somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অলিম্পাসের চুড়ায় (২য় পর্ব..................)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পূর্বপ্রকাশিতের পরে…………



**ডিউক্যালিওন আর পীরা** : সৃষ্টির পর থেকে নানা সুখ দুঃখের মধ্য
দিয়ে বয়ে চলল মানুষের জীবন।শেষে এমন সময় আসল যে চারিদিকে শুধু পাপ আর পাপ।হিংসা আর হানাহানিতে ছেয়ে গেল চারিদিক।স্নেহ ভালোবাসা মুছে গেল সম্পুর্নভাবে।অবস্থা দেখে একে একে দেবতারা বিদায় নিতে থাকলেন পৃথিবী থেকে।শুধু পড়ে থাকলেন নিষ্পাপতার দেবী এস্ট্রিশিয়া।

রেগে দেবরাজ জুপিটার চাইলেন বজ্রের আঘাতে পৃথিবীকে ধংশ করে দিতে কিন্তু আগুনের শিখাতে সর্গের ক্ষতি হতে পারে ভেবে তিনি নিরস্ত্র হলেন।তাই তিনি সেখানে পাঠিয়ে দিলেন এক মহা প্লাবন।শুরু হল এক প্রচন্ড বর্ষণ।মেঘ পরিচালনাকারি জুপিটারের সাথে যোগ দিলেন তার ভাই সমুদ্রের দেবতা নেপচুন।একে একে সব কিছু তলিয়ে গেল সেই প্রচন্ড জলের তোড়ে।থৈ থৈ পানির মধ্যে মাথা তুলে থাকল কেবল পারনেসাস পাহাড় আর তার চুড়ায় বেঁচে রইল কেবল দুইজন, ডিউক্যালিওন আর তার স্ত্রী পীরা।শুধু ওরাই ছিলেন নিষ্পাপ।পাপীদেরকে সম্পুর্ন নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে তবেই থামল জুপিটারের রাগ।

মহাপ্লাবনের পরে খুব একাকী বোধ করলেন ডিউক্যালিওন আর পীরা। তারা মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করলেন যেন এই একাকী অবস্থা থেকে মুক্তি পান।তাদের আকুতির জবাবে দৈববাণী হলঃ পোষাক আলগা করে তোমরা তোমাদের মায়ের হাড় পেছনের দিকে ছুড়ে মারো।প্রথমে তারা বুঝতে পারলেন না এই অদ্ভুত নির্দেশের অর্থ কি।পরে একটু চিন্তা করতেই বুঝলেন যে পৃথিবীই ত তাদের মা আর শীলা পাথর হল তার হাড় সদৃশ।তাই তারা দেবতাদের নির্দেশ মত দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে ছুঁড়ে মারতে লাগলেন পাথর।ছোঁড়মাত্রই দেখতে পেলেন যে পাথর গুলো মানুষের আদলে পরিনত হচ্ছে। এভাবে ডিউক্যালিওনের ছোড়া পাথর গুলো পুরুষে আর পীরার ছোড়া পাথর গুলো নারীতে রুপান্তরিত হতে লাগল।

আর এভাবে খুব শিঘ্রই পৃথিবী জনকোলাহলে পূর্ণ হয়ে গেল।ঃ)



**ফিটনের জিদ**: গ্রীকদের সূর্যদেবের নাম হল এপোলো।এপোলো দেবের
দুরন্ত ছেলের নাম ফিটন। যেমন তার শক্তি,তেমন তার তেজ।যতই সে বড় হয়ে উঠল ততই তার নির্ভিকতা আর জিদ বেড়েই চলল।কোন কিছুতে হার মানা তার সভাবেই ছিলনা। ফিটন দেখত প্রতিদিন তার বাবার আগুনের রথ পূর্বদিকে যাত্রা করে আর সারাদিক আলোতে ভরে উঠে। একদিন সে বায়না করল তাকেও বাবার রথ চালাতে দিতে হবে।

এপোলো দেব অনেক চেষ্টা করলেন তার এই জিদ কমানোর।কারন আকাশের নিঃসীম পথ বড় ভয়াল।কিন্তু ফিটন তার উদ্দেশ্যে অটল।তাই শেষ পর্যন্ত ছেলের জিদের কাছে হার মানতেই হল এপোলোদেব কে। আর ্সত্যিই একদিন বাবার রথে চড়ে আকাশ পথে যাত্রা করল ফিটন।

কিন্তু বেশিক্ষন যেতে না যেতেই বোঝা গেল রথ চালানোর কোন অভিজ্ঞতাই নেই ফিটনের।তার আনাড়ি হাতের স্পর্শ পেয়ে ঘোড়ারা সব বেপরোয়া হয়ে উঠল। কক্ষ থেকে ছিটকে সূর্য পৃথিবীর এতই কাছে চলে আসল যে নদ নদীর সব পানি শুকিয়ে গেল,মাটি ফেটে চৌচির।নীল নদ ভয়ে মাটিতে গিয়ে মুখ লুকালো।আরেকটু হলেই সারা পৃথিবী দাউ দাউ করে জলে উঠে আর কি!

অবস্থা দেখে প্রমাদ গুনলেন দেবরাজ জুপিটার।উপায়ান্তর না দেখে তাকে এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হল।তার এক বজ্রের আঘাতে ফিটনকে হত্যা করে এক মহা দুর্বিপাক থেকে বাঁচালেন পৃথিবীকে। ফিটনের জলন্ত দেহ ছিটকে গিয়ে পড়ল এরিডেনাস নদীতে।

দামাল ছেলে ফিটনের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে ব্যাথায় মুহ্যমান হল প্রকৃতি।পশু পাখি বাতাস নদী সবাই অংশ নিল এই শোক প্রকাশে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হিলিয়াড নামে ফিটনের বোনেরা তাকে এরিডেনাস নদীতে সমাহিত করল আর তাদের বুকফাটা কান্নায় দেবতারা করুনা করে তাদেরকে রূপান্তরিত করে দিলেন এক সারি পপলার গাছে।

হিলিয়াডদের চোখের পানি জমে ঐ গাছের ডালে ডালে তৈরী হয় এক রকম হরিদ্রাভ অম্বর,যা আজো প্রচুর পাওয়া যায় এরিডেনাস নদীর তীরে তীরে।ঃ(



**ইকো আর নারসিসাস** ঃ ফাঁকা কোন জায়গাতে দাড়িয়ে শব্দ
করলে মনে হয় ওই শব্দই যেন আবার ফিরে আসে কিছুক্ষন পরে।ব্যাপারটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত।এটাই হল ইকোর গল্প।ইকো শব্দের অর্থ হল প্রতিধবনি। সেকালে ইকো নামের ছিল এক অপ্সরী।বনে পাহাড়ে ঝর্নায় রাতদিন ছিল তার আনাগোনা।আর অবসর ছিলনা তার মুখে।যে যাই বলুক না কেন সব কথার জবাব দেয়া তার চাই ই চাই।

এই কথার জন্যই একবার দেবদেবীদের রানি, (জুপিটারের স্ত্রী জুনো) ইকোও উপরে খুব বিরক্ত হলেন।রাগ করে তার জিভের সব ক্ষমতা কেড়ে নিলেন তিনি।রাখলেন শুধু একটি আর সেটা হল তার জবাব দেবার ক্ষমতা।শুধু শেষ কথাটি ইকো বলবে কিন্তু বুক ফাটলেও প্রথমে মুখ খুলবে না।

এমন দুর্ভাগ্য নিয়েই ইকোর দিন কাটে।বনের পথে ঘুরতে ঘুরতে একদিন ইকো দেখল একটি যুবা পুরুষ, নাম তার নারসিসাস।যেমন সুন্দর তার গঠন তেমনি সুন্দর তার চেহারা। দেখেই ভালবেসে ফেলল ইকো।ইকো ছায়ার মত তার পেছনে পেছনে ঘুরে কিন্তু একটি কথাও তার মুখ দিয়ে আর সরে না।একদিন নারসিসাস তাকে খুব কাছে পেয়ে জিজ্ঞেস করল ,
“তুমি কে এখানে”? চরম বিরক্তি ভরা এই প্রশ্নের জবাবে ইকো শুধু বলতে পারল “এখানে”।
-----“তোমার কি চাই?”
--চাই!!
-----“কেন বারবার আমার কাছে আসো?”
--কাছে আসো!!
-----“কোন দরকার আছে?”
--আছে!!
ইকোর আকুতিময় এ-সব কথাকে নিছক পাগলের প্রলাপ মনে করে নারসিসাস নিষ্ঠুর ভাবে তাকে ছেড়ে চলে গেল।লজ্জায় দঃখে ইকো পালিয়ে গেল বনের মধ্যে।খাওয়া দাওয়া ছেড়ে তিল তিল করে শেষ হয়ে গেল ইকো।একটি জিনিশই বেঁচে থাকল আর তা হল তার কন্ঠ।বনে পাহাড়ে তাই আজো একোর সেই শেষ কথা প্রতিধনি হয়ে বলে যায় তার হারান প্রেমের কাহিনী।

বেশিদিন না যেতেই নারসিসাস ও কিন্তু পেল তার নিষ্ঠুরতার যোগ্য প্রতিফল। বনের ধারে ঘুরতে ঘুরতে একদিন নারসিসাস তৃষ্ণয় কাতর হয়ে একটি ঝর্ণার ধারে আসতেই দেখতে পেল তার নিজের প্রতিবিম্ব। এত অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে সে ধরতে গেল প্রতিবিম্বটিকেই।কিন্তু পানিতে হাত লাগতেই প্রতিবিম্বটি ভেঙ্গে টুকরো হয়ে কোথায় যেন হারিয়ে গেল।নারসিসাস সব কিছু ভুলে দিনের পর দিন তার সেই প্রতিচ্ছবির দিকে তাকিয়ে থাকে।এভাবে ইকোর মতই সেও পলে পলে গেল নিঃশেষ হয়ে। তার এই অবস্থ দেখে দেবতারা দয়া করে তাকে পরিনত করে দিলেন একটি নাম না জানা ফুলে।

এ ফুলটির নাম নারসিসাস,পানির ধারে জন্মায় , আর নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে থাকে অনিমেষ দিনের পর দিন।


**আরাকনির দম্ভ** ঃ আরাকনি নামের ছিল এক মেয়ে, যেমন সে গুণী,
তেমনি অহংকারী। কাপড় বোনা আর সূঁচের কাজে তার এমনই দক্ষতা ছিল যে পাহাড় থেকে অপ্সরীরা এসে মুগ্ধ হয়ে তার কাজ দেখত। আর এ নিয়ে তার বড়াইও ছিল বিস্তর।সূচীকর্ম আর শীল্পকলার দেবী মিনার্ভাকে নিয়ে সে মাঝে মাঝেই প্রকাশ্যে বিতন্ডাতে লিপ্ত হত।

এমন অন্যায় দম্ভের কথা ক্রমে দেবী মিনার্ভার কানেও পৌছলো এক সময়।মনে মনে ভারি অসন্তুষ্ট হলেন তিনি আরাকনির উপরে।একদিন এক বুড়ির ছদ্দবেশে এসে নরম গলায় আরাকনিকে বললেন “বাছা নিজের গুনগান করে এত বড়াই করতে নেই।তুলনা করতে হয় তো কোন মানুষের সাথে কর ।কিন্তু কোন দেবদেবীদের সঙ্গে নয়।বরং এভাবে বড়াই করে যেটুকু পাপ করেছ তার জন্য দেবী মিনার্ভার কাছে ক্ষমা চাও।দেবী নিশ্চই তমাকে ক্ষমা করে দেবেন”। বুড়ীর কথাকে নিতান্ত তাচ্ছিল্য ভরে উড়িয়ে দিল আরাকনি । উল্টা আরও সে বলতে লাগল যে মিনার্ভা দেবী বলেই তার এত জোর।সূচী কর্মে আসলে আরাকনির সমতুল্য কেউ নয়।

“তাহলে দেখ তুমি “ বলেই মিনার্ভা তার আসল রূপে দেখা দিলেন। দেবরাজ জুপিটারের কন্যা, শিল্প, কলা আর যুদ্ধবিদ্যার দেবী মিনার্ভা তার আসল মূর্তিতে আসতেই আলোয় ভরে গেল আরাকনির ছোট্ট কুটির। অন্য কেউ হলে তখনই নতী সীকার করত।কিন্তু অহংকারী আরাকনি বুদ্ধীহীনার মত ভাবল এই তার সুযোগ।মিনার্ভাকে সে সরাসরি প্রতিযোগীতার জন্য আহবান করল।নিজেই ফুটিয়ে তুলতে লাগল নানা রকম অপ্রাসঙ্গিক চিত্রকলা।আঁকতে আঁকতে সে ফুটিয়ে তুলল দেবরাজ জুপিটারের নানা স্খলন পতনের কাহিনী।

বাবার অপমান এবার আর মিনার্ভা সহ্য করতে পারলেন না। হাতের মাকুটি সজোরে ছুড়ে মারলেন আরাকনির তাঁতের উপরে। আর আঙ্গুল দিয়ে কপালে চেপে ধরতেই অতীতের সমস্ত নির্বুদ্ধিতা আর হিনমন্যতা আরাকনির কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠল।অনুতাপে, লজ্জায় সে তখন ই ছুটল আত্মহত্যা করতে। কিন্তু ঘরের কোনে একটি দড়িতে ঝুলতে গেলেই মিনার্ভা তাকে বারণ করলেন।বললেন ‘তোমাকে মরতে হবেনা, তুমি বেঁচে থাকো , কিন্তু এমন করে বাঁচবে যেন সবাই তোমাকে দেখে শিক্ষা গ্রহন করতে পারে।’

এই বলে এক মুঠো পানি ছিটিয়ে দিতেই আরাকনির হাত পা চেহারা সব ছোট হয়ে কুঁকড়ে আসতে লাগল। শীঘ্রই সে পরিনত হল কালো,কুতসিত একটি কীটে।অবাক হয়ে সবাই খেয়াল করল ঘরের কোনে জালের মধ্যে ঝুলে রয়েছে কুশ্রী কদাকার একটি মাকড়সা।

কাপড় বোনা আর সেলাইয়ের বাড়তি অহংকার নিয়ে আরাকনি ও তার বংশধরেরা আজো ঘরের কোণে আড়ালে আবডালে বুনে চলেছে তাদের সুক্ষ,কারুকার্যময়,সুদৃশ্য আর ক্ষণস্থায়ী জাল।




**হিরো আর লিয়ান্ডার**: এশিয়া আর ইউরোপ মহাদেশের মাঝখানে
রয়েছে এক সরু প্রনালী যার নাম বসফরাস। তো সেকালে বসফরাসের পূর্বে ছিল এবিটস শহর আর পশ্চিমে ছিল সেসটস নামের আরকটি শহর।এক সময় আবিটসের এক তরুণ যুবক লিয়ান্ডার এর সাথে পরিচয় হল সেসটস এর বাসিন্দা দেবী ভিনাসের সেবিকা তরুনী হিরোর।ক্রমে এই পরিচয় রূপ নিলো গভীর ভালবাসায়। কিন্তু সমস্যা হল তারা দুইজন থাকে দুই শহরে , মাঝে দিয়ে বয়ে যায় উত্তাল বসফরাস ।কিন্তু তাতে কি, এই বাধা অতিক্রম করার জন্য প্রতিরাতে এবিটাস থেকে প্রনালী সাঁতরে লিয়ান্ডার আসত হিরোর কাছে।প্রতি সন্ধ্যায় হিরো মন্দিরে জালিয়ে রাখত প্রদীপ, সেটা দেখে বসফরাসের কালো পানি আর অন্ধকার আকাশের মাঝে দিক ঠিক রাখত লিয়ান্ডার।

এমনি করে কেটে গেল কিছুদিন।কিন্তু এরপরে ঘটল এক অঘটন।এক সন্ধ্যায় উঠল দারুন তুফান।প্রচন্ড বাতাসের দাপটে মন্দিরে রাখা প্রদীপের আগুন নিভে গেল। মাঝ নদীতে ঢেউয়ের তোড়ে পথ হারিয়ে ফেলল লিয়ান্ডার, ফলে ঘটল তার করুন সলিল সমাধি।রাত্রিশেষের আলো ফুটতেই সেসটসের তীরে ভেসে থাকতে দেখা গেল লিয়ান্ডারের মৃতদেহ। দেখেই হিরো বুঝতে পারল ঝড়ের রাতের তার করুন পরিনতির কথা।অসহনীয় দঃখে বসফরাসের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিজের জীবন দিল সে ও।

বসফরাসের ঢেউয়ে ঢেউয়ে মিশে থাকল হিরো আর লিয়ান্ডারের ভালবাসার করুণ আর্তি।ঃ(



**সিইক্স আর আলসিওনি** ঃ থেসালি দেশের রাজা সিইক্স আর রানী
আলসিওনি।পরস্পরকে তারা গভীর ভালবাসেন । কিন্তু সিইক্সের এক ভাইকে বাজ পাখিতে রূপান্তরিত করে দেবার কারনে রাজা ঠিক করলেন রাজ্যের অন্য একটি জায়গাতে এপোলোদেবের মন্দিরে গিয়ে খোঁজ নিবেন এক দৈবজ্ঞের যিনি তাকে বলে দিবেন কি করে আবার তার ভাইকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায়।

সব কিছু ঠিকঠাক হলে এল বিদায়ের পালা। দু’জনে আলাদা হবার ভয়ে আলসিওনি শোকাতুরা হয়ে পড়লেন । অনেক কষ্টে তাকে সিইক্স বুঝিয়ে গেলেন, দু’মাসের মধ্যে অবশ্যই তীর্থ শেষ করে তিনি ফিরে আসবেন। কিন্তু তার হিসেবে রয়ে গেল মস্ত এক ভুল। সমুদ্র পথে বেশি দূর না যেতেই উঠল এক প্রচন্ড ঝড়। বাতাসের মাতম বেড়েই চলল , আর আকাশ ভেঙ্গে নামল ঢল । বিশাল ঢেউয়ের সঙ্গে সিইক্সের ছোট্ট জাহাজটি প্রানপন লড়াই করল অনেকক্ষন । কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। যাত্রীসহ একসময় তা হারিয়ে গেল অতল জলের মধ্যে। এদিকে আলসিওনি অপেক্ষা করেই আছেন, শেষে আহার নিদ্রা ত্যাগ করে তিনি দেবী জুনোর কাছে প্রার্থনা করে বললেন ভালো হোক মন্দ হোক যেকোন একটা খবর যেন এনে দেয়া হয় তাকে। তার ইচ্ছা পূর্ণ হল।ভোর বেলার সপ্নে তিনি দেখতে পেলেন সিইক্সের নিদারুন পরিনতির ঘটনা।আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারলেন না আলসিওনি।ঝাপ দিয়ে পানিতে পড়ে প্রান দিলেন তিনিও।

তাদের এই ভালবাসা দেখে মুগ্ধ হলেন দেবী জুনো।এই পরিনতি দেখে তাদের দুজনকেই পরিনত করে দিলেন দুটি সামুদ্রিক পাখিতে।

এই পাখিদের নাম আলসিওনি।সমুদ্রের ফেনার উপরে সারাদিন এরা উড়ে বেরায়।আর ডিম থেকে যখন বাচ্চা ফুটায়,তখন কিছুকালের জন্য ঢেউভাঙ্গা উত্তাল সমুদ্র হয় একেবারে শান্ত। সমুদ্রের নিঃশব্দ নিস্তরঙ্গ এ দিন কয়টিকে বলা হয় ‘আলসিওন ডে’ বা ‘আলসিওন দিন’। ঃ)


(ক্রমশঃ.....................)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×