somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবিতার ছন্দ : কেন জানা দরকার ?

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

’ছন্দ’ শব্দটি বাংলায় এসেছে সংস্কৃত ’ছন্দ:’ বা ’ছন্দস’ থেকে। শব্দটি গঠিত হয়েছে সংস্কৃত শব্দ ’ছন্দ’ (দীপন) এবং অস(র্তৃ) প্রত্যয় যুক্ত হয়ে। দীপন অর্থ দীপ্তিকরণ, শোভন, উদ্দীপন, উত্তেজন। অস্ প্রত্যয়টি এখানে স্ত্রী-বাচক। এটি বিশেষ্য পদ। 'ছন্দ' শব্দটির আভিধানিক অর্থ পদ্যবন্ধ বা পদ্যের বিভিন্ন মাত্রার রচনারীতি বা পদ্য রচনার ছাঁদ বা ভাষার সুষমামণ্ডিত স্পন্দন বা গতির মাধুরী ও স্বাচ্ছন্দ্য।

ভাষাবিজ্ঞানী ড.সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বাক্যস্থিত (অথবা বাক্যাংশস্থিত) পদগুলিকে যে ভাবে সাজাইলে বাক্যটি শ্রুতিমধুর হয় ও তাহার মধ্যে একটা কাল-গত ও ধ্বনি-গত সুষমা উপলব্ধ হয় পদ সাজাইবার সেই পদ্ধতিকে ছন্দ (বা ছন্দ: ) বলে। গদ্য রচনার ক্ষেত্রেও ছন্দ-এর এ সংজ্ঞা প্রযোজ্য।

আমরা সারা জীবন শুনে এসেছি কবিতা লিখতে ছন্দ লাগেই। আধুনিক গদ্যকার জানেন, গদ্য লেখার জন্যও ছন্দ লাগে। তাই বলে এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে ছন্দ আছে বলে গদ্য পদ্য একাকার হয়ে গেছে। গদ্য আর কবিতার চলার ছন্দে পরিষ্কার পার্থক্য আছে। সেই চলার ছন্দটাই একে গদ্য থেকে একটানে আলাদা করে ফেলেছে। অন্ত্যমিল রেখে লেখা কবিতার সাথে গদ্যের পার্থক্য সাদা চোখেই ধরা পড়ে। আধুনিক গদ্য কবিতাকেও গদ্য থেকে সহজেই আলাদা করা যায়। আমাদের সাহিত্যের গদ্য পদ্য সবকিছুর মহান কারিগর রবীন্দ্রনাথের কাছেই চলুন কবিতা আর গদ্যের ফারাকটা বুঝে নিই-

গদ্যের নমুনা

’শ্রাবণমাসে বর্ষণের আর অন্ত নাই। খাল বিল নালা জলে ভরিয়া উঠিল। অহর্নিশি ভেকের ডাক এবং বৃষ্টির শব্দ। গ্রামের রাস্তায় চলাচল প্রায় একপ্রকার বন্ধ-- নৌকায় করিয়া হাটে যাইতে হয়।’ (পোস্টমাস্টার/ছোট গল্প)

কবিতার নমুনা

’কিনু গোয়ালার গলি।
দোতলা বাড়ি
লোহার গরাদে-দেওয়া একতলা ঘর
পথের ধারেই। (বাঁশি/পুনশ্চ)

গানের নমুনা

’এসো শ্যামল সুন্দর
আনো তব তাপহরা তৃষাহরা সঙ্গসুধা
বিরহিনী চাহিয়া আছে আকাশে’

গদ্যের ভেতর যে ছন্দের দোলা আর কবিতার ছন্দের দোলা খুব সহজেই তার পার্থক্য বুঝতে পারবেন। সব চেয়ে বিস্ময়কর তাঁর গানটি। টানা গদ্যে লেখা গানটিতে যে পেলব গতিময়তা আর ধ্বনিময়তা গলাগলি করে আছে তা এককথায় অপূর্ব, অতুলণীয় এবং গদ্য থেকে একেবারেই আলাদা।

আধুনিক কবিতার সাগরে সাঁতার কাটলেও আপনি এ ছন্দোময়তার আবেশে বিভোর হবেন। আমাদের আধুনিক কবিতার পুরোধাদের একজন জীবনানন্দ দাশ। তাঁর কাছেই যাই-

’বলি আমি এই হৃদয়েরে:
সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা কয় !
অবসাদ নাই তার? নাই তার শান্তির সময় ?’ (বোধ/ধূসর পাণ্ডুলিপি)

’সুরঞ্জনা, ওইখানে যেয়ো নাকো তুমি,
বোলোনাকো কথা ওই যুবকের সাথে;
ফিরে এসো সুরঞ্জনা;
নক্ষত্রের রূপালী আগুন ভরা রাতে; (আকাশলীনা/সাতটি তারার তিমির)

’তোমার মুখের দিকে তাকালে এখনো
আমি সেই পৃথিবীর সমুদ্রের নীল,
দুপুরের শূন্য সব বন্দরের ব্যথা,
বিকেলের উপকণ্ঠে সাগরের চিল,
নক্ষত্র, রাত্রির জল, যুবাদের ক্রন্দন সব--
শ্যামলী, করেছি অনুভব। (শ্যামলী/বনলতা সেন)

নক্ষত্রের রূপালী আগুন ভরা রাতের কথায় বুকের ভেতর কেমন জানি মোচড় দিয়ে ওঠে। সুরঞ্জনা যেন মনের কোনো গহীণে বাঁশি বাজাতে থাকে। শ্যামলী দূর সাগরের দিকে শুধু উড়িয়ে নিতে চায়। একেই কবিতা বলেন গুনীরা ? ছন্দের এমন উতল হাওয়ায় হৃদয় কি আনমনা হয়ে থাকে না ?

রবীন্দ্রনাথই বাদ থাকেন কেন ?

’যে আছে আঙ্গিনায় অপেক্ষা করে
পরনে ঢাকাই শাড়ী
কপালে সিঁদুর।’ (বাঁশি/পুনশ্চ)

এ সিঁদুর যে কবিতার নায়ক হরিপদ কেরাণীর সৌজন্যে নয় সে সংবাদের বেদনা বিধুরতাই মনের ভেতর এক ব্যাখ্যাতীত অনুভূতির সৃষ্টি করে। সে অনির্বচনীয় ভাবই কবিতা।

ছন্দ কি শুধু গদ্যপদ্যের বিষয় ? মোটেও না। আসলে ছন্দ মিশে আছে আমাদের জীবনের সবকিছুতে। আমাদের হৃৎপিণ্ড বা শ্বাস প্রশ্বাস নিরবচ্ছিন্ন ছন্দে প্রবহমান। সে ছন্দে হেরফের হলেই বিরাট সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের দেহের যে গঠন তারও একটা আলাদা ছন্দ বা ছাঁদ আছে। সমগ্র বিশ্বচরারেও এ রকম ছন্দোময়তা মিশে আছে। একটা সামগ্রিক ভারসাম্য নিয়ে সেটা প্রতিষ্ঠিত। তাই ছন্দ ছাড়া কোন সৃজনকর্মই সম্ভব নয়। কবিতা তো নয়ই।

কবিতার সাথে ছন্দের যে অবিচ্ছেদ্য মাখামাখি সেটা বোঝার জন্য কবিতা কি বস্তু সেটাও জানা দরকার। কিন্তু গোলমালটা সেখানেই। কবিতা কি ? বহু জনে বহু সংজ্ঞা দিয়েছেন। কেউ কারোটাকে কবিতার সম্পূর্ণ সংজ্ঞা বলে মেনে নেননি। কাব্য রসিকরাও মেনে নেননি। সবাই কবিতার একেকটা বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন। সবার ভাবনা মিলেই কাব্যরসিকরা কবিতাকে বোঝার চেষ্টা করেছেন। তবে সবাই কমবেশি একমত,কবিতা কি তার সংজ্ঞা দেয়া সম্ভব নয়। সেটা অনুভব করার বিষয়। গভীর সংবেদনশীল অনুভূতিই আপনাকে কানে কানে জানিয়ে দেবে কোনটা কবিতা, কোনটা কবিতা নয়।

তবে সকল গুনীই একটা কথা মেনে নিয়েছেন, ’ভাব দিয়ে কবিতা লেখা হয় না। কথা দিয়ে তাকে সাজাতে হয়।’ (কবিতার কথা/সৈয়দ আলী আহসান) বিখ্যাত ইংরেজ কবি স্যামুয়েল টেলর কোলরিজ গদ্য আর পদ্যের কার্যকর একটা সংজ্ঞা দিয়েছেন। তাঁর বিবেচনায় গদ্য বা Prose হচ্ছে ‘Words in the best order’ অর্থাৎ শব্দের শ্রেষ্ঠতম বিন্যাসই গদ্য। আর কবিতা বা Poetry হচ্ছে ‘Best words in the best order’ অর্থাৎ শ্রেষ্ঠতম শব্দের শ্রেষ্ঠতম বিন্যাসই কবিতা। এর মাধ্যমে কবিতা বা গদ্য কি তা বোঝা কঠিন। কিন্তু গদ্য বা কবিতা কিভাবে লিখতে হবে সেটা খুব ভালো করেই বোঝা গেলো।

কবিতা কি সেটা বোঝাবার একটা যুৎসই চেষ্টা করেছেন রবীন্দ্রনাথও। তিনি বলেছেন,’ শুধু কথা যখন খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে তখন কেবলমাত্র অর্থকে প্রকাশ করে। কিন্তু সেই কথাকে যখন তির্যক ভঙ্গি ও বিশেষ গতি দেওয়া যায় তখন সে আপন অর্থের চেয়ে আরও বেশি কিছু প্রকাশ করে। সেই বেশিটুকু যে কী তা বলাই শক্ত। কেননা তা কথার অতীত, সুতরাং অনির্বচনীয়। যা আমরা দেখছি শুনছি জানছি তার সঙ্গে যখন অনির্বচনীয়ের যোগ হয় তখন তাকেই আমরা বলি রস। অর্থাৎ
সে জিনিসটাকে অনুভব করা যায়, ব্যাখ্যা করা যায় না। সকলে জানেন এ রসই হচ্ছে কাব্যের বিষয়।’ বিষয়টাকে তিনি একটা উদাহরণ দিয়ে পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছেন-’শ্যামের নাম রাধা শুনেছে। ঘটনাটা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু যে-একটা অদৃশ্য বেগ জন্মালো তার আর শেষ নেই। আসল ব্যাপারটা হল তাই। সেইজন্যে কবি ছন্দের ঝংকারের মধ্যে এই কথাটাকে দুলিয়ে দিলেন। যতক্ষণ ছন্দ থাকবে ততক্ষণ এই দোলা থামবে না। ’সই,কেবা শুনাইল শ্যামনাম।’ কেবলই ঢেউ উঠতে লাগল। ঐ কটি ছাপার অক্ষরে যদিও ভালোমানুষের মতো দাঁড়িয়ে থাকার ভাণ করে কিন্তু ওদের অন্তরের স্পন্দন আর কোন দিনই শান্ত হবে না।’ (ছন্দ)

ছন্দ শব্দের অর্থ যে দীপন বা উদ্দীপন বা উত্তেজন তার প্রয়োগ পাওয়া গেলো কবিতার এ ব্যাখ্যায়। ছন্দ শব্দের যে আভিধানিক অর্থ (ভাষার সুষমামণ্ডিত স্পন্দন বা গতির মাধুরী ও স্বাচ্ছন্দ্য। ) তার সাথেও মিল পাওয়া গেলো। কোলরিজ যে শব্দ সাজিয়ে কবিতা লেখার কথা বলেছেন সেই শ্রেষ্ঠ বিন্যাসই ব্যবহারিক অর্থে ছন্দ।

কবিকে তাই কবিতা লিখতে হয় ছন্দ মেনেই। সে কারণে কবিকে ছন্দ শিখতে হয়। কবিতা কি সেটাও শিখতে হয়। শেখার কাজটা চলে কবিতার সাথে নিরন্তর বসবাস করে। প্রকৃতির মধ্যে মানুষই একমাত্র প্রাণী যাকে সবই শিখে নিতে হয়। পাখির ছানা বা ছাগল ছানা স্বাভাবিক জিনিস সহজাত সামর্থ্য দিয়ে শিখে নেয়। হাঁসের বাচ্চা সহজেই জেনে যায় সাঁতার। মানুষকে শিখতেই হয় হাঁটা থেকে শুরু করে কথা বলা, লেখা পর্যন্ত সবই। এই বিধিলিপিও কবিকে ছন্দ শেখার দায়ে আবদ্ধ করেছে।

কথা হলো প্রথমেই কি কবি ছন্দ শেখেন ? শেখেন না। শেখেন তখনই যখন সত্যি সত্যি কবি হবার সিন্ধান্ত নেন। রবীন্দ্রনাথও ’জল পড়ে পাতা নড়ে’ ছন্দ শেখার আগেই লিখেছেন। কিন্তু সেখানে থেমে যাননি বলেই তিনি রবীন্দ্রনাথ। সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকও অবলীলায় স্বীকার করেছেন, ’পেছনের দিকে তাকিয়ে এখন শিউরে উঠি যে লেখার কৌশল কতখানি কম জেনে -- আরো ভালো, যদি বলি কিছুই না জেনে, একদা এই কলম হাতে নিয়েছিলাম।’ সৈয়দ হক আরেকটা গুরুতর কথা মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি-’ লেখাটা কোনো কঠিন কাজ নয়, যে কেউ লিখতে পারেন, কঠিন হচ্ছে, লেখাটিকে একটি পাঠের অধিক আয়ু দান করা।’ (মার্জিনে মন্তব্য)

সব কবিই প্রথমে ছন্দ বা কবিতার ভেতরের কারিগরী না জেনে লেখা আরম্ভ করেন। সেটাও ফাঁকা শুরু করেন না। কারো কবিতা পড়ে কিংবা শুনে কবি সে কবিতার প্রেমে পড়েন। প্রেমে পড়া কবিতার আদলটা শিখে নিয়ে তার ছাঁছে গড়েন নিজের প্রথম কবিতা। তার পর ছন্দ শেখা আর কবিতা লেখা শেখার জন্য অন্তরের রক্তক্ষরণের এক কঠিন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে কবি হয়ে ওঠেন।

আমরা এখন ইতিহাসের এমন এক কালপর্বে বসবাস করছি যখন মানববিদ্যার সকল বিষয়ে বহু সাধকের অবদানে একটা বৈশ্বিক কাঠামো তৈরি হয়েছে। প্রতিটি বিষয়ে বহু সোনার ধান ফলেছে। তাই আপনি যদি কোন কাজের ক্ষেত্রে কি কি নেই সেটা না জেনে কাজ শুরু করেন, তাহলে দেখা যাবে বহু আগে আবিষ্কার হওয়া বস্তু আপনি আবার আবিষ্কারের অর্থহীন চেষ্টা করেছেন। ভাবার কোন কারণ নেই যে, আমাদের পূর্বসূরী গুনীরা কারো কাছে কিছু না শিখে নিজের সৃজনশীল কাজ শুরু করেছেন। প্লেটো শিখেছেন সক্রেটিসের কাছে, এরিস্টোটল শিখেছেন প্লেটোর কাছে, মপাশা লেখা শিখেছেন ফ্লবেয়রের কাছে, লালনের গুরু সিরাজ সাঁই।

ছন্দ শিখলেই কবি হবেন এর এক কনাও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ছন্দ না শিখে কখনো কবি হওয়া য়ায়নি। অন্তত: এ ব্রক্ষ্মাণ্ডের যে কোন কোনে যিনিই কবি বলে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি ছন্দ জেনে, ছন্দ মেনে কবিতা লিখেছেন। কবি সমর সেন তাঁর কবিতা থেকে ছন্দকে বের করে দিয়েছেন বলে সবাই বলে থাকেন। আসুন পড়ে দেখি তাঁর একটি কবিতাংশ-
’তুমি যেখানেই যাও,
কোনো চকিত মুহূর্তের নি:শব্দতায়
হঠাৎ শুনতে পাবে
মৃত্যুর গম্ভীর, অবিরাম পদক্ষেপ।’ (তুমি যেখানেই যাও)

একটু ভালো করে মন লাগিয়ে পড়ুন। তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন ছন্দের কতো বড়ো কারিগর হলে ছন্দ নিয়ে এমন ছেলেখেলা করা সম্ভব।

আরেকটা কথাও এসে যায়। সেটা শিল্পী বা কবির স্বাধীনতার প্রশ্ন। প্রকৃত কবিতো দুরন্ত ,স্বাধীনচেতা। কবি কেন ছন্দের বন্ধন মানবেন ? যদিও জানি, কবি ভালোবাসার বাঁধনের কাছে সদা নতজানু। তারপরও বন্ধনের অধীনতা কেন দরকার তার জবাবটা নিচ্ছি ছন্দের সবচেয়ে বড়ো গুরুদের অন্যতম, রবীন্দ্রনাথের কাছে-’আমরা ভাষায় বলে থাকি কথাকে ছন্দে বাঁধা। কিন্তু এ কেবল বাইরের বাঁধন, অন্তরের মুক্তি। কথাকে তার জড়ধর্ম থেকে মুক্তি দেবার জন্যেই ছন্দ। সেতারের তার বাঁধা থাকে বটে কিন্তু তার থেকে সুর পায় ছাড়া। ছন্দ হচ্ছে সেই তার-বাঁধা সেতার, কথার অন্তরের সুরকে সে ছাড়া দিতে থাকে। ধনুকের সে ছিলা, কথাকে সে তীরের মতো লক্ষ্যের মর্মের মধ্যে নিক্ষেপ করে। ’ (ছন্দ)

এখানেই ছন্দের প্রাসঙ্গিকতা। আরেকটা প্রশ্ন উঠতে পারে নতুন যাঁরা কবিতা লিখতে শুরু করবেন তাঁরা ছন্দের কঠিন জগতের ছকে সৃজনশীলতাকে মেলাবেন কিভাবে ? এর জবাবটা নানা জনের জন্য নানা রকম হবে। তবে পাশাপাশি চলতে পারে কবিতা পাঠ,ছন্দ জানা, অলঙ্কার, রসতত্ত্ব আর কবিতার আলোচনা পড়া। এক সময় নবীন কবি আবিষ্কার করবেন ছন্দ তাঁর হাতে খেলতে শুরু করেছে। কবির জন্য শুভ কামনা।

ছন্দের জয় হোক।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪
২৫টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×