঘোষনার পর।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হরতাল অবরোধ ছেড়ে জনগন নিয়ে আন্দলোনের জন্য আহ্ববান জানান।বিরোধীদলের নেত্রীও তার আওভানে সাড়া দিয়ে হরতাল অবরোধের মত ধ্বংসাত্বক আন্দোলন বাদ দিয়ে জনসম্পৃক্ত নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের ঘোষণা দেন।সাধারন মানুষ কিছুদিনের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও সরকারের আচরনে জনগনের মাঝে আতঙ্ক বাড়ছে।
জনগনের এ আতঙ্ক আরো বাড়িয় দিয়েছে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো।এতদিন বিরোধীদলে অবরোধের পর আজ থেকে শুরু হল সরকারী অবরোধ।আর অযুহাতগুলো আরও হাস্যকর।নিরাপত্তার জন্য নাকি তারা গাড়ি চালাবেন না।যেখানে বিরোধীদলের হরতালে পুলিশি পাহারায় গাড়ি চলে সেখানে ঢাকায় একটা সমাবেশ উপলক্ষে সারা দেশে যোগাযোগ বন্ধ খুবই কৌতুকর।সবচেয়ে মজাদার লঞ্চগুলোও নাকি নিরাপত্তার কারনে চলছে না।কেন নদীর মাঝে কেউ কি ককটেল মারবে নাকি!সবশেষ সরকারের ইশারায় পুলিশ এই সমাবেশের অনুমতি দেয় নি।আবারো খোড়া অযুহাত জনগনের নিরাপত্তা।কিন্তু এর ফলাফল হিসেবে আগামী 29 তারিখ যে অবসম্ভাবি রক্তক্ষয় হবে তারা কি জনগনের বাইরে।সরকারের স্বৈরতন্ত্র সবজায়গায়
।স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয় একবার বলে লাইসেন্সধারি অস্ত্র জমা দিতে হবে পরে আবার তা প্রত্যাহার করতে উদ্যত হয়েছ।সবশেষ নির্বাচন কমিশন নিয়ে লেখাটা শেষ করছি।যখন সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী কমিশনকে হলফনামা প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন তার পর থেকেই কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে সব সরকারী প্রাথীদের হলফনামা গায়েব।এরকম অবস্থা থেকে দেশে সত্যিকারের গনতন্ত্র আসবে এই অপেক্ষায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






