"ক্যাম্পাসের প্রিয়মুখ",
"মুসার মুনশিয়ানা",
"স্বপ্ন নিয়ে",
ভিন্ন ভিন্ন কিছু শব্দগুচ্ছ কিন্তু সবগুলো যেন ঠিক একই সুতোয় গাঁথা।

যারা দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকাগুলোর ব্যাপারে খোঁজ খবর রাখেন তাদের হয়তো অলরেডী বুঝে ফেলার কথা।
হ্যাঁ, প্রথম আলোর একটি সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্র "স্বপ্ন নিয়ে" আর "ক্যাম্পাসের প্রিয়মুখ" তার একটি কলাম মাত্র এবং "মুসার মুনশিয়ানা" সেটার ই একটা রিপোর্টের হেডলাইন।

"নামে কী ই বা আসে যায়" এমনটা ভেবে আপনি যদি ধরে নেন "হেডলাইনে কী ই বা আসে যায়" তাহলে আপনি মস্ত বড় একটা ভুল করে বসবেন।
বরঞ্চ তার কাজের বিস্তৃতির কাছে হেডলাইনটি নেহাত সামান্য ই মনে হয়।
না, এমনি এমনি একটি জাতীয় দৈনিকে আসেনি তার ব্যাপারে, নয় কোন হলুদ সাংবাদিকতাও।
যদি কোন কারণ থেকেই থাকে তবে সেটা শুধুমাত্রই তার কৃতকর্মের ফসল।আর তার সাফল্য ও কর্মকান্ডের জয়গান গাইতে গেলে বেশ বড়-সড় একটা ফিরিস্তি ই কাটতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত "ডিইউআইটিএস ক্যাম্পাস ফেস্টিভাল ২০১৩" এ ‘অ্যাপস্ ইন লাইফ’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন আবু সালেহ মো. মুসা।
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার হিসেবে কাজ করছেন নার্ডক্যাটস (NerdCats) কোম্পানির সঙ্গে।

অ্যানড্রয়েড স্টোরে নার্ডক্যাটসের প্রায় ১০০টির কাছাকাছি অ্যাপস্ রয়েছে; এর মধ্যে ‘বাস ম্যাপ আপ ঢাকা’, ‘স্যানিট্যাবিট’, ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’ প্রভৃতি অ্যাপসের কাজ করেছেন মুসা।
‘বাস ম্যাপ আপ ঢাকা’ এই App টির মাধ্যমে সারা ঢাকা শহরে বাসের রুট জানা যাবে মোবাইলেই।
আর ‘স্যানিট্যাবিট’ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা তৈরিতে সাহায্য করবে।
বাকি থাকলো ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’। এই অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে স্টার সিনেপ্লেক্সের অনলাইন সার্ভিস নেওয়া যাবে নিমিষেই।

এছাড়াও "#মাইক্রোসফট_স্টুডেন্টস_পার্টনার" এর ক্যাম্পাস লিডারও তিনি।
মাইক্রোসফটের স্টুডেন্ট পার্টনার হিসেবে কাজ করছেন ২০১১ সাল থেকে। ২০১২ ও ২০১৩ সালে কুয়েটে ইমাজিন কাপ আয়োজনের কাজও করেছেন সফলভাবে।
আরো কাজ করেছেন মাইক্রোসফট অ্যাকাডেমিক অ্যালায়েন্সের অ্যাডমিন হিসেবেও।

এসব কাজের বাইরেও কুয়েটের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইভেন্ট ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন হারহামেশাই।বিশ্ববিদ্­যালয় দিবস, কুয়েটের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান ও ২০১২ সালের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফেস্টিভালের (CSE Festival) ইভেন্ট ডিজাইনার ছিলেন তিনি।

না,এতেই শেষ নয় তার কাজের পরিধি।এসবের পাশাপাশি তিনি তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশলীদের আন্তর্জাতিক সংগঠন আইইইই (IEEE) এর কুয়েট ছাত্র শাখার ভাইস প্রেসিডেন্টও বটে। গবেষণার সুযোগ নিয়ে সেমিনারও আয়োজন করেছেন,
এছাড়াও কুয়েটের আইইইই (IEEE) ছাত্র শাখার দুটি টেকনিক্যাল ট্যুর আয়োজনের সঙ্গেও ছিলেন তিনি এবং আইইইই এক্সট্রিম ৬.০-তে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন।

স্কুল লাইফ থেকেই ক্রিকেটের মতো আউটডোর গেমস এও পারদর্শীতা দেখিয়েছেন।
ক্রিকেটটা ভালোই খেলতেন, অর্জনের ঝুলিতে আছে একবার আন্তঃস্কুল ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সাফল্য।

নটরডেম কলেজে ভর্তি হন ২০০৭ সালে।
নটরডেম সায়েন্স ক্লাব, নটরডেম ডিবেটিং ক্লাব ও নটরডেম ইংলিশ ক্লাবের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি।ক্লাবগুলোর অনেক অনুষ্ঠানে করেছেন স্বেচ্ছাসেবকের কাজ।
এতো কিছুর সঙ্গে জড়িত থেকে তিনি নিজের প্রতিভার পরিচয় দেয়ার পাশাপাশি সাংগঠনিক দক্ষতারও স্বাক্ষর রেখেছেন বটে।

সৃষ্টিকর্তা বুঝি মাঝে মাঝে একটু বেশীই স্বার্থপরের মতো আচরণ করে।হয়তো কাউকে তেমন কিছুই দেন না আবার যাকে দেন তাকে যেন অনেক কিছুই দিয়ে ফেলেন।
May be, he knows the betterment in that.
তবে একটা কথা মেনে নিতেই হবে, যাকে দেন সে কিন্তু নিজ যোগ্যতাতেই সবকিছু আদায় করে নেয়।
"Always listen to your heart, it may be on your left , but is always right!!"

ফেসবুক আইডিঃ http://www.facebook.com/puzzlemusa
ফেসবুক লিংক: Click This Link