somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বৈরতান্ত্রিক গনতন্ত্র আর কত দিন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ একটি গনতান্ত্রিক রাস্ট্র পৃথিবীর বুকে এটাই আমাদের পরিচয়।কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের দেশকে এখন গনতান্ত্রিক দেশ ভাবতে কস্ট হয়।স্বৈরতান্ত্রিক দেশের যে সব বৈশিষ্ট থাকার কথা এখন আমাদের দেশে সেরকম অবস্থা বিরাজ করছে।সাধারন মানুষের যে সব গনতান্ত্রিক অধিকার পাওয়ার কথা সবই এখন অনুপস্থিত।এখন চলছে নির্বাচনকালীন সরকার।কাগজে কলমেই শুধু নির্বাচনকালীন আসলে যা মহাজোটেরই সংস্কারিত রুপ।এদের যতটা না নির্বাচন নিয়া চিন্তা তার চেয়ে অনেক বেশী চিন্তা বিরোধীদলকে ঘায়েল করা।রাস্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে কিভাবে বিরোধীদলকে দমন করাতে বদ্ধপরিকর।বর্তমানে বিরোধীদলের অধিকাংশ শীর্ষ নেতা কারাগারে।তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গাড়িপোড়ানো, বোমা হামলা ইত্যাদিতে পরিকল্পনা।সরকার এসব বোমা হামলা গাড়িপোড়ানো বন্ধ করতেই নাকি এসব শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে।গাড়ি পোড়ানোর পরিমান তাতে বাড়ছে বৈকি কমছে।তখন আমার মনে প্রশ্ন জাগে তাহলে কি এসব নেতারা কারাগারে বসে এসব পরিকল্পনা করছে?এভাবে যদি ঠুনকো অভিযোগে একটা দলের শীর্ষনেতার আটক করা হয় অদূর ভবিষ্যতে হয়ত একটা বাস পোড়ানোর অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার হবেন না এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না।সামনে এটা চর্চা করার জন্য বর্তমান সরকারই বিরোধীদলকে সুযোগ করে দিল।সবচেয়ে অবাক লাগে যেদিন অবরোধ শেষ হল সেদিন রাতে একটা বাস পোড়ানো হল।কে বা কারা পোড়াল তার সনাক্ত না করেই বিরোধীদলের বাকি শীর্ষ নেতাদের নামে মামলা করা হল।ধারনা করা যায় দু এক দিনের মধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।বিরোধী দলের নেত্রীকে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।তার সাথে কোন রাজনৈতিক নেতা দেখা করতে আসলে হয় তাকে আটক করা হচ্ছে অথবা ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে।এসব উদাহরন আমরা স্বৈর শাসকদের ক্ষেত্রে দেখতে পেলেও আমাদের দেশে তাই ঘটছে।শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে সাধারন নেতাকর্মীরা এর বাইরে না।কর্মীদের ধরতে বাড়ি বাড়ি যেয়ে অভিযান করা হচ্ছে।তাদের না পেলে ঘরের মা বোন বউদের আটক করা হচ্ছে,ঘরের আসবাপত্র লুট করা হচ্ছে।যদি অন্য দলের কর্মীরা এরকম লুট করা হত তাও একটা যুক্তি ছিল কিন্তু পুলিশ কিভাবে এরকম লুটতারাজ চালায় আমার মাথায় ঢুকে না।একেই বলে বোধহয় পুলিশি রাস্ট্র।দমন নিপীড়ন বেড়েছে বিরোধীদলের নেতার 29 ডিসেম্বরের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি ঘোষনার পর।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হরতাল অবরোধ ছেড়ে জনগন নিয়ে আন্দলোনের জন্য আহ্ববান জানান।বিরোধীদলের নেত্রীও তার আওভানে সাড়া দিয়ে হরতাল অবরোধের মত ধ্বংসাত্বক আন্দোলন বাদ দিয়ে জনসম্পৃক্ত নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের ঘোষণা দেন।সাধারন মানুষ কিছুদিনের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও সরকারের আচরনে জনগনের মাঝে আতঙ্ক বাড়ছে।
জনগনের এ আতঙ্ক আরো বাড়িয় দিয়েছে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো।এতদিন বিরোধীদলে অবরোধের পর আজ থেকে শুরু হল সরকারী অবরোধ।আর অযুহাতগুলো আরও হাস্যকর।নিরাপত্তার জন্য নাকি তারা গাড়ি চালাবেন না।যেখানে বিরোধীদলের হরতালে পুলিশি পাহারায় গাড়ি চলে সেখানে ঢাকায় একটা সমাবেশ উপলক্ষে সারা দেশে যোগাযোগ বন্ধ খুবই কৌতুকর।সবচেয়ে মজাদার লঞ্চগুলোও নাকি নিরাপত্তার কারনে চলছে না।কেন নদীর মাঝে কেউ কি ককটেল মারবে নাকি!সবশেষ সরকারের ইশারায় পুলিশ এই সমাবেশের অনুমতি দেয় নি।আবারো খোড়া অযুহাত জনগনের নিরাপত্তা।কিন্তু এর ফলাফল হিসেবে আগামী 29 তারিখ যে অবসম্ভাবি রক্তক্ষয় হবে তারা কি জনগনের বাইরে।সরকারের স্বৈরতন্ত্র সবজায়গায়
।স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয় একবার বলে লাইসেন্সধারি অস্ত্র জমা দিতে হবে পরে আবার তা প্রত্যাহার করতে উদ্যত হয়েছ।সবশেষ নির্বাচন কমিশন নিয়ে লেখাটা শেষ করছি।যখন সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী কমিশনকে হলফনামা প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন তার পর থেকেই কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে সব সরকারী প্রাথীদের হলফনামা গায়েব।এরকম অবস্থা থেকে দেশে সত্যিকারের গনতন্ত্র আসবে এই অপেক্ষায়।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×