somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৮ই ফাল্গুন কি হারিয়ে যাবে? আসুন বাঁচানোর একটা চেষ্টা করি।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রয়োজন নেই, জানি। কখন প্রয়োজন ছিলো, তা জানা নেই। কিন্তু তবুও ইদানীং আমরা উৎসব করছি পহেলা হেমন্তে, বসন্তে। আর সে বাংলা ক্যালেন্ডার, আমার বাংলা ভাষার সাথে সম্পর্কিত। ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, ভাষার জন্য আমাদের আত্মত্যাগের কথা জানে আমাদের বিশ্ব। কিন্তু ১৯৫২ সালের সে ২১শে ফেব্রুয়ারী বাংলা কত তারিখ ছিলো জানে না অনেকেই। এখন ইংরেজি ২১ ফেব্রুয়ারী বাংলা ৯ ফাল্গুন। কিন্তু ১৯৫২ সালের সে ২১ ফেব্রুয়ারী ছিলো ৮ ফাল্গুন।

একটু সচেতন মানুষ সে বাংলা তারিখটা জানলেও আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে ৮ ফাল্গুন। বাংলা আর ইংরেজী তারিখের অমিল মেলাতেই কোন এক বছর ঠিক করে দেয়া হয়েছিলো ইংরেজি কোন তারিখে বাংলা কোন তারিখে হবে। আমি জানিনা, তখন সে সিদ্ধান্ত গ্রহীতারা বিষয়টাকে কি আমলে এনেছিলেন কি না, কিন্তু আমাদের বাংলা ভাষার সবচেয়ে গৌরবময় দিন ২১শে ফেব্রুয়ারী হয়ে গেল ৯ ফাল্গুন।

আমার মনেহয় না, ইংরেজি আর বাংলা তারিখের সমন্বয় খুব বেশি জটিল। বোধহয় সরকার চাইলেই এ বিষয়ে উদ্দোগ নিয়ে নতুন করে এ তারিখ সমন্বয় করতে পারে যেন ২১শে ফেব্রুয়ারী, বাংলা ৮ই ফাল্গুন হয়।

এখানে আরেকটা বিষয় বলা যেতে পারে, আমাদের পহেলা ফাল্গুনকেই অনেকে ভালোবাসা দিবস হিসাবে পালন করেন, বা করে স্বস্তি পান, আমাদের সংস্কৃতির সাথে এ দিনটাই সবচেয়ে ভালো যায় ভালোবাসা দিবস হিসাবে। আমারা যদি ৮ ফাল্গুনের সাথে ২১ ফেব্রুয়ারীকে সমন্বয় করতে পারি, তখন ১৪ ফেব্রুয়ারীই হবে ১লা ফাল্গুন, আমাদের ভালোবাসা দিবস। আমরা আরও একটা জটিলতা থেকে মুক্তি পাব।

আমি জানিনা, কিভাবে এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা যায়। কার কাছেই এ দাবী জানানো যায়। হ্য়তো বাংলা একাডেমী উদ্দোগটা নিতে পারে, কিন্তু তাদের কে জানানোর উপায়ও আমার জানা নেই। আসুন আমরা একবার চেষ্টা করি, একটু জটিলতা করে হলেও ৮ ফাল্গুনকে বাঁচানোর চেষ্টা করি।
৭টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×