somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অস্ট্রেলিয়ার পথে (২) .... আকাশ পথে যাত্রা হলো শুরু!

০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম পর্ব এখানেঃ অস্ট্রেলিয়ার পথে .... অবশেষে এক মাস বিলম্বে যাত্রা শুরু!

অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজীল্যান্ড, দুটো দেশেরই ভিসা একই দিনে প্রাপ্তির পর মনে হচ্ছিল, যেহেতু “মেকা-অস্ট্রেলিয়া গ্লোবাল রিইউনিয়ন” টা ইতোমধ্যে মিস করে ফেলেছি, সেহেতু আবার নতুন টিকেট করার ব্যাপারে এত তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন কেন! তাই সফরসূচী নিখুঁতভাবে চূড়ান্ত করতে আমি একটু সময় নিচ্ছিলাম। বিভিন্ন এয়ারলাইনের ওয়েবসাইট ঘুরে ঘুরে আমি আমাদের জন্য উপযোগী সময় ও সাশ্রয়ী মূল্যের কথা মাথায় রেখে একটা সফরসূচী সাব্যস্ত করলাম। অনেক ইচ্ছে ছিল, সফরে বের হবার আগে ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে ঢাকার “সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে” অনুষ্ঠিতব্য “সামহোয়্যারইনব্লগ” এর ব্লগ দিবস-২০১৯ উদযাপনের অনুষ্ঠানমালায় যোগদান করার। সেকথা বিবেচনা করে ঠিক করলাম, আমাদের এবারের যাত্রা শুরু হবে সেই অনুষ্ঠানটির দু’দিন পরে, ২২শে ডিসেম্বর রাতে। ০৩ ডিসেম্বরে টিকেট কিনে ফেললাম। গিন্নীকে বললাম, দীর্ঘ সময়ের জন্য যাচ্ছি, তাই বাড়ীঘর আগে গুছিয়ে নিতে, তারপরে ব্যাগ গোছানো শুরু করতে। বরাবরের মত এবারেও আমি একটি চেকলিস্ট বানালাম। সর্বাগ্রে অগ্রাধিকার পেল যথেষ্ট পরিমাণ ঔষধপত্র সংগ্রহ এবং ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনগুলো গুছিয়ে নেয়ার কাজ। এটা করতে আমার কয়েকদিন লেগে গেল। সবকিছু ঠিকঠাকমত নিলাম কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য ছোট ছেলে আর বৌমাকে নির্দেশ দিলাম। ওরা বেশ আনন্দের সাথে রাত জেগে সে কাজটি করে দিল। গিন্নীর কিছু ঔষধপত্র তখনো সংগ্রহের বাকী ছিল, বৌমা সে তালিকাটি করে দিল এবং একটি নোটবুকেও ঔষধের তালিকা এবং সেবনসময় লিখে দিয়ে তা সবসময় হাতের কাছে রাখতে পরামর্শ দিল। কিছু কিছু কাগজপত্রের ফটোকপি করা বাকী ছিল, ছোট ছেলে সেগুলো করে দিল। রওনা হবার দিন সন্ধ্যেয় সে এক এক করে দেখে নিল, সবকিছু ঠিকঠাকমত গুছিয়ে নিয়েছি কিনা। পাসপোর্ট, টিকেট, ভিসা, নগদ অর্থ ইত্যাদি কোথায় কিভাবে নিয়েছি তা সে দেখে নিল। লাগেজের ওজন পরীক্ষা করে নিল, চাবি লাগিয়েছি কিনা এবং চাবি লাগানোর পর তা কোথায় রেখেছি তা দেখে নিল। আমি চাবি সামলাতে পারিনা, প্রয়োজনের সময় কখনোই চাবি খুঁজে পাই না, তাই চাবির দায়িত্বটা বরাবরের মত গিন্নীই স্বেচ্ছায় তার নিজের কাছে রাখলেন। একটা লাগেজের ওজন সামান্য বেশী হওয়াতে কিছুটা পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন দেখা দিল। একটা স্যুটকেইস পরিবর্তন করে তার থেকে সামান্য বড় আরেকটাতে আমার কাপড় চোপড় ও অন্যান্য সামগ্রী স্থানান্তরিত করে এবং হ্যান্ড-ক্যারীড লাগেজ থেকে কিছু জিনিস কমিয়ে সেটাতে রাখতে হবে। আলস্যের কারণে আমি এ পরিবর্তনটুকু করতে নিমরাজী ছিলাম। আমি এশার নামায পড়ে উঠে দেখি বৌমা খুব সুন্দরভাবে এ কাজটি করে রেখেছে। আগে থেকে সাব্যস্ত ছিল আমরা রওনা হবো রাত নয়টায়। কিন্তু রওনা হতে হতে রাত নয়টা সাতাশ মিনিট হয়ে গেল। তবুও, ফ্লাইট টাইমের ঠিক তিনঘন্টা আগে বিমান বন্দরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলাম। হাতে কিছুটা সময় রেখে পরিকল্পনা করার এই একটি বড় সুবিধে।

ছোট ছেলে আর বৌমা আমাদেরকে সী-অফ করতে বিমান বন্দরে এসেছিল। লাউঞ্জে প্রবেশ করতেই দেখি, চেক-ইন কাউন্টার খোলা হয়েছে। ঢাকা-গুয়াংজু ফ্লাইটে আমাদের পাশাপাশি আসন আগে থেকেই জানালার পাশে নির্ধারিত করে রেখেছিলাম। কিন্তু পরের দিনের গুয়াংজু-মেলবোর্নের দীর্ঘ পথে সুবিধেজনক আসন পাইনি বলে তা আগে থেকে পছন্দ করে রাখিনি। চেক-ইন এর সময় কাউন্টারের মেয়েটিকে অনুরোধ করে বললাম, আমরা স্বামী-স্ত্রী। আমাদেরকে যেন পাশাপাশি একটা জানালার ধারে আসন দেয়া হয়। মেয়েটি হাসিমুখে তা করে দিল। এতটা প্রতীক্ষার পর পাওয়া অস্ট্রেলীয় ভিসার হার্ড কপি বা সফট কপি, কোনটাই একবার সে দেখতেও চাইলোনা। আমাদের আনন্দদায়ক ভ্রমণ কামনা করে মেয়েটি পাসপোর্টগুলো আমার হাতে ফিরিয়ে দিল। এবারে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাবার আগে ছেলে ও বৌমার কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পালা। একসাথে কিছু ছবি তুলে ওদেরকে বললাম আমরা ইমিগ্রেশন লাউঞ্জে প্রবেশের পর পরই ওরা যেন বাসায় ফিরে যায়। গিন্নীও ওদেরকে এর আগে বহুবার বলা কিছু নির্দেশাবলী পুনর্বার বলে গেলেন। তারপর কিছুক্ষণ একে অপরকে ‘হাগিং’ শেষে আমরা ইমিগ্রেশন লাউঞ্জে প্রবেশ করলাম।

সে রাতে একই সময়ে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট থাকায় ইমিগ্রেশন লাউঞ্জের প্রতিটি কাউন্টারে তখন দীর্ঘ লাইন ছিল। এতটা লম্বা লাইন দেখে অল্পক্ষণ পরে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এসে লাইনের শেষের দিকে দাঁড়ানো আমাদেরকে সহ আরো বেশ কয়েকজন যাত্রীকে “ফরেন পাসপোর্ট হোল্ডার” দের জন্য নির্ধারিত কাউন্টারে যেতে বললেন। এতে বেশ সুবিধে হলো, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের ইমিগ্রেশন কল এলো। আমার স্ত্রী এবং আমি একই সাথে পাশাপাশি দুটো কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়ালাম। আগে থেকেই যার যার পাসপোর্টের ভেতরে পূরণকৃত এম্বার্কেশন কার্ড ঢুকিয়ে রেখেছিলাম। ইমিগ্রেশন অফিসার আমার পাসপোর্ট এবং এম্বার্কেশন কার্ডের উপর চোখ বুলিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি এম্বার্কেশন কার্ডটি পূরণ করেন নি”? আমি বললাম, করেছি তো! উনি তখন কার্ডটি বের করে আমাকে দেখালেন, দেখে তো আমি হতবাক! মনের ভুলে হয়তো পূরণকৃত কার্ডের জায়গায় খালি একটি কার্ড পাসপোর্টে ঢুকিয়ে রেখেছিলাম। যাহোক, এতদিনে কার্ডের সকল তথ্য আমার মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল বলে একটি খালি কার্ড বের করে নিমেষেই তা ইমিগ্রেশন অফিসারের সামনে দাঁড়িয়েই পূরণ করে দিলাম। এবারে তিনি ভিসার হার্ড কপিটি দেখতে চাইলেন। সেটা বের করে দেয়ার পর তিনি তা হাতে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখলেন, তারপরে পাসপোর্টে সীল মেরে ভিসার কাগজসহ পাসপোর্টটি আমার হাতে ফেরত দিলেন। আমার স্ত্রীর ইমিগ্রেশন কাজ আগেই শেষ হওয়াতে তিনি কাউন্টারের বাইরে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আমি তার সাথে যোগ দিলাম এবং “স্কাইলাউঞ্জ” এর লিফট এর দিকে এগোতে থাকলাম।

প্লেন ছাড়ার তখনও ঘন্টা দুয়েক বাকী। আমরা স্কাইলাউঞ্জে প্রবেশ করে ধীরে সুস্থে আমাদের ডিনার করে নিলাম। ডিনারের পর ওখানে বসেই কিছু নিকটাত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধবকে ফোন করলাম, কিছুক্ষণ ফেইসবুকিং এবং ওয়েব ব্রাউজিংও করে নিলাম। সেখানে বসে থাকতে থাকতেই ছেলের ফোন পেলাম। সে জানতে চাইলো ইমিগ্রেশনে আমার এতটা দেরী হলো কেন। তাকে কারণটা জানালাম। বুঝতে পারলাম, ওরা তখন তখনই বাড়ী ফিরে যায়নি। আমরা ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত ওরা দূর থেকে আমাদের ওপর নজর রেখেছিল। কিছুক্ষণ পর ‘চায়না সাউদার্নের’ একজন অফিসিয়াল স্কাইলাউঞ্জে প্রবেশ করে মৌখিক ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছিলেন যে ঐ ফ্লাইটের কোন যাত্রী সেখানে উপস্থিত আছেন কিনা। তাকে আমি জানালাম, আমরা দু’জন আছি, আরো কয়েকজন তাদের উপস্থিতির কথা জানালেন। উনি বললেন, রাত বেশী হলে ঘন কুয়াশার কারণে ফ্লাইট বিলম্বিত হতে পারে। তাই সব যাত্রীদের বোর্ডিং ঠিকঠাক মত হয়ে গেলে ফ্লাইট হয়তো নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেও ছাড়তে পারে। এই বলে উনি আমাদেরকে ১০ নং গেইটের দিকে অগ্রসর হতে অনুরোধ করলেন।

বোর্ডিং এর সর্বশেষ নিরাপত্তা বৈতরণীটি আমরা পার হয়ে নিলাম। বিমান ভ্রমণের এই পর্যায়টাকে সব সময় আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়। জুতো, জ্যাকেট, বেল্ট, ওয়ালেট, রুমাল, চিরুণী, কলম, চাবি, ক্যারী-অন ব্যাগ, সব কিছুই বের করে একটি বা কয়েকটি ট্রেতে রেখে সেগুলোকে নিরাপত্তা স্ক্রীনিং করাতে হয়। এটাই এখন আন্তর্জাতিক নিয়ম, তাই এ নির্দেশ সুবোধ বালকের মত পালন না করে কোন উপায় নেই। স্ক্রীনিং এর পর আবার সেগুলোকে ঠিকঠাক মত রেখে/পরিধান করে তবেই প্লেনের আসনের দিকে অগ্রসর হতে হয়। শেষের দিকের এই সামান্য বিরক্তিটুকু অবশ্য প্লেনের দুয়ারে অপেক্ষমান কেবিন ক্রুদের সহাস্য অভিবাদনে নিমেষেই মন থেকে বিলীন হয়ে যায়। প্লেনে উঠে আমরা আমাদের নির্ধারিত আসন গ্রহণ করে ফ্যামিলী গ্রুপে আমাদের বোর্ডিং মেসেজ দিলাম। তার পর পর আবার ফোনও করলাম, এবং প্লেন ছাড়ার আগে একটা সেলফী তুলে পাঠালাম। সবাই তাতে আশ্বস্ত হলো,
আমাদের শুভযাত্রা কামনা করে মেসেজ একনলেজ করলো।

নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই প্লেন ঢাকার রাতের আকাশে পাখা মেলে দিল। আমার বাসার দক্ষিণ ব্যালকনি থেকে ঢাকার আকাশে টেক-অফ করা প্লেনগুলোকে দেখা যায়। আমি জানালার এপাশ থেকে তাই খুঁজে পেতে চেষ্টা করলাম আমার রেখে যাওয়া স্নেহভরা “আদর” মাখা বাসাটিকে। আস্তে আস্তে প্লেনের উচ্চতা বাড়তে লাগলো, সেই সাথে বাড়তে থাকলো ঢাকায় রেখে যাওয়া আমার আত্মীয়স্বজন,
বন্ধুবান্ধবদের সাথে আমাদের অবস্থানিক দূরত্ব, কমতে থাকলো মেলবোর্নে বাস করা আমার ছেলে ও বৌমার সাথে আমাদের ভৌগলিক দূরত্ব। এ যেন আনন্দ বিষাদের এক ছন্দময় খেলা! প্লেন ছাড়ার পরেই আমি গিন্নীকে বললাম, ‘পরের দিনের ফ্লাইটটা অনেক দীর্ঘ হবে, তাই যতটা পারো, রাতে ঘুমিয়ে নাও’। সে তাই করার চেষ্টা করতে থাকলো। আমি রাতের আকাশের মেঘমালার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। প্লেনে ডিনার সার্ভ করার পর কেবিন ক্রুরা মূল বাতিগুলোকে নিভিয়ে দিয়ে একটা ঘুমের পরিবেশ তৈরী করে দিল। আমিও একসময় আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পড়লাম।

একসময় ঘুম ভাংলো কেবিন ক্রুদের চলাচলের আওয়াজে এবং অভ্যন্তরীণ ঘোষণায়। বলা হচ্ছিল, ‘আমরা গুয়াংজুর বাইয়ুন বিমান বন্দরে অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আপনারা সীট বেল্ট বেঁধে রাখুন’! নির্ধারিত সময়ের ১২ মিনিট আগে প্রায় ৩৩ হাজার ফুট ওপর দিয়ে ১৫৬৬ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে আমরা গুয়াংজুর বাইয়ুন বিমান বন্দরে ভোর ৫টা ৫৮ মিনিটে অবতরণ করলাম। গুয়াংজুতে ট্রানজিট কিংবা এ্যারাইভাল প্যাসেঞ্জার হিসেবে এটাই আমার প্রথম আগমন। তাই ওদের নিয়ম নীতি, অভ্যন্তরীণ পথ-বিন্যাস কিংবা স্টাফদের আচরণ সম্পর্কে আমার কোন পূর্ব-ধারণা ছিলনা। তাই কিছুটা ট্রাভেলার্স টেনশন ছিল বৈকি! তবে ভালই পেয়েছি আমি চৈনিকদের আচরণ। অতি সহজেই ট্রান্সফার চেক-ইন এর কাজ সম্পন্ন করে নিলাম। মনে হচ্ছিল যে আমাদের প্রথম কাজটি তখন ছিল আমাদের নিরাপদে গুয়াংজু পৌঁছানোর খবরটি ফ্যামিলী গ্রুপে পোস্ট করা। বিমান বন্দরের ফ্রী ওয়াই ফাই কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে লক্ষ্য করছিলাম কে কিভাবে ওয়াই ফাই পাসওয়ার্ড খুঁজে নেয়। ২/৩ জনকে দেখার পর তা আয়ত্ত্ব করে নিলাম। পাসপোর্ট অথবা আইডি কার্ড স্ক্যান করিয়ে পাসওয়ার্ড এবং একাউন্ট নং পেতে হয়। জায়গামত সেটা বসিয়ে দিলেই ওয়াই ফাই সংযোগ পাওয়া যায়। আমি সেভাবেই চেষ্টা করলাম এবং সংযোগ পেয়েও গেলাম। কিন্তু চীন দেশে ফেইসবুক মেসেঞ্জার, ভাইবার, হোয়াটসএ্যাপ ইত্যাদি কোন কিছুই কাজ করেনা, এটা আগে থেকে জানা সত্ত্বেও ঠিক সেই মুহূর্তে মনে ছিলনা। আমি কয়েকবার চেষ্টা করেও আমাদের নিরাপদে গুয়াংজু পৌঁছানোর খবরটা ফ্যামিলী গ্রুপে কিংবা আমাদের ছেলেদের কাছে আলাদাভাবে পৌঁছাতে পারলাম না। এক সময় সে চেষ্টা বাদ দিয়ে বোর্ডিং প্যাসেঞ্জার্স লাউঞ্জে দুটো ফাঁকা আসন খুঁজে নিয়ে বিশ্রামের জন্য বসলাম। কিছুক্ষণ পর গিন্নী স্মরণ করিয়ে দিলেন, তার সকালের ঔষধ সেবনের সময় হয়েছে। আমি তার জন্য পানীয় জল আনার উদ্দেশ্যে রওনা হ’লাম।


মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×