আমরা যদিও এখন স্বরবর্ণ ১১ টি জানি, প্রথমদিকে বাংলা বইতে এই সংখ্যা ছিল ১৬। এগুলো হলো অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, ঋৃ, ৯(লি), ৯৯(দীর্ঘ লী), এ, ঐ, ও, ঔ, অ০ (অং), অঃ (অহ্)। এই সংখ্যা কমিয়ে ১২ টিতে আনা হয়। বিদ্যাসাগর এই সংখ্যা কমিয়ে আনেন।
ঋৃ,৯৯, অ০, অঃ এই চারটির মধ্যে দীর্ঘ ঋৃ ও দীর্ঘ ৯৯ একেবারেই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। বাকি দুটি নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাঞ্জন বর্ণে অনুস্বার আর বিসর্গ হিসাবে। এই মৌলিক সংস্কারের ১২৫ বছর পর স্বরবর্ণে মাত্র আর একটি সংস্কার ঘটেছে, তাহলো ৯(লি) বর্ণটি বাদ দেওয়া। এখন স্বরবর্ণ ১১টি।এগুলো হলো অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।
তবে বর্তমানে ঋ, ঈ, ঊ, ঐ এবং ঔ এই চারটি বর্ন বাদ দেবার ব্যাপারে অনেক তর্কবিতর্ক চলছে বোদ্ধা মহলে। তাদের কথা হল শুধু মৌলিক সর হিসেবে ই এবং ঈ এর বদলে একটি ই থাকবে, উ এবং ঊ এর বদলে শুধু উ থাকবে, কারন এগুলোর উচ্চারন গত তেমন কোন বিশেষ পার্থক্য নাই। ঐ যেহেতু ও+ই দিয়ে লেখা যায় সেজন্য ঐ এর দরকার নাই এবং একইভাবে ঔ লিখতেও ও+উ ব্যাবহার করা যায় ; আবার ঋ লিখতে ব্যাঞ্জনবর্ণ র+ই কাজে দেয় বলে মৌলিক বর্ন হিসাবে এগুলোকে বাদ দেয়া যেতে পারে। অর্থাৎ স্বরবর্ণ হবে মোট ৬টি, অ,আ,ই,উ,এ,ও।
দেখা যাক এই ইউনিকোড এর যুগে বাংলা ভাষাকে আরো কত আধুনিক ও সময়োপযোগী করে তুলতে পারে বাংলা একাডেমি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




