টেবিলের উপর রাখা সেলফোনটা ভোঁ ভোঁ করে ওঠে, হাত বাড়িয়ে ফোন উঠায় শুভ্র। মিথিলার ফোন।
: কি রে? এত রাতে তুই?
: কেন? অন্য কেউ ফোন করার কথা নাকি?
: কি বলবি বল?
: ক্লাসে আসিস না ক্যান?
: ক্লাস করে কি হয়? পরীক্ষা তো ঐ নোট মুখস্ত করেই দিতে হয়, আর নোটের জন্য তো তুই আছিসই, তাই না!!!
: হুমম, তা আর বলতে? অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে, দিবিনা?
: হা হা হা......হাসালি,ওটা কি কখনও আমি দেই? তুইই তো আমারটা দিয়ে দিস।
: আচ্ছা বাদ দে, কি করিস?
: খেলা দেখি।
: এত রাতে কিসের খেলা?
: ম্যানইউ- বার্সেলোনা, চ্যাম্পিয়নস্ লীগ ফাইনাল।
: দুই সপ্তাহ পর পরীক্ষা, আর তুই রাত জেগে খেলা দেখিস??!!!
: পরীক্ষা দুই সপ্তাহ পর, খেলা তো আজকেই।
: এই যে তুই ক্লাস টাস করিস না, শুধু খেলা আর কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকা, তোর টেনশন হয় না?
: কিসের টেনশন?
: পরীক্ষার?
: পরীক্ষার টেনশন কিসের, পাশ তো করবই!!
: ভালো রেজাল্ট করতে ইচ্ছা হয় না!
: নাহ্!!! আর সবাই ভালো রেজাল্ট করলে, ভালো রেজাল্টের দাম কমে যাবে না!!!
: সবসময় নিজের মত চিন্তা করলে হয়? অন্যদের কথা একটু ভাবতে পারিস না?
: কার কথা ভাববো?
: যারা তোর কথা ভাবে?
: উফফ্....... আমার কথা আবার কারা ভাবে? অত ফ্যাচ ফ্যাচ করিস না তো। ফোন রাখ, খেলা দেখতে দে, আর তুই যা গিয়ে পড়তে বস।
দুম করে লাইনটা কেটে দেয় শুভ্র। বেশ কিছুক্ষন ফোনটা হাতে নিয়ে বসে থাকে মিথিলা, চোখের কোনদুটো ভিজে যায় নিজের অজান্তেই। শুভ্রটা কি কোনো দিন কিছু বুঝবে না? নাকি বুঝতে চায় না?
এটা গল্প লেখার একটা অপপ্রয়াস, ভালো না লাগলে পুরো দায় লেখকের। আর ভালো লাগলে পুরো কৃতিত্ব পাঠকের ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৪