প্রবল ঝড় ও বৃষ্টিপাতে রোববার মধ্য আমেরিকার গুয়াতেমালা, এল সালভাদর ও হন্ডুরাসে অন্তত ৯৬ জন নিহত হয়েছেন। তবে ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গুয়াতেমালায়।
আগাথা নামের এই ঝড়টি শনিবার মেক্সিকো সীমান্তের গুয়াতেমালার উপকূলে আঘাত হানে। ঝড়ে গুয়াতেমালায় ৮৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আলভারো কলোম। রোববার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ খবর নিশ্চিত করেন।
কলোম জানান, "আমরা অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছি। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি, আমাদের এখন মানুষকে আশ্রয় দেওয়া প্রয়োজন।"
ঝড়ে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ গৃহহারা হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই গুয়াতেমালার অধিবাসী। সরকারি সূত্রগুলো এ খবর নিশ্চিত করেছে।
প্রেসিডেন্ট কলোম দাতাদের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।
রাজধানীয় গুয়াতেমালা সিটির ৯০ মাইল দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সান আন্তোনিও পালোপোতে ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরো ৮ থেকে ১০ জন মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্তত ৭৪ জন নিহত হওয়ার খবর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করার পর আরো ২২ জন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করছেন। জরুরি সার্ভিসের মুখপাত্র ডেভিড ডে লিওন এ তথ্য জানান।
উদ্ধারকর্মীরা শহরের সঙ্গে গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাদের আশঙ্কা আরো অনেক হতাহত পাওয়া যাবে।
অব্যাহত বৃষ্টি গুয়াতেমালার কফি শস্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দেবে। মধ্য আমেরিকার সর্বোচ্চ কফি উৎপাদনকারী রাষ্ট্র গুয়াতেমালা।
ঝড় আগাথা সারারাতভরে গুয়াতেমালার পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড় অতিক্রম করে। কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছে, ঝড় সরে গেলেও কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। নদীগুলো উপচে শহর ও গ্রাম একাকার করে ফেলেছে।
ঝড়ে মধ্য আমেরিকার অন্য দুই দেশ এল সালভাদরে ৯ জন এবং হুন্ডুরাসে ৪ জন মারা গেছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





