আমাদের সমস্যা হলো আমরা সবকিছু নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী চাই। শুধু চাই যে তা ও কিন্তু না, একদম নিজের ইচ্ছা মতো হয়নি কেনো তা নিয়ে অন্তর্দহনে পুড়ি।
আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, সে কেনো বিপক্ষে?
শুরু হয়ে যায় তাকে পক্ষে আনার জন্য তোড়জোড়।
একই প্রক্রিয়া রাজাকারদের বেলা ও, কিন্তু কেনো?
আমি আস্তিক, সে কেনো নাস্তিক?
শুরু হয়ে যায় তাকে পক্ষে আনার জন্য তোড়জোড়।
একই প্রক্রিয়া নাস্তিকদের বেলা ও, কিন্তু কেনো?
প্রকৃত নাস্তিক কখনো ধর্মের পেছনে লেগে থাকে?
আমি মেয়ে, সে ছেলে কেনো?
শুরু হয়ে যায় তাকে পক্ষে আনার জন্য তোড়জোড়, মানে ছেলেদের ধরে ধরে মেয়ে বানানোর প্রকৃয়া আর কি!
সেম প্রক্রিয়া ছেলেদের বেলা ও, কিন্তু কেনো?
তাদের কে তাদের মতো থাকতে দেয়া দরকার না?
দরকার হোক না হোক, যে যার মতো থাকলে আমাদের সমস্যাটা কি!
আমাদের প্রবলেম হলো আমাদের মাঝে সহনশীলতা একদম ই নাই। এবং আমরা পরশ্রীকাতর।
রিকশাওয়ালা যদি ভালো কাপড় পরে তবে যাত্রীর জ্বালা শুরু হয়ে যায়, বেটা রিকশাওয়ালা কেনো এতো ভালো কাপড় পরবে!
কার ড্রাইভার যখন রিকশাওয়ালার সামনে দাঁড়ায় তখন শুরু হয়ে যায় রিকশাওয়ালার জ্বালা: শালা নিশ্চয় অবৈধ টাকায় কার কিনেছে!
কারের সামনে যদি কোনো গাড়ি ক্রস করে নেয় তবে শুরু হয় তার জ্বালা, কতো বড় সাহস, আমারে ডিঙ্গায়া ঘাস খায়! :p
সর্বত্র ই এরকম জ্বালা।
রাজনীতিবিদের জ্বালা সে কেনো ট্রাম্প হতে পারে না, পেপার পত্রিকা কেনো তাকে নিয়ে কলাম লেখে না।
আওয়ামীলীগের জ্বালা: দেশের জনগণ এতো শান্তি চায় কেনো!
বিএনপির জ্বালা: আওয়ামীলীগ কেনো এতো উন্নত!
জামাতের জ্বালা: বাংলাদেশ কেনো হলো, পাকিন্তানে সমস্যা কি!
আমরা কেউ ই নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট নই, চাই শুধু দল ভারি করতে।
কিন্তু বুঝিনা এই দল ভারি করে আখেরে আমার লাভের লাভ কি হচ্ছে।
শেষমেস না বুঝে আবার জ্বলি।
আমাদের এতো জ্বালা যে যদি কেউ মরার পরে তাকে বাংলাদেশে এনে রাখা হয় তবে সে এখান থেকে দোযখে যাবার জন্য ছটফট শুরু করবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪০