আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রয়োজন নেই, জানি। কখন প্রয়োজন ছিলো, তা জানা নেই। কিন্তু তবুও ইদানীং আমরা উৎসব করছি পহেলা হেমন্তে, বসন্তে। আর সে বাংলা ক্যালেন্ডার, আমার বাংলা ভাষার সাথে সম্পর্কিত। ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, ভাষার জন্য আমাদের আত্মত্যাগের কথা জানে আমাদের বিশ্ব। কিন্তু ১৯৫২ সালের সে ২১শে ফেব্রুয়ারী বাংলা কত তারিখ ছিলো জানে না অনেকেই। এখন ইংরেজি ২১ ফেব্রুয়ারী বাংলা ৯ ফাল্গুন। কিন্তু ১৯৫২ সালের সে ২১ ফেব্রুয়ারী ছিলো ৮ ফাল্গুন।
একটু সচেতন মানুষ সে বাংলা তারিখটা জানলেও আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে ৮ ফাল্গুন। বাংলা আর ইংরেজী তারিখের অমিল মেলাতেই কোন এক বছর ঠিক করে দেয়া হয়েছিলো ইংরেজি কোন তারিখে বাংলা কোন তারিখে হবে। আমি জানিনা, তখন সে সিদ্ধান্ত গ্রহীতারা বিষয়টাকে কি আমলে এনেছিলেন কি না, কিন্তু আমাদের বাংলা ভাষার সবচেয়ে গৌরবময় দিন ২১শে ফেব্রুয়ারী হয়ে গেল ৯ ফাল্গুন।
আমার মনেহয় না, ইংরেজি আর বাংলা তারিখের সমন্বয় খুব বেশি জটিল। বোধহয় সরকার চাইলেই এ বিষয়ে উদ্দোগ নিয়ে নতুন করে এ তারিখ সমন্বয় করতে পারে যেন ২১শে ফেব্রুয়ারী, বাংলা ৮ই ফাল্গুন হয়।
এখানে আরেকটা বিষয় বলা যেতে পারে, আমাদের পহেলা ফাল্গুনকেই অনেকে ভালোবাসা দিবস হিসাবে পালন করেন, বা করে স্বস্তি পান, আমাদের সংস্কৃতির সাথে এ দিনটাই সবচেয়ে ভালো যায় ভালোবাসা দিবস হিসাবে। আমারা যদি ৮ ফাল্গুনের সাথে ২১ ফেব্রুয়ারীকে সমন্বয় করতে পারি, তখন ১৪ ফেব্রুয়ারীই হবে ১লা ফাল্গুন, আমাদের ভালোবাসা দিবস। আমরা আরও একটা জটিলতা থেকে মুক্তি পাব।
আমি জানিনা, কিভাবে এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা যায়। কার কাছেই এ দাবী জানানো যায়। হ্য়তো বাংলা একাডেমী উদ্দোগটা নিতে পারে, কিন্তু তাদের কে জানানোর উপায়ও আমার জানা নেই। আসুন আমরা একবার চেষ্টা করি, একটু জটিলতা করে হলেও ৮ ফাল্গুনকে বাঁচানোর চেষ্টা করি।
৮ই ফাল্গুন কি হারিয়ে যাবে? আসুন বাঁচানোর একটা চেষ্টা করি।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৭টি মন্তব্য ৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া
১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।